বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় যার ছদ্মনাম ছিলো বনফুল। একটি উদার এবং রুচিশীল পারিবারিক পরিমণ্ডলের সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারী ছিলেন শিল্পী বনফুল। তার পিতামহ কেদারনাথ ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ এবং তান্ত্রিক কালীসাধক। বনফুলের পিতা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়ের জীবনের প্রাথমিক পর্যায় খুব একটা মসৃণ ছিল না। বাল্যকালেই মাতৃহীন হয়ে মামা-বাড়িতে মানুষ হন তিনি। ফলে জীবনকে তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। কিন্তু সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে তিনি কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হন। সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রচেষ্টায় মণিহারী গ্রামে একটি লোয়ার প্রাইমারি স্কুল স্থাপিত হয় এবং পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠানটি পরিণত হয় মাইনর স্কুলে। জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের আবাসস্থলও ছিল সত্যচরণের গৃহ। শুধু শিক্ষকবৃন্দ নয়, আত্মীয়-পরিজন, পরিচিত-অপরিচিত অনেকেরই উদার ও নিঃসঙ্কোচ আশ্রয় ছিল এ পরিবার।

জন্ম ও শৈশব :

১৮৯৯ সালের ১৯ জুলাই (বাংলা : ৪ শ্রাবণ ১৩০৬) বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী গ্রামে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল) জন্ম গ্রহণ করেন। সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় এবং মৃণালিনী দেবীর ছয় পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে বনফুল ছিলেন সর্বজ্যেষ্ঠ। মণিহারী বিহারের প্রত্যন্ত গ্রাম। এ গ্রামের এক ছায়াসুনিবিড় পরিবেশে সত্যচরণের আবাস। বাড়ির অদূরেই ছিল পাহাড় এবং পাহাড়ের চারদিক ছিল বনবেষ্টিত। ফলে তাদের বাড়ির আঙিনায় বন্য শূকর-সাপ-খরগোশের ছিল নিত্য আসা-যাওয়া। এরূপ স্বরাচ্ছন্ন ও রহস্যময় ভূ-প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠে শিশু বনফুল।

শিক্ষাজীবন :

মণিহারী মাইনর স্কুলে বনফুলের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন সত্যচরণের অনুজ চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিবিড় পরিচর্যার মধ্য দিয়ে বনফুল বাংলা ও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করেন। চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এসময় তিনি যেসব শিক্ষকের সাহচর্য লাভ করেন তারা হলেন : পণ্ডিত হরেরামবাবু, ভূতনাথ পণ্ডিত, পণ্ডিত হরসুন্দরবাবু প্রমুখ। এঁদের সকলের উদার পরিচর্যায় মাইনর পরীক্ষায় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে বৃত্তিপ্রাপ্ত হন বনফুল।

১৯১৪ সালে তিনি সাহেবগঞ্জ রেলওয়ে হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ১৯১৮ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ স্কুলে অধ্যয়নকালে ফোর্থ মাস্টার রামতারণ নসিপুরীর অনুপ্রেরণায় তিনি অনেকগুলো ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ এবং ‘বিকাশ’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন। এরপর ১৯২০ সালে বনফুল হাজারিবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কলেজ জীবনেও তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মিশনারি অধ্যাপক এবং বাঙালি অধ্যাপকের সান্নিধ্য অর্জনকরেন।

আরো পড়ুন:  উৎপল দত্ত বাংলার এক মহান নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক

একই বছর তিনি ভর্তি হন কলকাতা মেডিকেল কলেজে। গ্রামীণ পরিবেশ পরিসরের সনাতন সংস্কার এবং মূল্যবোধের বিপরীতে এ-পর্যায়ে কলকাতা শহরের নাগরিক-জীবনের রূঢ় বাস্তবতার সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। মেডিকেল কলেজে পড়বার সময় ডাক্তার বনবিহারী মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, নাট্যকার-অভিনেতা শিশির ভাদুরী প্রমুখের সঙ্গলাভ করেন বনফুল। ১৯২৬ সালে বিহারের পাটনায় মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হলে তিনি রাজ্য সরকারের নির্দেশক্রমে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে পাটনা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত হন। ১৯২৭ সালে পাটনা প্রিন্স অব ওয়েলস মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি ডাক্তারি পরীক্ষায় (এম.বি.) উত্তীর্ণ হন।

সংসারজীবন :

বর্মাদেশের মিচিনা শহরের আ্যাডভোকেট গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা লীলাবতীর সঙ্গে ১৯২৭ সালে বনফুলের বিবাহ সম্পন্ন হয়। লীলাবতী সে-সময় বেথুন কলেজে পড়তেন। ১৯২৯ সালে এ দম্পতির প্রথম কন্যা সন্তান কেয়ার জন্ম হয়। এছাড়া ১৯৩১ সালে অসীম এবং ১৯৩৪ সালে চিরন্ময়ের জন্ম হয়। শেষের বছর বিহারে এক প্রচণ্ড ভূমিকম্পে বনফুলের বাসগৃহ পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের কনিষ্ঠ কন্যা করবী । ১৯৪৫ সালে ভাগলপুরের আদমপুর মহল্লায় একটি বাড়ি ক্রয় করে সেখানে স্থায়িভাবে সপরিবার বসবাস শুরু করেন বনফুল। ১৯৭৬ সালে লীলাবতীর মৃত্যু হয়।

কর্মজীবন :

১৯২৭ সালে পাটনা মেডিকেল কলেজে জুনিয়র হাউস সার্জনের চাকরি গ্রহণের মধ্য দিয়ে বনফুলের কর্মজীবনের সূচনা হয়। অবশ্য এবছরই তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ করে ডাক্তার চারুব্রত রায়ের সান্নিধ্যে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯২৮ সালে বনফুল আজিমগঞ্জ মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের চাকরি গ্রহণ করেন এবং পরের বছর পুনরায় চাকরি ত্যাগ করে ভাগলপুরে ‘The Sero Bactro Clinic’ নামে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করে প্যাথলজিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ভাগলপুরে বসবাসকালে অনেক কীর্তিমান কবি-সাহিত্যিকের সঙ্গে বনফুলের প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটে। এঁদের মধ্যে সজনীকান্ত দাস (১৯০০-১৯৬২), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১), বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০), মোহিতলাল মজুমদার (১৮৮৮-১৯৫২) প্রমুখ অন্যতম।

সাহিত্যসাধনা :

স্কুলজীবনে ১৯১৫ সালে মালঞ্চ পত্রিকায় বনফুলের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে সাহিত্যাঙ্গনে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯১৮ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় কবিতা রচনার মাধ্যমে। ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় তা প্রথম গল্প সংকলন বনফুলের গল্প। একই বছর প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস তৃণখণ্ড এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ বনফুলের কবিতা। মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে গল্প-রচনায় প্রলুব্ধ হন বনফুল। নির্জন শ্রেণিকক্ষে এসময় তিনি একাধারে চার-পাঁচটি করে গল্প লিখতেন। গল্প-কবিতা রচনার পাশাপাশি নাট্যরচনায়ও এ পর্যায়ে তার পারদর্শিতার পরিচয় মেলে। সামগ্রিকভাবে বনফুলের ৬৬ টি উপন্যাস, ২১ ছোটগল্পগ্রন্থ, ৮ টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩ টি নাটকসহ ১০ টি প্রবন্ধ, রম্যরচনা এবং আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রয়েছে।

আরো পড়ুন:  ল. ন. তলস্তয়

পুরস্কার :

সাহিত্যসাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি শরৎস্মৃতি পুরস্কার (১৯৫১), রবীন্দ্র-পুরস্কার (১৯৬২), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক (১৯৬৭), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি. লিট উপাধি (১৯৭৩) এবং ভারত সরকারের পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন।

গ্রন্থপঞ্জি: ছোটগল্প:

১. বনফুলের গল্প (১৯৩৬) ২. বনফুলের আরও গল্প (১৯৩৮) ৩. বাহুল্য (১৯৪৩) ৪. বিন্দু-বিসর্গ (১৯৪৪) ৫. অদৃশ্যলোকে (১৯৪৬) ৬. আরও কয়েকটি (১৯৪৭) ৭. তন্বী (১৯৪৯) ৮. নবমঞ্জরী (১৯৫৪) ৯. উর্মিমালা (১৯৫৫), ১০. রঙ্গনা (১৯৫৬) ১১. অনুগামিনী (১৯৫৮) ১২. করবী (১৯৫৮) ১৩. সপ্তমী (১৯৬০) ১৪. দূরবীন (১৯৬১) ১৫. মণিহারী (১৯৬৩) ১৬. ছিট মহল (১৯৬৫) ১৭. এক ঝাক খঞ্জন (১৯৬৭) ১৮. অদ্বিতীয়া (১৯৭৫) ১৯. বহুবর্ণ (১৯৭৬) ২০. বনফুলের নূতন গল্প (১৯৭৬) ২১. বনফুলের শেষলেখা (১৯৭৯)

উপন্যাস:

১. তৃণখণ্ড (১৯৩৫) ২. বৈতরণীর তীরে (১৯৩৬) ৩. দ্বৈরথ (১৯৩৭) ৪. কিছুক্ষণ (১৯৩৭) ৫. মৃগয়া (১৯৪০) ৬. নির্মোক (১৯৪০) ৭. রাত্রি (১৯৪১) ৮. সে ও আমি (১৯৪৩) ৯. জঙ্গম (প্রথম খণ্ড ১৯৪৩) ১০. জঙ্গম (দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৪৫) ১১. জঙ্গম (তৃতীয় খণ্ড ১৯৪৫) ১২. সপ্তর্ষী (১৯৪৫) ১৩. অগ্নি (১৯৪৫) ১৪. নঞ তৎপুরুষ (১৯৪৬) ১৫. স্বপ্ন বাস্তব (১৯৪৬) ১৬. ডানা (প্রথম খণ্ড ১৯৪৮) ১৭. মানদণ্ড (১৯৪৮) ১৮. ভীমপলশ্রী (১৯৪৯) ১৯. নবদিগন্ত (১৯৪৯) ২০. ডানা (দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৫০) ২১. কষ্টিপাথর (১৯৫১) ২২. স্থাবর (১৯৫১) ২৩. লক্ষীর আগমন (১৯৫৪) ২৪. পিতামহ (১৯৫৪) ২৫. বিষমজ্বর (১৯৫৪) ২৬. পঞ্চপর্ব্ব (১৯৫৪) ২৭. ডানা (তৃতীয় খণ্ড ১৯৫৫) ২৮. নিরঞ্জনা (১৯৫৫) ২৯. ভুবন সোম (১৯৫৭) ৩০. উজ্জ্বলা (১৯৫৭) ৩১. মহারানী (১৯৫৮) ৩২. অগ্নিশ্বর (১৯৫৯) ৩৩. জলতরঙ্গ (১৯৫৯) ৩৪. উদয় অস্ত (প্রথম খণ্ড ১৯৫৯) ৩৫. দুই পথিক (১৯৬০) ৩৬. ওরা সব পারে (১৯৬০) ৩৭. হাটে বাজারে (১৯৬১) ৩৮. কন্যাসু (১৯৬২) ৩৯. সীমারেখা (১৯৬২) ৪০. পীতাম্বরের পুনর্জন্ম (১৯৬৩) ৪১. ত্রিবর্ণ (১৯৬৩) ৪২. বর্ণচোরা (১৯৬৪) ৪৩. পক্ষীমিথুন (১৯৬৪) ৪৪. আলোর পিপাসা (১৯৬৪) ৪৫. গন্ধরাজ (১৯৬৬) ৪৬. মানসপুর (১৯৬৬) ৪৭. তীর্থের কাক (১৯৬৬) ৪৮. প্রচ্ছন্ন মহিমা (১৯৬৭) ৪৯. গোপালদেবের স্বপ্ন (১৯৬৯) ৫০. অধিকলাল (১৯৬৯) ৫১. অসংলগ্না (১৯৬৯) ৫২. রূপকথা ও তারপর (১৯৭০) ৫৩. রৌরব (১৯৭০) ৫৪. রঙ্গ-তুরঙ্গ (১৯৭০) ৫৫. তুমি (১৯৭১) ৫৬. সন্ধিপূজা (১৯৭২) ৫৭. এরাও আছে (১৯৭২) ৫৮. কৃষ্ণপক্ষ (১৯৭৩) ৫৯. প্রথম গরল (১৯৭৪) ৬০. উদয় অস্ত (দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৭৪) ৬১. নবীন দত্ত (১৯৭৪) ৬২. আশাবরী (১৯৭৪) ৬৩. সাত সমুদ্র তেরো নদী (১৯৭৬) ৬৪. লী (১৯৭৮) ৬৫. অলংকারপুরী (১৯৭৮) ৬৬. হরিশ্চন্দ্র (১৯৭৯)

আরো পড়ুন:  সাম্যবাদী নেতা ভাষাসংগ্রামী আবদুল মতিন জীবন ও যুদ্ধে ছিলেন জনগণের প্রেরণা

কাব্যগ্রন্থ:

১. বনফুলের কবিতা (১৯২৯) ২. অঙ্গারপর্ণী (১৯৪০) ৩. চতুর্দশী (১৯৪০) ৪. আহবনীয় (১৯৪৩) ৫. করকমলেষু (১৯৪৯) ৬. বনফুলের ব্যঙ্গ কবিতা (১৯৫৮) ৭. নূতন বাঁকে (১৯৫৯) ৮. সুর সপ্তক (১৯৭০)

নাটক:

১. মন্ত্রমুগ্ধ (১৯৩৮) ২. রূপান্তর (১৯৩৮) ৩. শ্রীমধুসূদন (১৯৩৯) ৪. বিদ্যাসাগর (১৯৪১) ৫. মধ্যবিত্ত (১৯৪৩) ৬. দশভাণ (১৯৪৪) (একাঙ্কিকা সংকলন) ৭. কঞ্চি (১৯৪৫) ৮. বন্ধন মোচন (১৯৪৮) ৯. উজ্জ্বলা (১৯৫৭) ১০. দশভাণ ও আরও কয়েকটি (১৯৬২), (একাঙ্কিকা সংকলন) ১১. শৃন্বন্ত (১৯৬৩) ১২. আসন্ন (১৯৭৩) ১৩. ত্রিনয়ন (১৯৭৬)

অন্যান্য:

১. ভূয়োদর্শন (১৯৪২) ২. উত্তর (১৯৫৩) ৩. শিক্ষার ভিত্তি (১৯৫৫) ৫. মনন (১৯৬২) ৬. দ্বিজেন্দ্রদর্পণ (১৯৬৭) ৬. রবীন্দ্র-স্মৃতি (১৯৬৮) ৭. মর্জিমহল (১৯৭৪) (দিনলিপি) ৮. চূড়ামণি রসার্ণব (১৯৭৬) (রস রচনা) ৯. ভাষণ (১৯৭৮) ১০. পশ্চাৎপট (১৯৭৮) (আত্মজীবনী)

মৃত্যু :

১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি (বাংলা : ২৬ মাঘ ১৩৮৫) ভোর চারটায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন গল্পকার বনফুল।

তথ্যসূত্র:

১. ভাষাপ্রকাশ নির্বাচিত শ্রেষ্ট গল্পমালা , বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, শ্রেষ্ট গল্প; ভাষাপ্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ  ফেব্রুয়ারি, ২০১৬; পৃ: ২০১-২০৬।

Leave a Comment

error: Content is protected !!