ভূমিকা: পঙ্গামিয়া (লাতিন: Pongamia) হচ্ছে ফেবাসি পরিবারের ঘন ডালপালা বিশিষ্ট চিরসবুজ বৃক্ষের গণের নাম। এই গনের প্রজাতিগুলো দেখতে অনেকটা বট গাছের মতো। এই গণে বাংলাদেশের একটি প্রজাতি হচ্ছে করচ বা করঞ্জা গাছ।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae; বিভাগ: Angiosperms; অবিন্যাসিত: Edicots; অবিন্যাসিত: Rosids; বর্গ: Fabales; পরিবার: Fabaceae; গণ: Pongamia;
পঙ্গামিয়া গণের বিবরণ:
পঙ্গামিয়া গণের প্রজাতিগুলোর পাতা একান্তর, সচূড় পক্ষল, পত্রক প্রতিমুখ, উপপত্র খর্বাকার, উপপত্রিকা অনুপস্থিত। পুষ্পমঞ্জরী কাক্ষিক রেসিম। ফুল সহপত্রী, মঞ্জরীপত্র খর্বাকার, আশুপাতী, মঞ্জরীপত্রিকা ক্ষুদ্র, আশুপাতী অথবা অনুপস্থিত। বৃত্যংশ ৫টি, যুক্ত হয়ে ঘন্টাকার একটি নল গঠন করে, দন্তক অস্পষ্ট। পাপড়ি বহির্গামী, আদর্শ পাপড়ি বিডিম্বাকার বা বর্তুলাকার, পাদদেশ অভিক্ষেপ বিশিষ্ট, পক্ষ পাপড়ি তির্যক আয়তাকার, কিছুটা কীল সংলগ্ন, কীল স্থুলাগ্র।
পঙ্গামিয়া গণের প্রজাতির পুংকেশর ১০টি, ধ্বজকীয় পুংদন্ডগুলো পাদদেশে মুক্ত কিন্তু মাঝখান থেকে উপরের অংশ যুক্ত হয়ে একটি বন্ধ নল গঠন করে, পরাগধানী সমাকৃতির, সবমুখ। গর্ভাশয় প্রায় অবৃন্তক, ২টি ডিম্বক বিশিষ্ট, গর্ভদন্ড সূত্রাকার, ভেতরের দিকে বাঁকা, কন্টক বিহীন, গর্ভমুণ্ড প্রান্তীয়, মুণ্ডাকার। ফল প্রশস্ত, আয়তাকার, অবিদারী, চাপা, ১-বীজীয়। বীজ বৃক্কাকার।
এই গণের প্রজাতিগুলো ঝোপ-ঝাড়, জলমগ্ন ভূমি এবং অরণ্যে জন্মে। সমুদ্রের পাড় বা দ্বীপাঞ্চলের নালা বা ছোট নদীর পাশে, বিল বা হাওড়ে চির সবুজ গাছ হিসাবে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র:
১. এ টি এম নাদেরুজ্জামান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৮ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।