সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ জুন, ১৯৩৬) , আমাদের SIC স্যার, ছিলেন আমাদের কালের শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ের পথের পথিকদের এক অগ্রগামী আলোকবর্তিকা। তিনি ২০০১ সালের ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরে গিয়েছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক, অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি শিক্ষক ছিলেন সব বিষয়ের।
তার সংগে আমার পরিচয় ১৯৯৭ সালের আগস্ট মাসে; আমরা দেখি প্রথম আমাদের SIC স্যারকে। মাঝারি গড়নের সাদাসিধে একজন মানুষ, ধীর পদক্ষেপে সামনের দিকে ঝুঁকে চলাফেরা করেন; পরনে স্ট্রাইপ বা একরঙা শার্ট, কালো অথবা ধূসর রঙের প্যান্ট, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, বেশিরভাগ সময়ই খালি হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। মাঝেমধ্যে হাতে থাকে পুরোনো দিনের সাধারণ একটি ব্যাগ, প্রায়ই কলা ভবনের উত্তরের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে ইংরেজি বিভাগের কার্যালয় ও সেমিনারের মধ্যখানে নিজস্ব অফিস রুমের সামনে এসে পকেট থেকে চাবি বের করে রুমে ঢোকেন। রুমটি অত্যন্ত সাধারণ, আলমারিতে রয়েছে বেশকিছু বই; অফিসকক্ষে ছাত্রছাত্রী, দর্শনার্থী, সহকর্মিদের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, আলাপ-আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন; নিঃশব্দে হাসেন প্রায়ই, তবে শব্দ করে খুব কমই হেসেছেন, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র হয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও কখনো স্যুট-টাই পরেননি, চলাফেরা করেন রিক্সায় বা পায়ে হেঁটে।
তিনি ক্লাসে নির্দিষ্ট সময়ে আসেন; নির্দিষ্ট সময়ের আগে ক্লাস থেকে বের হন না; ক্লাসে যেমন তিনি সময়ানুবর্তি, অন্যত্র ও তেমনি। সভা-সেমিনার-মিছিল সর্বত্রই তিনি সময়মত উপস্থিত হন যা বর্তমান বাঙালিদের মধ্যে একটি অনন্যসাধারণ গুণ বটে। ক্লাসে পড়াতেন গভীর মনোযোগের সাথে, যা পড়াতেন তা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করতেন; স্যারের ক্লাস করার অর্থ উক্ত বিষয়ের সবকিছুই সুন্দরভাবে বুঝতে পারা। তিনি এমনভাবে পড়াতেন যে আমাদের কোনো প্রশ্ন করার অবকাশ থাকতো না। প্রথম বর্ষে তিনি আমাদেরকে পড়িয়েছিলেন সফোক্লিসের (আনু. ৪৯৬-৪০৬ খৃ.পূ.) চিরসবুজ ট্রাজেডি ‘রাজা ইদিপাস’। ট্রাজেডিসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই নাটকটি অনেক দিন ধরে লাইনের পর লাইন পড়িয়েছিলেন, ব্যাখ্যা করেছিলেন। তার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট ক্লাসে বাংলা শব্দ ব্যবহার করতেন না; আমার দেখা তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলতেন না; যদিও আজকাল বাংলা ও ইংরেজি মিশ্রিত কথা প্রায় সকলেই বলে থাকেন। ‘রাজা ইদিপাস’ পড়াতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ইদিপাসের নিজের ভাগ্যের সংগে এবং পরিস্থির সংগে লড়াইয়ের কথা, ইদিপাসের সত্যের পেছনে ছোটার কথা, সত্য আবিষ্কারের সাহস এবং তার জেদি ও একরোখা মনোভাবের কথা, বলেছেন ইদিপাসের মহত্বের কথা। দ্বিতীয় বর্ষে আমরা তার কোনো ক্লাস পাইনি। তৃতীয় বর্ষে তিনি আমাদেরকে পড়িয়েছিলেন ফ্রান্সিস বেকনের (১৫৬১-১৬২৬) প্রবন্ধসমুহ এবং হেনরি ফিল্ডিংয়ের (১৭০৭-৫৪) উপন্যাস ‘টম জোন্স’; তৃতীয় বর্ষে সাহিত্যতত্ত্বে পড়িয়েছিলেন এ্যাডমন্ড উইলসনের (১৮৯৫-১৯৭২) প্রবন্ধ ‘মার্কসবাদ ও সাহিত্য’। পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে শুনেছি মার্কসীয় সাহিত্যতত্ত্বের কথা যদিও আমি আশা করেছিলাম মার্কসবাদ সম্পর্কে জানতে পারবো; কিন্তু তিনি সাহিত্যতত্ত্বের বাইরে তেমন কোনো কথা শোনাননি; তখন আমরা ৪-৫ জন মিলে ক্লাস করেছি; সাহিত্যতত্ত্বের ক্লাসে ৪-৫ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী হতো না। আর মাস্টার্সে তো আমরা তাঁকে পেলামই না; এজন্য অনেককে দুঃখ করতে দেখেছি, আমরাও বুঝতে পেরেছি তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় দিতে হবে। তিনি অবসরে চলে গেলেন, আমাদের ক্লাসে আমরা আর তাকে পাইনি।
সিরাজুল ইসলাম চোধুরী যেভাবে লিখেন সেভাবেই কথা বলেন, বাক্যগুলো দীর্ঘ, মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র বাক্যও ব্যবহার করেন; তার ভাষা কাব্যিক এবং কণ্ঠ খুব সুন্দর। তার কণ্ঠ শুনলে বোঝা যাবে তিনি খুব সুন্দর আবৃত্তিকারও। তার ভাষার চমতকারিত্ব প্রবহমান নদীর মতো; ভাষার গঠন শান্ত, উপমা-রূপক-চিত্রকল্পবহুল; না বোধক বাক্য পছন্দ করেন; তিনি উল্লেখ করেছেন বাঙালিরা না বলতে চায় না; এর প্রতিক্রিয়াই হয়তো তিনি না বলতে চান বেশি করে; এ-নঞর্থক চিন্তার মধ্যেই তার বিদ্রোহী রূপটির পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ভাঙতে চেয়েছেন সবকিছু, ভাঙতে চেয়েছেন প্রথা, অর্গল, জড়তা, জাড্যতা এবং শুধু ভাঙতেই চাননি, ভাঙার পরে নতুন করে গড়তেও চেয়েছেন; তিনি স্থিতির পক্ষে নন, সর্বদাই সৃজনশীল; ভাঙা-গড়ার ছন্দের মধ্যেই যে মানুষের মুক্তি নিহীত এ-কথা তিনি জানেন ও মানেন। তিনি চান পরিবর্তন এবং বিপ্লব ছাড়া যে মৌলিক পরিবর্তন সম্ভব নয় সে কথা বারবার বলেছেন। তিনি সংস্কারবাদি বা উদারনৈতিক তো ননই, তিনি সরাসরি বিপ্লবী। তিনি জানেন সমাজকাঠামো বা সমাজব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করা ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়, তাই সমাজ ভাঙার লড়াইয়ে থেকেছেন অগ্নিমশাল হাতে নিয়ে, জ্বালিয়ে দিয়েছেন দ্রোহের আগুন অনেক তরুণের মনে, তিনি তরুণদেরকে বিপ্লবে উদবুদ্ধ করতে চেয়েছেন; অথচ তার বাইরের রূপটি দেখলে মনে হবে তিনি খুব শান্ত, তবে লেখায় তিনি বিদ্রোহী, বিদ্রোহী তিনি মনের দিক থেকেও।
প্রথমত তিনি লেখক, দ্বিতীয়ত শিক্ষক। তাকে শিক্ষক হিসেবে দেখলে তার সামগ্রিক রূপটি ধরা পড়বে না। লেখক তিনি বহু বিষয়ের, কিন্তু ক্লাসে কথা বলেন নির্দিষ্ট বিষয়ে_ নির্দিষ্ট লেখক বা সাহিত্যিক সম্পর্কে; আর এই কারণে ক্লাসের সিরাজুল ইসলাম চোধুরী অনেক সংক্ষিপ্ত ও খণ্ডিত, পূর্ণরূপে তিনি আছেন তার লেখায়। তার ক্লাসে খুব আনন্দলাভ করা যায় না, ক্লাসকে তিনি হাস্যরস ও কৌতুকের মঞ্চ করে তোলেন না, পড়ার ও পড়ানোর মধ্যে ডুবে যান। ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে যদি কেউ তাসও খেলে (এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারণা), হয়তো তিনি তা দেখবেন না; কে ক্লাসে এলো বা কে ক্লাস থেকে বের হলো তা তিনি দেখতেন না; এ-থেকেই বোঝা যায় তিনি ভালোবাসেন স্বাধীনতা, হয়ত ব্যক্তি স্বাধীনতা। তিনি জানেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষকে শিক্ষিত করে না, বরং কুশিক্ষিতই করে, অন্তত বেশিরভাগকে তৈরি করে রোগি; তিনি বলেছেনও সে কথা যে আজকাল যাদের দেহ সুস্থ (উচ্চবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত ছাড়া আর কাদের দেহ সুস্থ) মন তাদের অসুস্থ।
বৃত্ত ভাঙার লড়াইয়ে তিনি উদবুদ্ধ করেছেন তরূণদেরকে, তিনি জানেন বিপ্লব ছাড়া এ-বৃত্ত ভাঙবে না; কেন বৃত্ত ভাঙবে না, বৃত্ত কখন অনতিক্রান্ত তা বিশ্লেষণ করেছেন। অনুসন্ধান করেছেন রোগের দূরবর্তী কারণসমূহ এবং রোগ নিরাময়ের পন্থা যে সমাজতন্ত্র তা উল্লেখ করেছেন। দেখিয়েছেন দাস-সামন্ত-পুঁজিবাদি সমাজের কুৎসিত রূপ, কদর্যতা ও জঘন্যতা। তিনি উগ্র জাতীয়তাবাদি নন, তিনি জাতীয়তাবাদের পরিপূরক আন্তর্জাতিকতাবাদি, বিশ্বায়নের বিপক্ষে এবং জাতিসমূহের বহুবিধ বৈচিত্র রক্ষার পক্ষে।
তিনি লিখেছেন ষাটাধিক গ্রন্থ, খুব কম সংখ্যক বাঙালিই এতোগুলো বই লিখেছেন, সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা, করেছেন অনুবাদ, লিখেছেন বেশ কিছু উঁচুমানের গল্প। তিনি জানেন লেখালেখি ও জনসচেতনতা ছাড়া প্রগতিকে অর্জন করা যায় না। নিজে লিখেছেন, অন্যকেও লেখায় উৎসাহিত করেছেন, যেমন নিজে যোদ্ধা আবার যোদ্ধা তৈরিতেও সমান পারদর্শী। তিনি বাঙালি, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হয়েও লিখেছেন বাঙলায়; ইংরেজিতে লেখা তার বইয়ের সংখ্যা পাঁচটির বেশি হবে না; তিনি জানেন বড় হতে হলে প্রথমত বাঙালি হতে হবে; বাঙালিত্ব ত্যাগ করে মহত হওয়া যায় না; নীরদ সি. চৌধুরী পারেননি, মধুসুদন ইংরেজ হতে গিয়ে ফিরে এসে বাঙালি হয়েছিলেন এবং মহত তো বটেই; মনে প্রাণে বাঙালি ছিলেন বলেই রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র বসু মহান হয়েছেন;_ কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এও জানেন যে মহান হতে হলে বাঙালিকে অন্যান্য জাতির মহান গুণগুলো অর্জন করতে হবে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর চাকুরি হতে অবসরে যাবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল লিখেছেন তিনি “দুঃখের কাছে হেরে যাননি, অথচ দুঃখকে অস্বীকারও করেননি” হ্যাঁ, তিনি দুঃখকে চেনেন, দুঃখের চরিত্র বোঝেন, আবার দুঃখকে জয়ও করেন; অর্থাৎ তিনি দুঃখের কারণ জানেন এবং দুঃখকে তাড়ানোর উপায়ও জানেন। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি একজন সমাজতন্ত্রি, সারা জীবন লিখেছেন সমাজতন্ত্রের পক্ষে। তাঁর মতের বিপক্ষে বলা যায় সহজে, প্রায় সারা বিশ্বই তো বলছে। কিন্তু পরিষ্কারভাবেই তিনি জানেন, অর্থনৈতিক অসাম্যের কারণেই পৃথিবীতে বিরাজ করছে দারিদ্র, বেকারত্ব, নিপীড়ন, হতাশার ন্যায় প্রধান-অপ্রধান সমস্যাগুলো।
বিংশ শতাব্দি কি সবচেয়ে নিকৃষ্ট শতাব্দি? এই শতকেই ঘটেছে বিশ্বযুদ্ধ, গণহত্যাসহ আরো নানা অপকর্ম। লেখালেখির জগতেও লেখকেরা আবর্জনা উৎপাদন করেছেন খুব বেশি। এ-শতকের লেখক বিশেষত আধুনিকতাবাদের সমর্থক সাহিত্যিকগোষ্ঠী ছিলেন রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। তারা মানতেন Art for art’s sake বা শিল্পের জন্য শিল্প নীতি; আর এই নীতির কড়া সমালোচক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। দার্শনিক, শিল্পী, সাহিত্যিকরা রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাবার কারণেই খারাপ লোকেরা রাজনীতিকে কলুষিত করার সুযোগ পেয়েছে। পাশ্চাত্যের রাসেল, হাক্সলী প্রমুখ লেখকদের মতো তিনিও রাজনীতিকদের অন্যায়ের বিপক্ষে কলম ধরেছেন এবং গল্প-উপন্যাস-কাব্যচর্চা না করে চিন্তানির্ভর সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি বিষয়ক লেখাই বেশি লিখেছেন। সমাজের আবর্জনা দূর করতেই তার সময় কেটে গেছে, শৌখিন সাহিত্যচর্চা আর করা হয়নি। তিনি আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের কতিপয় লেখকদের প্রতিক্রিয়াশীলতার ব্যাপারে যেমন সচেতন, তেমনি সচেতন সাহিত্যের প্রতারক নিরপেক্ষতার ব্যাপারেও। নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই; তিনি দেখিয়ে দেন যে নিরপেক্ষতা আসলে সুবিধবাদিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমি শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে দেখেছি খুব দূর থেকে। তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলার ইচ্ছে হলেও কাজটি করা হয়নি; শুধু একদিন একটি ক্ষুদ্র সাক্ষাতকার নিতে গিয়েছিলাম এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নকল প্রথার ব্যাপারে; যুক্তিসহকারে সুশৃঙ্খলভাবে গুছিয়ে তার মত জানিয়েছিলেন; তিনি যে একজন যুক্তিবিদ তা সেদিন বুঝেছিলাম। তার পাণ্ডিত্য এবং তার বাংলা ইংরেজি ও রুশ সাহিত্য সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান তাকে শ্রদ্ধেয় করে তুলেছে দেশ বিদেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের কর্মকাল থেকে অবসর নেয়ার উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে এ-লেখা; তিনি আর ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়াতে ইংরেজি বিভাগের ক্লাসে আসবেন না, ভবিষ্যতে দ্বিতীয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীও আসবেন না এই বাংলায়; কেননা তার তুলনা শুধু তিনিই। তিনি ছিলেন দিন বদলের যোদ্ধা, তিনি আছেন সমাজবদলের লড়াকু সেনা হিসেবে, আছেন মিছিলে-শ্লোগানে-জনসভায়-আলোচনায়। তিনি সমাজবদলের সংগ্রামিদের সাথে ছিলেন এবং সেই সংগ্রামিদের সাথে আছেন, তার এই সংগ্রাম থেকে অবসর নেয়া হবে না কোনোদিনই; তিনি মানুষের মাঝখানে বেঁচে থাকবেন তার কর্মের শক্তিতেই।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি আলোচনা
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকেলে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র পাড়ে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চে সংসদের ধারাবাহিক পাঠচক্রের আয়োজন বীক্ষণ’র ১৬৯৫তম আসরে অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল মূল বক্তব্য রাখেন। আবুল মনসুর আহমেদ (১৮৯৮-১৮ মার্চ ১৯৭৯) সম্পর্কে আপনারা সেই আলোচনাটি শুনুন ইউটিউব থেকে।
প্রকাশকালঃ ৭ জুলাই, ২০০১; দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।