বৈজ্ঞানিক নাম: Diospyros lanceifolia Roxb.
সমনাম: Diospyros pachyphylla C. B. Clarke (1832), Diospyros lucida Wall. ex A. DC. (1844), Diospyros clavigera C. B. Clarke var: pachyphylla (Clarke) Ridl. (1923).
ইংরেজি নাম: Common Malayan Ebony
স্থানীয় নাম: মালয় পাতি এবোনি।
স্থানীয় নাম: কালো এবোনি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants
শ্রেণী: Eudicots
উপশ্রেণি: Asterids
বর্গ: Ericales
পরিবার:
গণ: Diospyros
প্রজাতি: Diospyros lanceifolia Roxb., Fl. Ind. ed. 2: 537 (1832).
বর্ণনা: মালয় পাতি এবোনি এবিনাসি পরিবারের ডিয়োসপিরোস গণের সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি ছোট থেকে মধ্যম আকৃতির চিরহরিৎ বৃক্ষ, প্রায় ২০ মিটার উঁচু, তরুণ বিটপ রোমশ, বাকল লালচে। পত্র সরল, একান্তর, ৫-২০ x ২-৭ সেমি, সরু উপবৃত্তাকার-ভল্লাকার, মূলীয় অংশ সূক্ষ্মাগ্র বা স্থূলাগ্র, বৃন্ত ৫-৬ মিমি লম্বা, রোমশ বিহীন।
পুষ্প একলিঙ্গ, চতুরাংশক বা পঞ্চাংশক, বৃতি ঘন্টাকার, মধ্যাংশে বিভাজিত ক্ষুদ্র ঘন কোমল রোমাবৃত। দলমন্ডল থালিকাকার, মধ্যাংশ বিভাজিত, রোমশ বিহীন, বহির্ভাগ রেশমি, ৭-১২ মিমি লম্বা। পুংপুষ্প ৩-৮টি নিয়ত মঞ্জরীতে বিন্যস্ত, অবৃন্ত, পুংকেশর ১২-১৮ টি, পরাগধানী রোমশ বিহীন, পুংদন্ড শক্ত রোমযুক্ত। স্ত্রীপুষ্প একল, অর্ধবৃন্তক, ৪-৫ অংশক, গর্ভাশয় ডিম্বাকার, ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত, ৮-প্রকোষ্ঠী গর্ভদন্ড একটি, রোমশ বিহীন, বন্ধ্যা পুংকেশর ৮-১০ টি, রোমশ বিহীন। ফল বেরি, আড়াআড়ি ১.৫-২.৫ সেমি, অর্ধ-গোলাকার, মরিচা বর্ণ যুক্ত অতিরোমশ, সস্য মসৃণ। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে অক্টোবর থেকে এপ্রিলে।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।
বিস্তৃতি: ভারত, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন। বাংলাদেশের সিলেট জেলার অরণ্য থেকে । রিপোর্টকৃত (Alam, 1988)।
অর্থনৈতিক ব্যবহার/গুরুত্ব/ক্ষতিকর দিক: কাষ্ঠ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র, কাঠ মিস্ত্রীর যন্ত্র, পিয়ানো, রুলার, বাদ্যযন্ত্র, হাটার ছড়ি, ছাতার হাতল শখের জিনিস পত্র ইত্যাদি তৈরি করা হয়। ফল বিষাক্ত এবং খাওয়ার পর দেহে ফোসকা উৎপন্ন করে।
জাতিতাত্বিক ব্যবহার: মাছে বিষ প্রয়োগের জন্য ফল ব্যবহার করা হয় (Lemmens et al., 1995)।
বংশ বিস্তার: বীজে বংশ বিস্তার।
প্রজাতিটির সংকটের কারণ: আবাসস্থল ধ্বংস।
সংরক্ষণ ও বর্তমান অবস্থা: তথ্য সংগৃহীত হয়নি (NE), সম্ভবত বিরল।
গৃহীত পদক্ষেপ: সংরক্ষণের পদক্ষেপ নেই।
প্রস্তাবিত পদক্ষেপ: যথাস্থানে এবং যথাস্থানের বাইরে সংরক্ষণ প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র:
১. এম আহসান হাবীব, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৬৪-৩৬৫। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।