গামার গাছ বাংলাদেশ ও ক্রান্তীয় অঞ্চলের বৃক্ষ

বৃক্ষ

গামার গাছ

বৈজ্ঞানিক নাম: Gmelina arborea সমনাম: Gmelina arborea var. canescens Haines; Gmelina arborea var. glaucescens C.B.Clarke; Gmelina rheedei Hook. [Illegitimate]; Gmelina sinuata Link বাংলা নাম: গামার, গামারি, গাম্বার। ইংরেজি নাম: Chandahar Tree, Cashmere Tree, Comb Teak, White Teak. আদিবাসি নাম: গাম্ভার, বল-কোবাক(গারো), রামানি (মগ), রেমেনিবা (মারমা), গামারি গাছ (তঞ্চঙ্গা), আব্বেই(খুমি)। গামারি-ফঙ(মান্দি)। 
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস 
জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants উপরাজ্য: Tracheobionta – Vascular plants অধিবিভাগ: Spermatophyta – Seed plants বিভাগ: Magnoliophyta – Flowering plants শ্রেণী: Magnoliopsida – Dicotyledons উপশ্রেণি: Asteridae  বর্গ: Lamiales পরিবার: Verbenaceae – Verbena family. গণ: Gmelina L. – gmelina. প্রজাতি: Gmelina arborea Roxb. – gumhar.

গামার গাছ-এর পরিচিতি:

গামার (বোটানিক্যাল নাম Gmelina arborea ) মাঝারি আকারের পত্রহরিৎ বৃক্ষ। ২০-২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতা বিপরীত। ওভেট, একোমিনেট। ৬-১০টি শাখা শিরাযুক্ত। পানের মতো আকৃতির পাতলা। পত্রবোঁটা ২-১২ সেমি লম্বা। বাকল সাদা বা উজ্জ্বল-ধূসর।

বসন্ত কালে পাতাহীন ডালে ডালে দেখা যায় গাঢ় হলুদ বরণ ফুল। ফুলের অনেক মিষ্টি গন্ধ, ফুল ৩ থেকে ৩.৫ সেমি লম্বা, ২ ভাগে বিভক্ত। এর পুষ্পমধু ভোমরাদের খুবই প্রিয়। ফল ড্রোপ জাতীয়। প্রায় আড়াই সেমি ব্যাসের হয়ে থাকে। ফল শাঁসাল, পাকলে হালকা হলুদ হয়। ফলে এক থেকে দুটি বীজ। গামারির ফল দেখতে গোলাকার। 

বিস্তৃতি:

বাংলাদেশের সর্বত্রই এদের দেখা যায়। তবে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট, ময়মনসিংহ বনাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও দক্ষিণপুর্ব এশিয়ায় জন্মে। ভারতের আসাম এবং দক্ষিণ বিহার ও উড়িষ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের এর সংলগ্ন এলাকায় এ গাছ হয়।

দারুবৃক্ষ:

মাঝারি ভারি ও শক্ত, গ্রথন মধ্যম রুক্ষ, বুনন সোজা থেকে তরঙ্গিত; নির্মাণকাজ, আসবাব, দরজা ও জানালার ফ্রেম, মন্ড, ভিনিয়ার, নৌকা, গাণিতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহূত; পার্বত্যবন, শালবন ও গ্রামের জঙ্গলে জন্মে।

গামার গাছ-এর ব্যবহার:

কচি পাতার রস গনোরিয়া ও কফের ওষুধ। ফুল শ্বেতি ও রক্তের রোগে ব্যবহৃত হয়। গণোরিয়া ও বেশ কিছু চর্মরোগে ব্যবহার করা হয়। শিকড় কৃমিনাশক ও কুষ্ঠরোগে উপকারী। গাছের ফল ব্যবহৃত হয় আমাশয়, রক্তপিত্ত ইত্যাদি সারাতে। বিবিধঃ Gmelina গণে ৭টি প্রজাতি রয়েছে।

আরো পড়ুন:  আর্টোকারপাস হচ্ছে তুঁত পরিবারের বৃক্ষের একটি গণের নাম

Leave a Comment

error: Content is protected !!