ভূমিকা: মৃগী লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cissus assamica) বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মে। এছাড়াও ভেষজ চিকিৎসায় কাজে লাগে।
মৃগী লতা-এর বর্ণনা:
বৃহৎ কাষ্ঠল আরোহী যা কোণাকার লালাভ দাগযুক্ত কান্ড বিশিষ্ট এবং সরল আকর্ষী বহনকারী। পত্র সরল, ৭-২০ x ৪-১৪ সেমি, ঝিল্লিময়, ডিম্বাকার-বর্তুলাকার, হৃৎপিন্ডাকার, হঠাৎ দীর্ঘা, শক্ত করাত দপ্তর, শিরা উপরিভাগে স্পষ্ট, পত্রবৃন্ত ১২ সেমি পর্যন্ত লম্বা, উপপত্র আয়তাকার, গোলাকার, ২-৩ মিমি লম্বা।
পুষ্পবিন্যাস কাক্ষিক, পত্র-প্রতিমুখ, আম্বেল সদৃশ সাইম। পুষ্প ৪-অংশক। বৃতি পেয়ালা-আকৃতির, খন্ডক যুক্ত। দল খন্ডক লালাভ, প্রান্তস্পর্শী, ২ মিমি লম্বা। গভর্দন্ড ২.৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা, গর্ভমুণ্ড অর্ধমুন্ডাকার। ফল বেরী, ১-বীজী।
ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৪৮ (Kumar and Subramaniam, 1986).
আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:
বর্ষা অরণ্য। ফুল ও ফল ধারণ এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং মৌল কান্ড দ্বারা।
বিস্তৃতি:
ভারত এবং মায়ানমার। বাংলাদেশে চট্টগ্রাম কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় বনাঞ্চলে বিস্তৃত।
জাতিতাত্বিক ব্যবহার: মূলের নির্যাস মৃগী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত (Rahman et al., 2003).
অন্যান্য তথ্য:
বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) মৃগী লতা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রাথমিক বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে মৃগী লতা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির চাষাবাদ প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১০ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৫০৬-৫০৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flickr.com থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Reuben C. J. Lim
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।
My son is suffering form epilepsy. I want mrito lata.