ভূমিকা: ঈশ্বরশূল > ঈশ্বরী > জটা > রৌদ্রী > পত্রবল্লী > ঈশ্বরমূল বৈজ্ঞানিক নাম Aristolochia indica এরা Aristolochiaceae পরিবারের Aristolochia গনের সদস্য। এটি এক ধরণের ভেষজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
ইশ্বরমূল বা ঈশ্বরশূল-এর বিবরণ:
চাকমারা ‘পারাঙ্গা লুদি’ ও ‘হরিণকান শাক’ আর ত্রিপুরা সম্প্রদায় বলেন ‘মচইমাকাং’। এটি বহুবর্ষজীবী লতা। সূক্ষ্ম লোমযুক্ত সবুজাভ সাদা লতানো আকৃতির উদ্ভিদ। যেকোনো অবলম্বন পেলে এরা খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। এদের কাণ্ড কাষ্ঠাল ও উপরের অংশ নরম। পাতা হৃৎপিণ্ডাকার, বিপ্রতীপ। ফুলের আকার ছোট। সবুজাভ-সাদা রঙের ফুল ফোটে। এদের পাতা রোমহীন। ফুলের আকার চার সেন্টিমিটার লম্বা। হালকা সবুজ চ্যাপ্টা এবং খণ্ডিত গোড়া সরু। দেখতে অনেকটা নলে পরিণিত হয় যা অনুভূমিক। ফল ক্যাপসুল আয়াতকৃতির। বীজ চ্যাপ্টা, ডিম্বাকৃতি, পক্ষল। রাস্তার ধারে, জঙ্গলে ও পতিত জমিতে এদের দেখা যায়।
বিস্তৃতি:
আদিবাস দক্ষিণ এশিয়া। এছাড়া দক্ষিণ ভারত, শ্রীলঙ্কায় এই লতানো উদ্ভিদটি হয়ে থাকে।
ইশ্বরমূল বা ঈশ্বরশূল-এর ভেষজ গুন:
ঈশ্বরমূল একটি ভেষজ গুন সম্পুর্ন উদ্ভিদ। এটি প্রধানভাবে কাজ করে রসবহ এবং রক্তবহ স্রোতে। এই লতার ব্যবহার্য অংশ পাতা ও মূল। সাপ বা যেকোনো বিষাক্ত পোকা-মাকড় কামড় দিলে এর পাতা বেঁটে রস দিলে উপকার পাওয়া যাবে।
তথ্যসূত্র:
১ শেখ সাদী, উদ্ভিদকোষ, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা, ৭২।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।