বিছুটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ

উদ্ভিদ

বিছুটি

বৈজ্ঞানিক নাম: Tragia involucrata. সাধারণ নাম: Dumuni Chorat, Indian stinging nettle, climbing nettle, canchorie root-plant, Pit Parni, Barhanta, Turike Balli, Kodithumba, Cherukodithuva, Choriyanam, Coriyanam, Kodithoova, Aagya, Laghumedhshingi, Aag Paan, Kallaavi, Ut Kateri, transliteration Bichhuati, Kasalakku, Duhsparsha, Vrischikacchad, Vrischikapatri, Vrischikali, Aagmavarta, Kashagnih, Kanchori, Telukondicettu বাংলা নাম: বিছুটি
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Rosids বর্গ: Malpighiales পরিবার: Euphorbiaceae গণ: Tragia প্রজাতি: Tragia involucrata

পরিচিতি: বিছুটি বর্ষজীবী লতা। রাস্তার ধারে ও জঙ্গলের পাশে এদের দেখা যায়। ঘন শাখা বিশিষ্ট লতা। দেড় মিটারের মতো বড় হয়। পাতা ডিম্বাকৃতি হয়ে থাকে। অগ্রভাগ ক্রমশ সরু। উভয় দিকে পশমের ন্যায় সাদা লোম থাকে। পাতার কিনারা করাতের মতো দাঁত থাকে। পুষ্পদণ্ড খাড়া হয় ও অনেক ফুল হয় থাকে। প্রত্যেক গাইট থেকে ফুল বের হয়।[১]

বিছুটি পরাশ্রয়ী লতা।  রোমযুক্ত লতাগাছটি ভারত ও বাংলাদেশের শীতোষ্ণপ্রধান অঞ্চলের প্রায় সবখানেই পতিত জমিতে দেখা যায়। এছাড়া হিমালয়ের পাদদেশেও হয়ে থাকে। সমাজের বহু লোকের সঙ্গে এই লতাগাছটির পরিচয় আছে। কারণ কারো সাথে বিছুটির সংস্পর্শ হলেই যে জ্বালা  হয় তা ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভোগ করতে হয় এবং সেখানটায় ফুলেও ওঠে; আর যদি ভিজা গায়ে সঙ্গে দেন বা জলবিছুটি হয় তা হলে আর কথাই নেই। এর প্রচলিত নাম বিছুটিই, এছাড়া হিন্দিভাষী অঞ্চলে একে বলে ‘বারহন্ত’, উড়িষ্যার অঞ্চলবিশেষে বলে বিছুয়াতি।

এই লতাগাছটি বিশেষ লম্বা হয় না, পাতার আকার গাঁদাল পাতার মতো হলেও তার কিনারায় করাতের মতো কাটা। লতা ও পাতার সন্ধিস্থল অর্থাৎ গোড়া থেকে ফুল ও পরে ৩টি কোষীযুক্ত রোমাবৃত ফল হয়, এই ত্রিকোষীযুন্ত ফল হওয়াটা যেমন এই ফ্যামিলির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য, তেমনি ফল পাকলেই ফেটেও যায়। এই লতাগাছ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। [২]

আরো পড়ুন:  ছোট মরমরিয়া লতা বাংলাদেশের পাহাড়ে জন্মানো ভেষজ প্রজাতি

বিস্তৃতি: বাংলাদেশ, ভারতসহ নাতিশীতোষ্ণ দেশে জন্মে থাকে।

চাষ পদ্ধতি: অযত্নে পতিত জমিতে এটি জন্মে থাকে। বীজ থেকে গাছ হয়।

 বিছুটি গাছের ভেষজ গুণ

ব্যবহার্য অংশ: ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয় মূল ও ফল। এরা বর্ষজীবী হলেও অনেক দিন বেঁচে। পাতা ও লতা সীম গাছ সদৃশ্য। | ছোট ছোট লোম দ্বারা ঢাকা পাতা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে বিছুটি বীজ ও শিকড় বলকারক এবং শুঁটি ক্রিমি রোগে ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসূত্র:

১ শেখ সাদি; উদ্ভিদকোষ, দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা, ২৮৩।

২  আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ২৩৪।

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke

Leave a Comment

error: Content is protected !!