দাগি কুল দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বুনো ফল

বুনো ফল

দাগি কুল

বৈজ্ঞানিক নাম: Ziziphus funiculosa Buch.-Ham. ex | Lawson in Hook. f., Fl. Brit. Ind. 1: 636 (1875). সমনাম: জানা নেই। ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: জানা নেই। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Eudicots অবিন্যাসিত: Rosids বর্গ: Rosales পরিবার: Rhamnaceae গণ: Ziziphus প্রজাতির নাম: Ziziphus funiculosa

ভূমিকা: দাগি কুল ( বৈজ্ঞানিক নাম: Ziziphus funiculosa ) হচ্ছে রামনাসি পরিবারের জিজিফাস গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতি। এই প্রজাতিটি বৃহৎ আরোহী গুল্ম।  

বর্ণনা: দাগি কুল বৃহৎ আরোহী গুল্ম, অপরিণত বিটপ মরিচা রোমশ, পরিণত অবস্থায় মসৃণ, পর্বমধ্য ১-৫ সেমি লম্বা, গাত্র কন্টক সংক্ষিপ্ত, মোটা, পশ্চাৎ বক্র, সাধারণত একল, মসৃণ বা গোড়ায় সামান্য রোমশ।

পত্র ৭-১০ x ৩-৪ সেমি, একান্তর, তির্যকভাবে ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার-আয়তাকার, দীর্ঘাগ, ভোতা ও গোলাকার দম্ভর, চর্মবৎ, গোড়া তির্যক, মসৃণ, শিরা সামান্য রোমশ, পাদদেশ ৩ শিরাল, পত্রবৃন্ত সংক্ষিপ্ত, ০.৮-১.০ সেমি লম্বা, রোমশ, সামান্য খাঁজবিশিষ্ট।

পুষ্পমঞ্জরী যৌগিক সাইম। পুষ্প আড়াআড়ি ৫ সেমি, সুগন্ধি, কাক্ষিক এবং শীর্ষক, পুষ্পদন্ড খুবই সংক্ষিপ্ত। বৃতি খন্ড ব-দ্বীপ সদৃশ, ২ মিমি লম্বা, সূক্ষ্মা, ভিতরে মসৃণ, বাহিরে মরিচা মখমল সদৃশ রোমশ। পাপড়ি প্রায় ১.৫ সেমি লম্বা, বিডিম্বাকার, সরু বৃন্তক, ছড়ানো। পুংকেশর ৫টি, পাপড়ি সমদৈর্ঘ্য, পুংদন্ড চ্যাপ্টা। চাকতি পাতলা, মসৃণ, ৫ খন্ডক, কখনো অস্পষ্টভাবে ১০ খন্ডক।

গভাশয় ২-কোষী, মসৃণ, গর্ভদন্ড ২টি, গোড়ার নিকট বিভক্ত, শীর্ষের নিকট বাঁকা। ডুপ ডিম্বাকার, ১.৩-১.৮ সেমি লম্বা, ১-কোষী, রসালো, মসৃণ, পাকলে হলুদ। বীজ ১টি, ১ X ১ সেমি, কালো। এদের ফুল ও ফল ধারণ ঘটে মার্চ থেকে অক্টোবর মাসে।

বিস্তৃতি:  ভারত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া এবং বোর্নিও। বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এটি রিপোর্ট করা হয়েছে। ১৮৮৭ সালে। আবাসস্থল ও চাষাবাদ করা হয় না; এটি চিরহরিৎ বনাঞ্চলে জন্মে।

আরো পড়ুন:  জংলি কুল বাংলাদেশের বিপন্ন অপ্রচলিত ফল

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: ফল ভক্ষণীয় (Deb, 1981). জাতিতাত্বিক ব্যবহার ও জানা নেই।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০)   নাম প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে এটির সংকটের কারণ দেখা যায় এবং বাংলাদেশে এটি বিপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে নাম সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে এটি সংরক্ষণের জন্য পুনঃচিহ্নিতকরণ এবং এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা উচিৎ।[১]

তথ্যসূত্র:          

১.  এম. এ. হাসান  (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ১০ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৯-১০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!