লুকলুকি এশিয়ার বাণিজ্যিক ফল

[otw_shortcode_info_box border_type=”bordered” border_color_class=”otw-red-border” border_style=”bordered” shadow=”shadow-inner” rounded_corners=”rounded-10″]বৈজ্ঞানিক নাম: Flacourtia jangomas. সমনাম: Flacourtia cataphracta. বাংলা নাম: লুকলুকি, পেলাগোটা, প্যালা, পায়েলা, ঝিটকি, ইংরেজি নাম: Indian plum বা coffee plum. জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae অবিন্যসিত: Angiosperms বর্গ: Malpighiales পরিবার: Salicaceae গণ: Flacourtia, প্রজাতি: Flacourtia jangomas,[/otw_shortcode_info_box]

বর্ণনা: টিপা ফল এক ধরনের টক মিষ্টি অপ্রচলিত ফল। এর অন্যান্য নামগুলো হলো- টিপফল, টিপটিপানি, টিপাটিপি, লুকলুকি, পেলাগোটা, প্যালা, পায়েলা, ঝিটকি, পলাগোটা, টরফই, পানিয়ালা, পানি আমলা, পাইন্না, পাইন্যাগুলা, বেহুই ইত্যাদি। এর ইংরেজি নাম Indian plum বা coffee plum. এর বৈজ্ঞানিক নাম Flacourtia jangomas বা Flacourtia cataphracta। এটি নিচুভূমি এবং পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের ‘উইলো’ পরিবারভুক্ত বৃক্ষ।

লুকলুকির পাতা, আলোকচিত্র: Shijan Kaakkara CC-BY-SA-4.0

বিস্তৃতি: এটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়াতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি চাষ করার ক্ষেত্র ছেড়ে মুক্তভাবে জন্মে থাকে। এর আদি নিবাস জানা যায়নি তবে ধারনা করা হয়, এটি এশিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চল বা ভারতবর্ষে উদ্ভুত।

অবস্থা: এটি ছোট গুল্ম বা বৃক্ষ যা দশ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছ কাঁটাযুক্ত। কাঁটাগুলো শাখান্বিত ও যুথবদ্ধ। ডালপালাতেও কাঁটা থাকে। পাতা একক, ডিম্বাকৃতি, কিছুটা লম্বাটে। অগ্রভাগ সূঁচালো। সবুজ রংয়ের পাতা কিছুটা ঢেউ খেলানো থাকে। পাতার কিনারায় সামান্য খাঁজ কাটা থাকে। গাছে মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে। এর ফুল ছোট, সাদাটে সবুজ থেকে বেগুনী এবং সুগন্ধী। ফুল ফোটে গুচ্ছাকারে। ফল গোলাকার মার্বেলের মতো, খোসা পাতলা ও মসৃণ। কাঁচা অবস্থায় সবুজ। কাঁচা ফলও খাওয়া যায়। ফল পাকে জুলাই-আগস্ট মাসে। পাকা ফলের সংরক্ষণ গুণ ভালো। ফল পাকলে লালচে বেগুনী রঙের হয়। পাকা ফলের ভেতরটা বাদামী বা কালচে গোলাপী রঙের। টিপা ফল পাকার পরে টিপে নরম করে খেতে হয়; এই কারণে এমন নামকরণ হয়েছে। আচার বা শরবত করেও এটি খাওয়া হয়। এর ছালে ঔষধি গুণ আছে বলেও অনেকে ধারনা করে থাকেন। ‘কুইন্সল্যান্ড ফ্রুট ফ্লাই’ (Bactrocera tryoni) নামক এক প্রকার মাছির আবাস ও আশ্রয় হিসেবে এই গাছের পরিচিতি রয়েছে। অপ্রচলিত এই ফলটি এখন বাংলাদেশে অনেক সহজলভ্য; এর চাষ ও বানিজ্যিক উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়ছে।

আরো পড়ুন:  চালতা গাছ ও ফলের পাঁচটি ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

কাঠের জন্যেও এই গাছ চাষ করা হয়। ভারতের তামিলনাড়ু, কেরালা ও কর্ণাটক রাজ্যে কাঠের জন্য মাঝে মাঝে চাষ করা হয়। এটি প্রায়ই সেগুন এবং অন্যান্য ব্যয়বহুল কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

 

1 thought on “লুকলুকি এশিয়ার বাণিজ্যিক ফল”

  1. লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। এরকম লেখা পেলে নতুন কিছু জানা যায়

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!