বড় রূপাতোলা বাংলাদেশের অরণ্যে জন্মানো লতা

লতা

বড় রূপাতোলা

বৈজ্ঞানিক নাম: Argyreia argentea (Roxb.) Choisy, Mem. Soc. Phys. Geneve. 6: 418 (1833). সমনাম: Lettsomea argentea Roxb. (1824). ইংরেজি নাম: Mai-hkum-ku  স্থানীয় নাম: বড় রূপাতোলা।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Tracheophytes. অবিন্যাসিত: Angiosperms.অবিন্যাসিত: Eudicots. বর্গ: Solanales. পরিবার: Convolvulaceae. গণ: Argyreia, প্রজাতি: Argyreia argentea.

ভূমিকা: বড় রূপাতোলা (বৈজ্ঞানিক নাম: Argyreia argentea) হচ্ছে এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দেশসমূহে জন্মে। লতাটির পাতা অরণ্য পরিবেশে ভালো জন্মে।

বড় রূপাতোলা-এর বর্ণনা:

বৃহৎ আরোহী, শাখা চাপা কোমল দীর্ঘরোম যুক্ত। পত্র সবৃন্তক, বৃন্ত ২.৫-৮.০ সেমি লম্বা, পত্র ফলক ৫-১৫ x ৬-১৫ সেমি, ডিম্বাকার সূক্ষ্মাগ্র থেকে দীর্ঘাগ্র, মূলীয় অংশ তাম্বুলাকার, তরুণপত্র কোমল দীর্ঘ রোমযুক্ত, পরবর্তীতে রোমশ বিহীন, উপরের পৃষ্ঠ সাদা রেশমি বা ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত।

পুষ্পবিন্যাস অক্ষীয় সাইমোস, মঞ্জরীপত্র ভল্লাকার বা রৈখিক। বৃত্যংশ ১.০-১.৫ x ০.৫০.৬ সেমি, ভল্লাকার, অর্ধসম, রোমশ বিহীন। দলমন্ডল ৫ সেমি লম্বা, চোঙ্গাকৃতি, গোলাপী-লাল, বহিরাংশ স্বল্প রোমশ।

পুংকেশর ৫টি, পুংদন্ড সমান, মূলীয় অংশ রোমশ। ফল বেরি, ২-৩ সেমি আড়াআড়ি, কালচে। বীজ প্রায় ৬ মিমি লম্বা, ধূসর, রোমশ বিহীন।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৮ (Fedorov, 1969).

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

গৌণ অরণ্য ও গুল্ম জঙ্গলে জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস। বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার হয়।

বড় রূপাতোলা-এর বিস্তৃতি:

ভুটান, ভারত ও নেপাল। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, যশোর, ময়মনসিংহ, নোয়াখালি ও সিলেট জেলায় জন্মে।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) বড় রূপাতোলা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসভূমি ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত।

বাংলাদেশে বড় রূপাতোলা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির আবাস সুরক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।  

আরো পড়ুন:  বাংলাদেশের তেরোটি জনপ্রিয় আবাদি দৃষ্টিনন্দন আলংকারিক বর্ষার সুগন্ধি ফুল

তথ্যসূত্র:

১. বুশরা খান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৭ম, পৃষ্ঠা ২৫৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি efloraofindia.com থেকে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!