শিয়াল বুকা বাংলাদেশের অরণ্যে জন্মানো ফলজ উদ্ভিদ

ফলজ উদ্ভিদ

শিয়াল বুকা

 বৈজ্ঞানিক নাম: Antidesma acuminatum Wall. in Wight, Ic. Pl. Ind. Or. 6: t. 199 (1853). সমনাম: জানা নেই। ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: শিয়াল বুকা।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Tracheophytes. অবিন্যাসিত: Angiosperms.অবিন্যাসিত: Eudicots. বর্গ: Malpighiales. পরিবার: Phyllanthaceae. গণ: Antidesma, প্রজাতি: Antidesma acuminatum.

ভূমিকা: শিয়াল বুকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Antidesma acuminatum) হচ্ছে এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের উদ্ভিদ। ফল হিসাবে খাওয়া যায়।

শিয়াল বুকা-এর বর্ণনা:

বৃহৎ গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ, প্রায় ১০ মিটার উঁচু, শাখা রোমশ বা রোমশ বিহীন। পত্র ১০-২৩ x ৪-১০ সেমি, দ্বিসারী, দীর্ঘায়ত, ভল্লাকার বা উপবৃত্তাকার-দীর্ঘায়ত, শীর্ষ দীর্ঘা;

মূলীয় অংশ কীলকাকার, স্থূলাগ্র ও অসম, অখন্ড, মধ্যশিরা বরাবর স্বল্পরোমশ, পার্শ্বীয় শিরা প্রতিপ্রার্শ্বে ৮-১১ টি, বৃন্ত খাটো, উপপত্র রৈখিক, রেশমি, ৪-৯ মিমি লম্বা, ভল্লাকার, রোমশ, স্থায়ী।

রেসিম সরু, ২-৪ শাখা যুক্ত, ৪১১ সেমি লম্বা, রোমশ বা রোমশ বিহীন। পুংপুষ্প প্যানিকেল মঞ্জরীতে বিন্যস্ত, মঞ্জরীদন্ড অণুরোমশ, বৃন্ত খাটো, ১.২ মিমি লম্বা, বৃতি ৩-৪ খন্ডিত, রোমশ বিহীন।

পুংকেশর ৩-৪টি। স্ত্রীপুষ্প মঞ্জরী বৃহদাকার রেসিম, বৃন্ত ১.০-১.৬ মিমি লম্বা, বৃতি অনুরোমশ, গর্ভাশয় ২.০-২.৪ মিমি লম্বা, গর্ভমুন্ড শীর্ষীয়।

ফল ৪-৫ মিমি লম্বা, পাকা অবস্থায় লাল, পরবর্তীতে কালচে, উপবৃত্তাকার, দীর্ঘাগ্র, গর্ভদন্ডে ঘন সন্নিবিষ্ট।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

চিরহরিৎ অরণ্য। ফুল ও ফল ধারণ মে থেকে আগস্ট মাস। বংশ বিস্তার হয় বীজে অংশ বিস্তারের দ্বারা।

বিস্তৃতি: ভুটান ও শ্রীলংকা। বাংলাদেশের সিলেট ও টাঙ্গাইল জেলায় জন্মে। অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: ফল আহার্য (Grierson and Long, 1987)

শিয়াল বুকা-এর অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) শিয়াল বুকা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

আরো পড়ুন:  বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদ বা ভেষজ উদ্ভিদের ৭০০ প্রজাতির একটি পরিপূর্ণ তালিকা

বাংলাদেশে শিয়াল বুকা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. বুশরা খান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৭ম, পৃষ্ঠা ৩৯৪-৩৯৫। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!