ছোট মরমরিয়া লতা বাংলাদেশের পাহাড়ে জন্মানো ভেষজ প্রজাতি

ভেষজ প্রজাতি

ছোট মরমরিয়া লতা

বৈজ্ঞানিক নাম: Cissus repens Lamk., Encycl. Math. Bot. 1: 31 (1783).সমনাম: Cissus cordata Roxb. (1832), Vitis repens (Lamk.) Wight & Arn. (1834). ইংরেজি নাম: Creeping Treebine স্থানীয় নাম: মরমরিয়া-পাতা, ছোট মরমরিয়া লতা।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ:  Angiosperms. অবিন্যাসিত:  Asterids. অবিন্যাসিত: Eudicots. বর্গ: Vitales পরিবার:  Vitaceae. গণ: Cissus. প্রজাতি: Cissus repens.

ভূমিকা: ছোট মরমরিয়া লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cissus repens) বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মে। এছাড়াও ভেষজ চিকিৎসায় কাজে লাগে।

ছোট মরমরিয়া লতা-এর বর্ণনা:

বৃহৎ রোমহীন বীরুৎসদৃশ আরোহী। দেখতে চারকোণাকার কান্ডবিশিষ্ট। কান্ড স্থূল রসালো যা সাদা মরিচাযুক্ত। পত্র সরল, ঝিল্লিময়, ডিম্বাকার, হৃৎপিন্ডাকার, সূক্ষ্মাগ্র থেকে দীর্ঘাগ্র, ৫-১২ x ৩-৭ সেমি, প্রান্ত হালকা গোলাকার করাত দপ্তর, মূলীয় শিরা ৪ জোড়া, পত্রবৃন্ত ১২ সেমি পর্যন্ত লম্বা, উপপত্র প্রায় ৪ মিমি লম্বা। আকর্ষী পত্র-প্রতিমুখ, সরল বা খন্ডিত।

পুষ্পবিন্যাস পত্র-প্রতিমুখ সাইম যা করিম্বসদৃশ প্যানিকল, মঞ্জরীদন্ড ৪ মিমি পর্যন্ত লম্বা, পুষ্পবৃন্ত ৫ মিমি পর্যন্ত লম্বা, সরু, রোমশ। পুষ্প সবুজাভ-লাল। বৃতি পেয়ালাকার, ২ মিমি পর্যন্ত লম্বা, প্রান্ত অখন্ডিত। দল খন্ডক ৩ মিমি পর্যন্ত লম্বা, লাল শীর্ষ স্থূল। গর্ভমুণ্ড খাটো। ফল বেরী, পাকলে রক্ত-বেগুনিকালো, ১-বীজী, বীজ গােলাকার।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৯৬ (Kumar and Subramaniam, 1986).

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

পাহাড়ী বনের বৃষ্টিপাতযুক্ত এলাকা। ফুল ও ফল ধারণ জুন থেকে ডিসেম্বর মাস। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং মৌল কান্ড দ্বারা।

বিস্তৃতি:

ভারত, পশ্চিমান্ডলীয় পেনিনসুলা এবং জাভা। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটি জেলায় বিস্তৃত।

জাতিতাত্বিক ব্যবহার: স্থানীয় লোকেরা পাতা এবং কচি বিটপ সবজি হিসেবে খায় (Rahman et al., 2003).

ছোট মরমরিয়া লতা-এর অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) ছোট মরমরিয়া লতা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বনের ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার এবং পোড়ানোর কারণে বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত।

আরো পড়ুন:  ঘোড়া গুলঞ্চ লতা বাংলাদেশসহ এশিয়ার এক উপকারি ঔষধি লতা গাছ

বাংলাদেশে ছোট মরমরিয়া লতা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির চাষাবাদ প্রয়োজন নেই।  

তথ্যসূত্র:

১. এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১০ম (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৫১০-৫১১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: FarEnd2018

Leave a Comment

error: Content is protected !!