গন্ধভাদালি লতা উৎকট গন্ধযুক্ত ভেষজ গুণ সম্পন্ন

লতা

গন্ধভাদালি

বৈজ্ঞানিক নাম: Paederia foetida. সমনাম: P. magnifica Noronha (nom. nud.), P. scandens (Lour.) Merr, P. tomentosa Blume, Gentiana scandens Lour, সাধারণ নাম: skunkvine, stinkvine, বা Chinese fever vine. বাংলা নাম: গাঁদাল বা গন্ধভাদালি লতা বা গন্ধভাদুলি বা গন্ধভাদাল
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Gentianales পরিবার: Rubiaceae গণ: Paederia প্রজাতি: Paederia foetida

পরিচিতি: এই গাছের প্রচলিত নাম গাঁদাল বা গন্ধভাদালি বা গন্ধভাদুলি বা গন্ধভাদাল। এটি ভারতের প্রায় সব প্রদেশেই কম বেশি পাওয়া যায়। এটি দেখতে লতানো গাছ। সচরাচর দেখা যায় অপর গাছ অথবা বাগানের বেড়ায় বেয়ে উঠতে। তবে জনপদে যত্র তত্র যে হয়ে আছে এটাও নয়। তবে সাধারণভাবে এটি লাগানো হয়ে থাকে। এ ছাড়াও এটি মধ্য ও পূর্ব হিমালয়ে পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতার মধ্যেও দেখা যায়। এর লতাপাতায় উৎকট বিষ্ঠার মতো গন্ধ হয়; সেইজন্য এর একটি নাম ‘পুতিগন্ধা’। বর্ষাকালেই তার বাড় বাড়ন্ত বেশি হয়ে থাকে। শরতে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং মাসের শেষে ফল হয়। এইজন্যই আয়ুর্বেদের ভৈষজ্য সংগ্রহের নির্দেশে এই শরতেই তার সংগ্রহের কাল। এটির বোটানিক নাম Paederia foetida Linn. পরিবার Rubiaceae. এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে পড়ুন

গন্ধভাদালি লতার ঔষধি গুণাগুণ

এদেশে এর আর একটি প্রজাতি পাওয়া যায়; তার প্রচলিত নাম ভুই গাঁদাল বা ছোট গাঁদাল, এর পাতাগুলি আকারে একটু ছোট ও অল্প রোমশ এবং তার লতাটাও একটু শীর্ণ, তার লতায় পাতায় দুর্গন্ধ একটু  কম থাকে। সেই গাছের বোটানিক্যাল নাম Paedoria tomentosa Blume. এছাড়া গাছ প্রসারণী বলে ব্যবহার হয়ে থাকে।[১]

বিস্তৃতি:  গন্ধভাদুলি বা গন্ধভাদাল গাছটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সর্বত্রেই দেখা যায়। বাংলাদেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ে বেশে জন্মে থাকে।

আরো পড়ুন:  নাগবল্লী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভেষজ গুণ সম্পন্ন ও টবে চাষযোগ্য আলংকারিক উদ্ভিদ

চাষ পদ্ধতি: গন্ধভাদালি লতা অন্য গাছে উপর নির্ভর করে বেড়ে ওঠে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে ফুল হয় তারপরে ফল ধরে। বর্ষাকাল এই গাছের বৃদ্ধির জন্য উৎকৃষ্ট সময়।

ব্যবহৃত অংশ: ঔষধ হিসেবে এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়।[২]

তথ্যসূত্রঃ

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ২২৯।

২.  শেখ সাদী; উদ্ভিদকোষ, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা, ১৩০।

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Forest and Kim Starr

Leave a Comment

error: Content is protected !!