মালা আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার কিউকারবিটাসি পরিবারের লতানো উদ্ভিদ

কিউকারবিটাসি পরিবারের প্রজাতি

মালা

বৈজ্ঞানিক নাম: Cayaponia laciniosa (L.) C. Jeffrey সমনাম: Bryonopsis laciniosa (L.) Naud., ও Bryonia laciniosa L. (1753). ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: মালা।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants শ্রেণী: Eudicots উপশ্রেণি: Rosids বর্গ: Cucurbitales পরিবার: Cucurbitaceae উপপরিবার: Cucurbitoideae গণ: Cayaponia প্রজাতি: Cayaponia laciniosa

ভূমিকা: মালা হচ্ছে কিউকারবিটাসি (শসা লাউ) পরিবারের সায়াপোনিয়া গণের একটি বর্ষজীবী আরোহী বীরুৎ।

বিবরণ: মালা লতার কান্ড সরু, প্রলম্বিত। আকর্ষ দ্বিখন্ডিত। পত্র গভীরভাবে করতালাকারে ৫ খন্ডিত, ৮-১২ সেমি লম্বা এবং অনুরুপ পরিমাপ বিশিষ্ট চওড়া। উপরের পৃষ্ঠ অমসৃণ, নীচের পৃষ্ঠ মসৃণ, প্রান্ত দপ্তর বা তরঙ্গিত বা অর্ধ সভঙ্গ, বৃন্ত ৩-৬ সেমি লম্বা। উদ্ভিদ সহবাসী।

পুংপুষ্প: মঞ্জরীদন্ড ০.৫-১.৫ সেমি লম্বা, বৃতি নল ঘন্টাকার, ২-৪ x ৩-৬ মিমি, খন্ড বিস্তৃত, ০.৫-১.০ মিমি লম্বা, দলমন্ডল সবুজ হলুদ, প্রশস্ত ঘন্টাকার, খাটো পিড়কা যুক্ত, ৪-১০ মিমি প্রশস্ত, খন্ড ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র, পুংকেশর ৩টি, বৃতি নলের মধ্যে নিহিত, পুংদন্ড ১.০-১.৫ মিমি লম্বা, পরাগধানী ডিম্বাকার, ২ মিমি লম্বা।

স্ত্রীপুষ্প: গুচ্ছাকার, বৃতি নল ও দলমন্ডল পুংপুষ্পের বৃতিনল ও দলমন্ডলের অনুরূপ, বন্ধ্যা পুংকেশর ৩টি, খাটো, গর্ভাশয় গোলাকার, গর্ভদন্ড সরু, গর্ভমুন্ড ৩টি, পিড়কাযুক্ত। ফল বেরি সদৃশ, গোলাকার, হলুদাভ সবুজ, সরু ৬টি লম্বা দাগ যুক্ত, ১২-১৬ মিমি পুরু। বীজ ধূসর, ফিতা যুক্ত, সরু, সূক্ষ্মা, উভয় পৃষ্ঠ ৫x ৩ মিমি, অভিক্ষেপ যুক্ত, ৩.৫-৪.০ মিমি পুরু। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাসে।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২৪ (McKay, 1930)।

আবাসস্থল: ঘন ঝোপ ও বনভূমি। মালা লতার বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটে।

বিস্তৃতি: আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, মায়ানমার ও শ্রীলংকা। বাংলাদেশের বান্দরবান, চট্টগ্রাম, নিলফামারি, রাজশাহী, সাতক্ষীরা ও সিলেট জেলায় জন্মে।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: উদ্ভিদ কটু স্বাদ যুক্ত এবং রেচক ও টনিকের গুণাগুণ সম্পন্ন। পাতা ফোড়া ও অন্যান্য স্ফীত স্থানে প্রয়োগ করা হয়।

আরো পড়ুন:  বেনিনকাসা হচ্ছে কিউকারবিটাসি (শসা লাউ) পরিবারের একটি গণ

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) মালা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে মালা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে শীঘ্র সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. এম অলিউর রহমান, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩০৪-৫। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!