ভূমিকা: টামারিন্ডাস হচ্ছে ফেবাসি পরিবারের সপুষ্পক একটি উদ্ভিদের গণের নাম। এই গণে একটি মাত্র প্রজাতি আছে যা হচ্ছে তেঁতুল যেটি ফল গাছ হিসাবে লাগানো হয়ে থাকে।
বিবরণ: এই গণের প্রজাতিটি সাধারণত বৃক্ষ। পত্র সম পক্ষল, পত্রক প্রতিমুখ, অনেক, ক্ষুদ্র, উপপত্র সূক্ষ্ম, আশুপাতী, উপপত্রিকা অনুপস্থিত। এদের পুষ্পবিন্যাস রেসিম, শাখার শীর্ষে জন্মে । মঞ্জরীপত্র ও মঞ্জরীপত্রিকা উপস্থিত। বৃত্যংশ ৪ টি, প্রান্ত-আচ্ছাদী। পাপড়ি ৩ টি, প্রান্ত-আচ্ছাদী। এদের পুংকেশর ৩ টি, সম্পূর্ণ, একটি আবরণের মাধ্যমে একত্রিত, উপরের অংশ চিড় যুক্ত, পুংদন্ডের মুক্ত অংশ খাটো, পরাগধানী দীর্ঘায়ত, সর্বমুখ, গর্ভাশয় সদন্ডক, বহু ডিম্বক যুক্ত, গর্ভদন্ড বৃতি নালির চাকতির সাথে যুক্ত, গর্ভমুন্ড শীর্ষীয়।
টামারিন্ডাস গণের ফল রৈখিক-দীর্ঘায়ত, অর্ধচাপা, গোমেন্টাম, বহিস্তৃক ভঙ্গুর, মধ্যত্বক রসালো, অন্তস্ত্বক চর্মবৎ, অভ্যন্তর পার্শ্ব প্রাচীর দ্বারা বিভেদিত। এদের বীজ বিডিম্বাকার, চাপা, বহিস্তৃক দৃঢ়, অসস্যল। বাংলাদেশে এই গণে কেবল তেঁতুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Tamarindus indica) প্রজাতিটি পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র:
১. বিএম রিজিয়া খাতুন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৫৪। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।