ভূমিকা: থেচু Clusiaceae পরিবারের গারসিনিয়া গণের একটি সপুষ্পক বৃক্ষ। এরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ছোট খাড়া বৃক্ষ। এরা প্রায় ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এদের বাকল বাদামি ধূসর, অমসৃণ, কাটা স্থান থেকে হলুদ তরুক্ষীর নিঃসরিত হয়।
বৈজ্ঞানিক নামঃ Garcinia anomala. Planch & Triana
সমনাম: জানা নেই বাংলা নাম: থেচু ইংরেজি নাম: জানা নেই
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্যঃ Plantae – Plants উপরাজ্যঃ Tracheobionta – Vascular plantsবিভাগ: Magnoliophyta – Flowering plants শ্রেণী: Magnoliopsida – Dicotyledons উপশ্রেণিঃ Dilleniidae বর্গঃ Theales পরিবার: Clusiaceae – Mangosteen family গণ: Garcinia L. – saptree প্রজাতি: Garcinia anomala. Planch & Triana
বিবরণ: থেচু প্রায় ১৫ মিটার উঁচু বৃক্ষ। এদের ফুলের বৃত্যংশ ৪টি, স্থায়ী পাপড়ি সাদাটে সবুজ, আশুপাতী, বন্ধ্যা পুংকেশর অনেক, গর্ভাশয় দীর্ঘায়ত, ২ কোষী, ১ ডিম্বক বিশিষ্ট, গর্ভমুন্ড চাকতি সদৃশ, মুকুট যুক্ত, প্রান্ত সম্মুখে বা পশ্চাৎমুখী বক্র, সমান্তরাল রেখাযুক্ত, অনিয়মিত ক্ষুদ্র খন্ডিত। ফল বেরি, ৪.২-৩.৫ সেমি লম্বা, উপবৃত্তাকার, গাঢ় জলপাইবৎ ধূসর সবুজ বা কমলা হলুদ, মসৃণ, গর্ভমুন্ডের মুকুট যুক্ত এবং বৃত্যংশ দ্বারা আলম্বিত। বীজ ১-২ টি, প্রায় ৮ x ৬ মিমি ।
ক্রোমােসােম সংখ্যা: জানা নেই।
আবাসস্থল ও চাষাবাদ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০-১৮০০ মিটার উঁচু চিরহরিৎ অরণ্য। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে নভেম্বর-আগস্ট মাসে। বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার হয়।
বিস্তৃতি: ভারত (আসাম, খাসি-হিল, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড) ও মায়ানমার । Singh (1993) কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে নথিভূক্ত।
অন্যান্য তথ্য:বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) থেচু প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রজাতিটির সংকটের কারণ আবাসস্থল ধ্বংস, অবৈধরূপে গাছ কর্তন ও অরণ্য পরিস্কার। বাংলাদেশে থেচু সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে এদের সংরক্ষণ বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি সম্পর্কে তথ্য সংগৃহীত হয়নি (NE). প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রজাতিটির অবস্থান জানা দরকার এবং উপযুক্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংরক্ষণ প্রয়ােজন। ।[১]
আলোকচিত্র: লেখায় ব্যবহৃত মূল চিত্রটি ন্যাশনাল ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, প্যারিসের সৌজন্যে প্রাপ্ত।
তথ্যসূত্র:
১. বি এম রিজিয়া খাতুন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২২৪-২২৫। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।