জংলি আদা বাংলাদেশ ভারত নেপাল ও ভুটানের কন্দজ গুল্ম

আদার প্রজাতি

জংলি আদা

বৈজ্ঞানিক নাম: Zingiber capitatum Roxb. সমনাম: Dymezewiezia capitata Horan. (1862). ইংরেজী নাম: জানা নাই। স্থানীয় নাম: জংলি আদা
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms, অবিন্যাসিত: Monocots, অবিন্যাসিত: Commelinids, বর্গ: Zingiberales, গোত্র: Zingiberaceae, গণ: Zingiber Boehmer, প্রজাতি: Zingiber capitatum Roxb.

বর্ণনা: জংলি আদা জিঞ্জিবার গণের রাইজোমসমৃদ্ধ সুগন্ধী বীরুৎ, রাইজোমের ভিতর ফিকে হলুদ, কিছুটা মসলার স্বাদ যুক্ত, রাইজোম থেকে লম্বা বৃন্ত সহ ডিম্বাকার, আঁচিলময় কন্দ, উত্থিত হয়। পত্রল-কান্ড প্রায় ১.০-১.৫ মিটার লম্বা। পাতা রেখ-ল্যান্সাকার, দীর্ঘাগ্র, অবৃন্তক, ২০-৫০ x ১-২ সেমি, নিচে খাট লোমশ (অন্ততঃ মধ্যশিরার কাছে), লিগিউল ১-২ মিমি লম্বা, অনুরোমাবৃত। পুষ্পবিন্যাস অগ্র, খাড়া, অবৃন্তক বা প্রায় অবৃন্তক, চিকন উপবৃত্তাকার, ৫-১১ X ২-৩ সেমি। মঞ্জরীপত্র ল্যান্সাকার, ৩.০-৬.৫x১.০-১.৫ সেমি, সবুজ, রোমশ, ঘনভাবে প্রান্ত -আচ্ছাদী, অবশেষে লাল, প্রতিটি একটি ফুল ধারণ করে, উপ-মঞ্জরীপত্র ডিম্বাকার, ৩-৪ সেমি লম্বা, চর্মবৎ, পেঁচানো, চিকন বাদামী কিনারা সহ সবুজ। বৃতি ১-৩ সেমি লম্বা, নলাকার, ৩-দন্তুর, একপাশে প্রায় অর্ধেকের বেশি বিদীর্ণ। দলমন্ডল ফিকে হলুদ, প্রায় ৩ সেমি লম্বা, নল মঞ্জরীপত্রের সমান, পাপড়ি ৩টি, পার্শ্বখন্ড ০.৯-১.৩ সেমি লম্বা, ডিম্বল্যান্সাকার, পৃষ্ঠখন্ড চওড়া, প্রায় ২.৪ x ১.২ সেমি, নৌকাকার, অগ্র স্পারযুক্ত। লেবেলাম ফিকে হলুদ, চওড়া ডিম্বাকার, ৩-খন্ড, মধ্যখন্ড মোটামুটি ত্রিকোনাকৃতি, খাতাগ্র, ১.০-১.৫ সেমি চওড়া, পার্শ্বখন্ড (ষ্টেমিনোড) আয়তাকার। পুংকেশর ফিকে হলুদ, পরাগধানী প্রায় ১ সেমি লম্বা, ঠোট বাকানো। গর্ভাশয় অতিরোমশ। ক্যাপসিউল আয়তাকার বা উপবৃত্তাকার, প্রায় ২ সেমি লম্বা, উজ্জ্বল লাল। বীজ উজ্জ্বল বাদামী। ফুল এবং ফল ধারণ ঘটে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নাই।

আবাসস্থল: আংশিক ছায়াযুক্ত উচ্চভূমি।

বিস্তৃতি: ভুটান, ভারত এবং নেপাল। বাংলাদেশে প্রহজাতিটি বান্দরবান জেলায় দেখা যায়।

অর্থনৈতিক ব্যবহার/গুরুত্ব/ক্ষতিকর দিক: জানা নাই।

জাতিতাত্বিক ব্যবহার: জানা নাই।

বংশ বিস্তার: রাইজোম দ্বারা বংশ বিস্তার হয়।

আরো পড়ুন:  মুর আদা দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বর্ষজীবী গুল্ম

প্রজাতিটির সংকটের কারণ: আবাসস্থল ধংস।

সংরক্ষণ ও বর্তমান অবস্থা: তথ্য সংগৃহীত হয় আই (NE)।

গৃহীত পদক্ষেপ: সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

প্রস্তাবিত পদক্ষেপ: অতিসত্বর গাছটি খুঁজে বের করে এটিকে in-situ এবং ex-situ উভয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে।

তথ্যসূত্র:

১. মোহাম্মদ ইউসুফ, (আগস্ট ২০১০)। অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১২ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৮৯-৪৯০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!