অনুপ সাদির কবিতায় সবার উপরে তার রাজনৈতিক চেতনা স্থান পায়

ইভান অরক্ষিত, কবি ও প্রাবন্ধিক

সাহিত্য প্রসঙ্গে একটি আলোচনা করতে গিয়ে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন বলেন; “দূর হোক অ-পার্টি সাহিত্যিক! দূর হোক অতি-মানব সাহিত্যিক! সাহিত্যের ব্যাপারটাকে হতে হবে সমগ্র প্রলেতারিয়েতের কর্মযোগের একটা অংশ।”[১] লেখক অনুপ সাদির কবিতা বা গান বা যে কোনো রাজনৈতিক প্রবন্ধই এই জায়গা থেকেই আমি মূল্যায়ন করব। তিনি মার্কসবাদী দর্শন ধারণ করেন বলে দাবী করেন, আমিও করি।

এই সময়ে সাম্রজ্যাবাদ তার যে অন্তিম ও কঠিনতম মূহুর্ত পার করছে যেখানে তার স্বাধীনতা সমানাধিকার গণতন্ত্র মানবতা সকল কিছুরই ভূয়া দাবী আর আসল মুনাফাখোরী চরিত্র দুটাই উন্মোচিত, এমন পরিস্থিতিতে মার্কসবাদের বিকাশ অবধারিত। তার সাহিত্য তার রাজনীতি শিল্প দর্শন এই সময়ে বিকশিত হবার কারণ মার্কসবাদ সকল কিছুর ব্যাপারেই একটি বৈজ্ঞানিক মানবিক ও বৈপ্লবিক সমাধান প্রস্তাব করে, সেটা বাস্তবায়নের পথ কর্মপ্রয়োগে প্রমাণ করে দেয়। অনুপ সাদির লিখাও সেই চলমান ও বিরাজমান বিকাশশীল প্রবণতার অসংখ্য প্রমাণের একটি প্রমাণ।

মার্কসবাদীরা নিজেদের দর্শন গোপন করতে ঘৃণাবোধ করে। কারণ তারা স্পষ্টত মানবতা বিজ্ঞান ও নিপীড়িত শ্রেণির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান ব্যাক্ত করে। তার শিল্প ও সাহিত্য এর বাইরে এর প্রভাবমুক্ত হয়ে কোনো হাস্যকর অবাস্তব বিশুদ্ধ শিল্প হতে পারে না, অনুপ সাদির ক্ষেত্রে বরং বিপরীত প্রশ্ন উত্থাপন করা যায় যে তিনি বিচ্যুত হলেন কি না।

তরুণ লেখকদের মধ্যে অনুপ সাদি আমার একজন প্রিয় লেখক। তিনি আমার কাছে অদ্যাবধি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য যার মধ্যে মার্কসবাদের উপর লিখা তার বেশকটি সহজবোধ্য বই। কবিতা তাকে সচরাচর লিখতে দেখি নি কিন্তু লিখেছেন। অত্যন্ত আবেগ এবং বার্তা সম্বলিত এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হবার আগে প্রকাশক বইটি আমাকে পড়তে দিলেন সমালোচনার জন্য এবং আমিও রাজি কেননা এটা কবিতার বই। তার তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর আলোচনার কোনো বই হলে এটা অধিক ভাবনাচিন্তার বিষয় ছিল কিন্তু বাঙালি কবিতা অন্তঃপ্রাণ একটি জাতি। তাকে বিপ্লব ছুয়ে যাবে কিন্তু কবিতা ছোবে না এটা হয় না। সত্যি বলতে কোন জাতির ক্ষেত্রেই এই বিষয়টা ঘটা সম্ভব নয় কেননা শিল্প সাহিত্য আমাদের বোধের একটি এমন বহিঃপ্রকাশ যা আবার পাঠকের বোধ আলোড়িত করে দিতে পারে। লেখকে লেখকে এর তফাৎ আছে। কারো কবিতা অত্যন্ত সহজ আর সাবলীল, অত্যধিক গীতল, কারোটা সহজ আর সাবলীল কিন্তু গীতলতা প্রধান নয়।

অনুপ সাদির কবিতাগুলি গদ্য কবিতাই প্রধানত ছন্দের বিচারে, তিনি সবার উপরে স্বভাবতই তার রাজনৈতিক চেতনা এবং বক্তব্যকে স্থান দিয়েছেন যা প্রতিটি সমাজবিপ্লবে আকাঙ্ক্ষা রাখা মানুষ অবধারিতভাবেই করবে কোনো ব্যাতিক্রম ছাড়া। এবং এই দ্রোহ ও দ্রোহের দর্শন, দ্রোহের শিল্প যা মানুষ ও সমাজকেই শেষ পর্যন্ত প্রতিফলিত করতে চায় আর করে সেটা কোনো রাজনৈতিক চেতনা ছাড়া পরিপক্কতা লাভ করতে পারে না, মেরুদন্ড সোজা করে কোনো আপোষকামীর কবিতা কখনো দাড়াতে পারেনি, পারার কোনো সম্ভাবনা নেই। মানুষ অন্ত্যমিল আর সুষম ছন্দের চেয়ে বেশি তাদের আবেগ ও বোধের প্রতিফলনে আগ্রহী আর সেটার একটা শিল্পরূপ মানুষ পর্যন্ত পৌছে যাবার দেরি হয় কিন্তু মানুষের তাকে স্থান দিতে দেরি হয় না। অনুপ সাদির কবিতাগুলিও সেই স্থানটি করে নেবে বলে আমার ধারণা, কেবল তিনিই নন এই সময়ে আর আগামী সময়েও কবিতার ক্ষেত্রে বিশেষ করে তাই ঘটবে যা বিগত সময়ে ঘটেছে।

কবি বইটির নাম দিয়েছেন উন্মাদনামা। কবিতার মধ্যে একটা তীব্র ভাবাবেগ থাকে, সেটা ছন্দ বা শব্দের জন্য যতোটা না কবিতা তার হাজারগুণ বেশি সেই ভাবাবেগের জন্য। এটাই কবিতার আধেয়, বাকি শব্দ বাক্য ছন্দ এইসব সেই আধেয়টিকেই ধারণ করে রাখে। এখন এই যে আবেগ সেটা কার? কোনো মধ্যবিত্ত সুবিধাভোগীর নাকি একজন এমন মানুষের আবেগ যিনি নিজের বিরুদ্ধে সুবিধাবাদের ত্যাগ করার সংগ্রাম চালু করার সংস্কৃতি ধারণ করেন সেটাতেই প্রধান পার্থক্য ঘটে যায়। এক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে বলাই বাহূল্য।

এই কাব্যগ্রন্থের কোনো কবিতায় মানুষ, মানুষের দৈন্য এবং ঐশ্বর্য, তার দ্রোহ এবং তার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রতিধনিত হয়নি এমন নেই। সর্বত্রই তার এই ট্রেন্ড খুব স্পষ্ট ধরা পড়ে। শুধু এই ট্রেন্ড নয় স্পষ্টতই তার পার্টিজান দৃষ্টিভঙ্গী এত প্রকট যে আমরা উৎসর্গপত্রেও দেখি তিনি ১৯৪৭ সালের বাংলা ভাগের ফলে অবর্ণনীয় কষ্টভোগ করা অসংখ্য মানুষকে এবং আরেক পার্টিজান মহান চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটককে উৎসর্গ করেন। ঋত্বিক ঘটক শিল্পের শ্রেণি চরিত্রের ব্যাপারে এতো বেশি সচেতন ছিলেন যা তার জীবনের বহু ঘটনা থেকে ত জানা যায়ই, তার নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রচনা (বিশেষ করে অন কালচারাল ফ্রন্ট) সেই দৃষ্টিভঙ্গী স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়। মার্কসবাদকে যারা ধারণ করেন এবং তার নিজের মধ্যে তাকে ক্রমে লালন পালন করে বিকশিত করেন, নিজের বিরুদ্ধে এবং সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবিরত সংগ্রামে লিপ্ত হন তিনি এটা না করে পারেন না, একমাত্র হিপোক্রেট না হলে।

সাদি স্বেচ্ছায় রাজনৈতিক চেতনার কবিতা লিখেন নি, তিনি কবিতা লিখেছেন, বিষয় হলো, চেতনাটা তিনি ধারণ করেন। কবিতাগুলি অসংখ্য বার্তা সম্বলিত, তীব্র কটাক্ষ সম্বলিত এবং সোজাসাপটা কথা যেখানে প্রশংশা করার মতো হলো এই যে কথাটা বলার তাগিদ অধিক আর সমালোচনা হলো কবিতা লিখার তাগিদ কম। সেটাই স্বাভাবিক ছিল তার ক্ষেত্রে, কিন্তু আমার আশা যে আগামী লিখাগুলিতে তিনি কবিতার প্রবাহমানতার দিকে তাকাবেন আরো গভীর যত্নের সাথে।

এই সময়ে রাজনৈতিক কবিতায় গানের আধিক্য অত্যধিক হবার কথা ছিল যা প্রায় তার বিপরীত, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আমরা বড় বড় শিল্পীকে দেখি অত্যন্ত কাপুরুষোচিতভাবে নিপীড়ক রাষ্ট্রশক্তিকে তোষামোদে লিপ্ত না হয় সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের জন্য নারীর দেহের ইতিউতি বিচরণে ব্যাস্ত। হীন উদ্দেশ্যযুক্ত এসব বহু কবিতার মধ্যে কোনটাতে দু একটা মানুষের উত্থান পতন, জীবনযন্ত্রণার সাথে সম্পর্কিত  কদাচিৎ একদুটো কথা এসেও যদি যায় তাহলে সেটা তার কেন্দ্র নয়। কেন্দ্র একটা অত্যন্ত সস্তা বিষয় যাতে মাছি এসে বসে। ভেনাসের মাছি ধরার ফাদের মতো এই অসংখ্য কথিত কবিদের মাছিটি গিলে ফেলাই উদ্দেশ্য। সাদি কোন মাছি ধরার ফাঁদ রচনা করেন নি এর জন্য তাকে প্রশংশাও করতে চাই না, বরং এটা করলে সাধারণের চেয়ে তিনি বেশি অপরাধ যেহেতু তিনি দার্শনিক প্রশ্নে সচেতন,  এবং শ্রেণি প্রশ্নেও সেজন্যই সচেতন — তাই তার পক্ষে এটা এড়িয়ে যাবার প্রশ্নই উঠে না । 

বার্তা সম্বলিত শিল্পের শক্তি তার বার্তায়, সেটি যত ন্যায্য আর অকাট্য শিল্পটিও সেই অনুপাতে। কিন্তু এছাড়াও আরেকটি বিষয় সাদির কবিতাগুলিতে আছে সেটি হলো আশাবাদ। তীব্র আশাবাদ। একটি কবিতা তিনি লিখেছেন,

আমরা আসছি, সমস্ত রাষ্ট্রীয় গোলামি খেদিয়ে
আমরা রক্ষা করব আমার শ্রমিক আমার কৃষক,
বাঁচাব আমার সোঁদা মাটি গন্ধ,
তুমিই আমার ঝলকিত প্রেমের গন্তব্য,
আমরা পৌঁছবোই তোমার মুক্তির বন্দরে

(কবিতা, কিছু রক্ত এখনো বিদ্রোহী)

একটা ব্যাপারে সমালোচনা না করলেই না যে তিনি মাত্র ১৭টা কবিতা একত্রিত করেছেন বইটিতে। এটা অত্যন্ত নগন্য সংখ্যক বলেই আমার মনে হলো। যদিও এমন নয় যে ১৭টা কবিতার বই হয় না বা কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা রয়েছে বই বের করার তবু ১৭টা কবিতা কবিতা পাঠের আগেই শেষ হয়ে যাবার মতো ব্যাপার।

যে কবিতাগুলি দীর্ঘ এবং বিস্তৃত সেগুলিতে একটা কোনো না কোনো প্রকার গীতলতা আর ছাঁচ রাখার দরকার ছিল কবিতা ভাল হবার জন্য নয় বরং পাঠকের ভাল লাগার জন্য। সেটা উপেক্ষিত হয়েছে। কিন্তু এগুলিতে একটা বুদ্ধিদীপ্ত কাজ করেছেন যেটা হলো দৃশ্যকল্পের ব্যবহার। আধুনিক মানুষের ধারাবাহিক গল্প কবিতাটির কথাই ধরা যাক, এখানে বহু চিত্র একেছেন যা তার দীর্ঘ কবিতা পাঠে সাধারণ পাঠকের ছন্দের তৃষ্ণাকে দৃশ্যের জল দিয়ে নিবারণ করে দিলেও দিতে পারে, আমার অন্তত আপত্তি নেই। পাঠকভেদে ভিন্ন বটে।

কিছু ক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে বাক্যরীতির ব্যাপারে অধিক সচেতনতার দরকার ছিল কিন্ত সেখানে মনোযোগ তুলনামূলক কম দিয়েছেন যতোটা দিয়েছেন কথাটি বলার জন্য। কবিতা বার্তা বৈকি কিন্তু কেবলই তা নয় এটা লেখক ভালই জানেন কিন্তু এও অপরদিকে সত্য যেমন বোধটি কোনো বার্তা ছাড়াও মূর্ত হতে পারে না, সসঞ্চালিতও নয়। ফলে সকল ক্ষেত্রেই যার চিন্তাধারা যেসব আদর্শ নৈতিকতা দর্শন দ্বারা প্রভাবিত তার শিল্পে সেই সেইসকল ভাবধারা ও দর্শনের প্রভাব অধিক।

জনৈক কবিবন্ধু একবার কথাপ্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেন, দার্শনিকের কবিতা গীতল হয় না। সেই যাত্রায় আমি তর্কে জয়ী হয়েছিলাম এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিন্তু এখানে একটা বিষয় রয়েছে সেটা নিজে পরে বহু ঘটনায় আবার ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম যদিও এখন বিচার বিশ্লেষণে সেই সময়ের চেয়ে অধিক দার্শনিক তথা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অবলম্বন করতে পারি। সাদির কবিতায় এটাই এখানে ওখানে খুব লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু আমি এখনও সেই কথাটির সাথে একমত বা দ্বিমত পোষণ করি না বরং দ্বান্দিকভাবে বিচার করি।

অভিযোগ সব শেষেই করা ভাল, এবং না করে সমালোচনা শেষ করা কোনোমতেই ভাল নয় তাই অভিযোগটি উত্থাপন করলাম এই বিবৃতি দিয়ে, “কবিতার গঠন তার নিজস্ব অবয়ব এবং বিস্তারে যে একটি প্রবাহ থাকার দাবী আমাদের শ্রবণইন্দ্রিয়ের আছে সেটা উপেক্ষিত না হলেও বড় বেশি গুরুত্ব না দিয়ে একটা ত্রুটি ঘটেছে যেটা কবিতার জন্য বিশেষ। কবি অনুপ সাদি এটা লক্ষ্য করেছেন কম। অন্তত যতোটা না হলে আমার মতো দূর্বল আলোচক এটা উত্থাপন করার সাহস পেত না ততোটা ত করেছেনই। এই কঠিন অভিযোগের সাথে আগের দূর্বল তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় সেই মাত্র ১৭টা কবিতার অভিযোগ আবার উত্থাপন করে আলোচনাটা শেষ করতে চাই। কবিতা প্রসঙ্গে আসলে আলোচনা পাঠের চেয়ে আমি নিজে সর্বদা যা করি সেটা হলো কবিতাটাই পড়ে নেই। এটাই কবিতার ক্ষেত্রে সঠিক বলে মনে হয় কারণ যে কবিতা যার কাছে Self Explanatory নয় সে কবিতা তার আলোচনা পড়ে বোঝার উপায় নেই। শব্দার্থ না বুঝলে ভিন্ন কথা ওটা কবিতার অর্থের সাথে সম্পর্কিত, বোধের চেয়ে অধিক যান্ত্রিক এবং আংশিক, ভাবের (যা আসলে কবিতা) সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত তার আধার হিসাবে। তবু পরবর্তী বইয়ের এবং এমনই শ্রেণি সচেতনতা, রাজনৈতিক চেতনা সম্বলিত, সরাসরি উল্লেখের গুণগুলিসহ এবং গীতলতা ও বাক্যরীতির নমনীয়তার বিষয়ে উপেক্ষার দোষগুলির ধনাত্নক নেতিকরণ ঘটাসহ আমি তার কাছেও এবং সাথে আরো অসংখ্য কবির এমন কবিতা আশা করি যা সমাজবিপ্লবকে ক্রমেই গাঢ় গতিশীল বহুমূখী আর সব মিলে শক্তিশালী ও বাস্তব সত্য হিসাবে নির্মাণ করতে থাকবে।

সম্পাদক দোলন প্রভাকে অনেক ধন্যবাদ যে বইটি ই-বুক আকারে প্রকাশ করছেন। আমি চাইব সকল বইয়ের ই-বুক হোক এবং হার্ডকপির দাম প্রায় মামুলি ব্যাপারে চলে আসুক কিন্তু যতদিন না এই পণ্য উৎপাদন ব্যাবস্থা চলছে ততদিন এটা অসম্ভব। কিন্তু তার পরেও আমরা এখন ই-বুক আকারে বহু জরুরী বই পাচ্ছি, অনলাইন সোর্স তৈরি হয়েছে এবং প্রকাশক জেনে থাকবেন যে এটা আন্দোলন আকারে সারা পৃথিবীতেই চলছে। সময়ের সাথে পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদ যে জ্ঞানের অন্তরায় সেটা প্রকট হচ্ছে। কেবল অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য মানুষ শিক্ষিত হচ্ছেন না এমন নয়, পরিকল্পিতভাবেই জনগণকে বিজ্ঞান, রাজনীতি ও জীবনবিমূখী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানকে, শিল্পকে তার দর্শন থেকে, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে শেখানো হচ্ছে। আমি মনে করি এইখানে ই-বুক একটা ভাল হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা খুবই সম্ভব। এই ব্যাপারে সকলেরই ভাবনাচিন্তা করা এবং কর্মপ্রয়োগের চেষ্টা করার আহ্বান জানাই। এই প্রসঙ্গটা এখানে আসলে উত্থাপন করে রাখলাম এটা একটা চলমান আলোচনা সেটা বলাই বাহূল্য।

আরো পড়ুন

পরিশেষে এর সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানানোর একটি প্রথা আছে, প্রথা মোতাবেক ধন্যবাদ এবং আলোচনার যে কোনো কিছু পরবর্তীতে বিস্তারের অবকাশ অবশ্যই রয়েছে এই ঘোষণাসহ আলোচনাটি সমাপ্ত করলাম।[২]

তথ্যসূত্র:

১. ভি আই লেনিন, পার্টি সংগঠন ও পার্টি সাহিত্য, ১৩ নভেম্বর ১৯০৫, অনুপ সাদি সম্পাদিত, সাহিত্য প্রসঙ্গে, প্রথম প্রকাশ, টাঙ্গন সংস্করণ, ফেব্রুয়ারি ২০২০, পৃষ্ঠা ১৫।
২. ইভান অরক্ষিতের এই লেখাটি প্রথমে ই-বুকে প্রকাশিত হয়। পরে ৩ আগস্ট ২০২০ তারিখে রোদ্দুরে.কমে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট ২০২২ তারিখে ফুলকিবাজ.কমে হুবহু প্রকাশ করা হলো।

রচনাকাল: ৩ ডিসেম্বর ২০১৭

Leave a Comment

error: Content is protected !!