বন্দনা বট পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট বৃক্ষ

বৈজ্ঞানিক নাম: Ficus ampelas Burm. f.,

সমনাম: Ficus exasperata Roxb. (1814), Ficus biglandulosa Miq. (1848), Ficus irisana Elmer (1906), Ficus rubricaulis Decne. (1934).

ইংরেজি নাম: জানা নেই।

স্থানীয় নাম: বন্দনা বট।

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস

জগৎ/রাজ্য: Plantae

বিভাগ: Angiosperms

অবিন্যাসিত: Eudicots

অবিন্যাসিত: Rosids

বর্গ: Rosales

পরিবার: Moraceae

গণ: Ficus

প্রজাতি: Ficus ampelas Burm. f., Fl. Ind.: 226 (1768).

বর্ণনা: বন্দনা বট মোরাসি পরিবারের ফাইকাস গণের একটি গুল্ম অথবা ছোট বৃক্ষ। এরা ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু, শাখাপ্রশাখা প্রায়ক্ষেত্রেই শুষ্ক অবস্থায় বাদামী থেকে কালচে। পল্লব কিঞ্চিৎ অনুরোমশ থেকে প্রায় মসৃণ, কিঞ্চিৎ রুক্ষ। পাতা দ্বি-সারি, অণুপর্ণী, উপপত্র ০.৩-০.৮ সেমি লম্বা, রৈখিক-ভল্লাকার, মসৃণ, আশুপাতী, ফলক বৃন্তক, বৃন্ত ০.৪- ১.০ x ২-৫ সেমি, প্রায় চর্মবৎ থেকে কাগজবৎ, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র থেকে পুচ্ছাকৃতি, নিম্নপ্রান্ত কীলকাকার বা স্থূলাগ্র অথবা গোলাকার, কিনারা অখন্ড, পৃষ্ঠাবর্তী, উপরের পৃষ্ঠ কিঞ্চিৎ অনুরোমশ, কর্কশ থেকে মসৃণ, কখনও কখনও উজ্জ্বল, নিম্নপৃষ্ঠ বিক্ষিপ্তভাবে অণুরোমাবৃত থেকে মসৃণ, পার্শ্বশিরা ৩-৮ জোড়া, পাদদেশীয় জোড়া অশাখ, তৃতীয়ক শিরাসমূহ শিথিলভাবে সোপানাকার থেকে জালিকাকার, পাদদেশীয় পার্শ্বশিরার কক্ষে মোমতুল্য গ্রন্থি বিদ্যমান।

ফিগ কাক্ষিক, একক অথবা জোড়বদ্ধ, ঝুলন্ত, বৃন্ত ২ সেমি পর্যন্ত লম্বা, মঞ্জরীপত্র ১-৩টি, বিক্ষিপ্ত, পুষ্পধার গোলকাকার, শুষ্ক অবস্থায় ০.৪-১.২ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট, অণুরোমশ, কতিপয় ক্ষুদ্র পার্শ্বমঞ্জরীপত্র বিদ্যমান অথবা অনুপস্থিত, পরিণত অবস্থায় হলুদাভ থেকে লালচে অথবা বেগুনী। গল পুষ্প অবৃন্তক বা খর্বাকার বৃন্তবিশিষ্ট, বৃতির খন্ডক ৪টি, গর্ভাশয় গোলকাকার থেকে তির্যক ডিম্বাকার, গর্ভদন্ড খর্ব, পার্শ্বীয়, গর্ভমুণ্ড আংশিক দ্বি-খন্ডিত। স্ত্রী পুষ্প প্রায় অবৃন্তক থেকে বৃন্তক, বৃতির খন্ড ৪টি বা ৫টি, গর্ভাশয় তির্যক গোলকাকার, গর্ভদন্ড লম্বা, মসৃণ, গভমুণ্ড দ্বি-খন্ডিত। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে এপ্রিল-আগষ্ট।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৬, ২৮ (Fedorov, 1969, Ficus irisana Elmer নামের অধীনে)।

আবাসস্থল: অরণ্য এবং গৌণ অরণ্য।

আরো পড়ুন:  কাঁঠালি বট দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার একটি বড় বৃক্ষ

বিস্তৃতি: ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, মলুক্কাস, নিউগিনি এবং ফিলিপাইন। বাংলাদেশে এই প্রজাতিটি হবিগঞ্জ জেলায় পাওয়া যায় (Uddin et al., 2003).

অর্থনৈতিক ব্যবহার/গুরুত্ব/ক্ষতিকর দিক: কাঠ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জাতিতাত্বিক ব্যবহার: জানা নেই।

বংশ বিস্তার: বীজ দ্বারা।

প্রজাতিটির সংকটের কারণ: আবাসস্থল ধ্বংস।

সংরক্ষণ ও বর্তমান অবস্থা: তথ্য সংগৃহিত হয়নি (NE), কিন্তু ধারণা করা হয় ইহা একটি বিরল প্রজাতি। গৃহিত পদক্ষেপ ও সংরক্ষণের জন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা। গ্রহণ করা হয়নি।

প্রস্তাবিত পদক্ষেপ: প্রজাতিটি পুনরায় খুঁজে বের করার জন্য অন্যান্য পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিষদভাবে অনুসন্ধান চালাতে হবে। প্রকৃতিতে ইহা কোথায় কোথায় বিরাজ করছে তা জানার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি প্রজাতিটি খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে ইহাকে স্বস্থানে এবং স্ব-স্থানের বাইরে সংরক্ষণ করতে হবে।

তথ্যসূত্র:

১. এম অলিউর রহমান, (আগস্ট ২০০৯)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”।  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২০৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!