ভূমিকা: বিষধারক লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Argyreia capitiformis) হচ্ছে এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দেশসমূহে জন্মে। লতাটির পাতা ভেষজ ঔষধ হিসাবে বেশ কার্যকরী।
বিষধারক লতা-এর বর্ণনা:
বৃহৎ আরোহী, দুগ্ধবৎ তরুক্ষীর যুক্ত। কান্ড কন্টকরোমী। পত্র ৭-১৩ x ৪-১১ সেমি, ডিম্বাকার থেকে বর্তুলাকার, কদাচিৎ দীর্ঘায়ত-ভল্লাকার, মূলীয় অংশ গভীর তাম্বুলাকার, কদাচিৎ গোলাকার, উভয় পৃষ্ঠ হলুদ খররোমাবৃত।
পুষ্পবিন্যাস ঘন ক্যাপিটেট সাইম, অক্ষীয়, মঞ্জরীদন্ড লম্বা, মঞ্জরীপত্র স্থায়ী, উপবৃত্তাকার থেকে ভল্লাকার, বহিরাংশ হলুদ খররোমাবৃত। বৃত্যংশ অসম, অভ্যন্তরের ২টি অপেক্ষা বহিরাংশের ৩টি দীর্ঘতর, বহির্ভাগ খররোমাবৃত।
দলমন্ডল ৩-৪ সেমি লম্বা, লালাভ বা বেগুনি লাল। পুংদন্ড ভিতরে অবস্থিত, মূলীয় অংশ গ্রন্থিল রোমশ। ফল গোলাকার, কমলা বা লাল বর্ণযুক্ত।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৮ (Fedorov, 1969).
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:
গ্রাম্য ঝোপ ঝাড় এবং অরণ্যের প্রান্তে এই লতা জন্মাতে দেখা যায়। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল নভেম্বর-মার্চ। বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার হয়।
বিষধারক লতা-এর বিস্তৃতি:
ভারতের পূর্বাঞ্চল, এবং দক্ষিণে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মে।
ভেষজ ব্যবহার:
শুকনা লতা জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত। চাকমা জনগোষ্ঠী পায়ে আঘাতের চিকিৎসা করার জন্য পাতার পেষ্ট প্রয়োগ করে।
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) বিষধারক প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে বিষধারক সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. বুশরা খান (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ৭ম, পৃষ্ঠা ২৫৮-২৫৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Len Worthington
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।