ভাতিয়া লতা দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চলে জন্মানো ভেষজ লতা

লতা

ভাতিয়া লতা

বৈজ্ঞানিক নাম: Cissus adnata Roxb., Fl. Ind. ed. Carey 1: 405 (1820). সমনাম: Cissus vitiginea sensu Roxb. (1820) non L., Vitis pellida Wight & Arn. (1833), Vitis adnata (Roxb.) Wall. ex Wight & Arn. (1834), Cissus assamica (Lawson) Craib var. pilosissima Gagnep. (1911). ইংরেজি নাম: Entire-Leaf Wild Grape. স্থানীয় নাম: আলিয়াঙ্গা-লতা, ভাতিয়া লতা।
জীববৈজ্ঞানিকশ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ:  Angiosperms. অবিন্যাসিত:  Asterids. অবিন্যাসিত: Eudicots. বর্গ: Vitales পরিবার:  Vitaceae. গণ: Cissus. প্রজাতি: Cissus adnata.

ভূমিকা: ভাতিয়া লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cissus adnata) বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মে। এছাড়াও ভেষজ চিকিৎসায় কাজে লাগে।

ভাতিয়া লতা-এর বর্ণনা:

সরু, কাষ্ঠল আরোহী। শাখাপ্রশাখা, পুষ্পবিন্যাস এবং পাতার নিম্নতল কমলা-লাল ঘন ক্ষুদ্র রোমাবৃত, আকর্ষী পত্র-প্রতিমুখ, খন্ডিত, পশমী। পত্র সরল, ৮-১৫ x ৫.৫-১৩.০ সেমি, হৃৎপিন্ডাকার, ডিম্বাকার থেকে বর্তুলাকার, শক্ত করাত দন্ডর, সূক্ষ্মাগ্র বা খাটো দীঘাগ্র, উপরিভাগ মোটামুটি রোমহীন, ঝিল্লিময়, পত্রবৃন্ত ৯ সেমি পর্যন্ত লম্বা, উপপত্র বর্তুলাকার, আশুপাতী।

সাইম আম্বেল সদৃশ, পত্র-প্রতিমুখ, ৪ সেমি পর্যন্ত লম্বা, মঞ্জরীদন্ড বাদামী। ঘন ক্ষুদ্র রোমাবৃত, পুষ্পবৃন্ত ১.৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা, রোমশ। পুষ্প সবুজাভ হলুদ। বৃতি কর্তিতাগ্র। দলমন্ডল খন্ডক ৪টি, ডিম্বাকার, ৩ মিমি পর্যন্ত লম্বা। গর্ভাশয় ২-কোষী, গর্ভদন্ড বেলনাকার। ফল বেরী, মসৃণ, ১-বীজী।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২০, ৪৮ (Kumar and Subramaniam, 1986).

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

প্রথমিক বনাঞ্চল এবং গ্রামের ঝোপ ঝারে জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল মার্চ-আগস্ট। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং মৌল কান্ড দ্বারা

বিস্তৃতি:

ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং নিউগিনি। বাংলাদেশের বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী এবং সিলেট জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত।

ভাতিয়া লতা-এর ব্যবহার:

শুষ্ক মৌল কান্ডের সিদ্ধ ক্বাথ বায়ুনাশক এবং রক্ত পরিস্কারক (Yusuf | et al., 1994).

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) ভাতিয়া লতা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

আরো পড়ুন:  দুরালভা লতা-র নানাবিধ উপকারিতা ও প্রযোগ

বাংলাদেশে ভাতিয়া লতা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির চাষাবাদ প্রয়োজন নেই।  

তথ্যসূত্র:

১. এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১০ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৫০৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম:  Bhabini Huirem

Leave a Comment

error: Content is protected !!