বাগরাজ-এর বর্ণনা:
চিরহরিৎ বৃক্ষ। পত্র প্রায় আবর্তকারে সজ্জিত, ১৫২৫ x ৩-৬ সেমি, উপবৃত্তাকার, দীর্ঘাগ্র বা স্থূলভাবে দীর্ঘা, কীলকাকার বা হীরকাকার-বিডিম্বাকার, গোঁড়ায় অধিক সংকীর্ণ, নিম্নপৃষ্ঠ চকচকে বা চকচকে নয়।
পুষ্পমঞ্জরী প্যানিকেল, লম্বা মঞ্জরীদণ্ড বিশিষ্ট, অত্যন্ত সরু। পুষ্প ক্ষুদ্র। পুষ্পপুট খণ্ড ভেতরের গুলো থেকে ক্ষুদ্রতর। পুংকেশর ৯টি, সম্পূর্ণ। গর্ভাশয় অবৃন্তক, ফল বেলনাকার থেকে আয়তাকার বেরী, প্রায় ৫ সেমি লম্বা, অধিক বৃদ্ধিশীল প্রায় ২.৫ সেমি লম্বা রঙ্গীন বৃন্তযুক্ত। বীজে ঝিল্লিময় বহিস্তৃক বিদ্যমান।
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: চিরহরিৎ ও অর্ধ-চিরহরিৎ অরণ্য। ফুল ও ফল ধারণ আগস্ট-ডিসেম্বর। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে।
বিস্তৃতি: আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও মায়ানমার। বাংলাদেশে ইহা চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে পাওয়া যায় (Heinig, 1925)।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৮ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) বাগরাজ প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে বাগরাজ সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে ইন-সিটু ও এক্স-সিটু উভয় পদ্ধতিতেই এর সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
তথ্যসূত্র:
১. এম কে মিয়া (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৮ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৪৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি http://allpedia.dkart.in থেকে নেওয়া হয়েছে।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।