আমাদের দেশে বর্তমানে যে-সব ছবি হচ্ছে, তার মধ্যে কিছু কিছু প্রশংসনীয় ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে। তারা মোটামুটি ছবির মাধ্যমটাকে ধরতে পেরেছেন। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে পৃথিবীর চলচ্চিত্র প্রগতির সঙ্গে এরা হাত মেলাতে পেরেছেন। বিশেষ করে সমাজ চেতনার দিকটা। আরো পড়ুন
শিল্প
শিল্প হচ্ছে শিল্পীর আন্তরিক যত্ন, স্নেহ, প্রেম দিয়ে তৈরি বাহ্যিক রূপ। এই শিল্পের মধ্যে গান, নাচ, ছবি, চলচ্চিত্র, ভাস্কর্য ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত যেকোন সৃষ্টি বা বিষয়ের উপর বিশেষ দক্ষতাকেই শিল্প হিসাবে বিবেচনা করা হতো। এটি কেবল্মাত্র বিজ্ঞান কিংবা নৈপুণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলোনা। সপ্তদশ শতকের পরেই সাধারণ বিষয় থেকে চারুকলাকে আলাদা বা পৃথক করা হয়েছে। আমাদের রোদ্দুরে সাইটে শিল্প ক্যাটাগরিতে গান, ছবি সম্পর্কে বেশ কিছু প্রবন্ধ আছে। আবার ভাস্কর্য হচ্ছে শিল্পের একটি রূপ। যা ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্ম। যুগ যুগ থেকে এর গুরুত্ব অনেক। পূর্বে শাসকরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ভাস্কর্য তৈরি করতো। এটা প্রতীক হিসাবে অনেক শিল্পী উপস্থাপন করে।
চলচ্চিত্র সাহিত্য ও আমার ছবি
বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে সেটাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্যকারী জিনিস বলে মনে করা উচিত হবে না। বাংলা সাহিত্যের অসীম প্রভাবে ছবিটা “বই”-ই হয়ে দাড়িয়েছে। এবং আমাদের ছবি-করিয়েদের প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বইটাকে ছবিতে কতখানি বিশ্বস্তভাবে রূপান্তরিত করা যায়।আরো পড়ুন
ছবিতে ডায়লেকটিকস
ডি. ডবলিউ, গ্রিফিথ যখন ‘ইনটলারেন্স’ আর ‘দি বার্থ অব নেশন’ করেছিলেন, তখনই সত্যি সিনেমা জন্মগ্রহণ করেছিল। সে হলাে ১৯১৮-২০ সালের ব্যাপার। তার আগেই অবশ্য ‘গ্রেট ট্রেন রবারি’তে প্রথম ক্লোজ-আপ ব্যবহৃত হয়েছিল। সেটা ১৯০৩ সালে।আরো পড়ুন
শিল্প, ছবি ও ভবিষ্যৎ
কথাটা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে। আমি ইদানীং কিছু কিছু ছবি দেখার অবকাশ পেয়েছি। সেগুলি আমার মনকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে। যেমন ধরুন, একটি মারাঠী ছবি সম্প্রতি আমার দেখার অবকাশ হয়েছিল। ছবিটির নির্মাতা এবং চিত্রকার আমার বহুপরিচিত এবং শিষ্যস্থানীয় ; ছবিটির নাম শান্ততা, কোরট চালু আহে’- সায়লেন্স, দ্য কোট ইজ অন।আরো পড়ুন
নগ্নতা এবং চলচ্চিত্র
আমাদের দেশের চলচ্চিত্র জগতে ‘চুম্বনের’ ব্যাপারটা একটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে নানান ধরনের আলােড়ন-আলােচনা ইত্যাদি চলেছে। যারাই এই প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে একদল বিশেষ ধরনের চিত্রনির্মাতা দল বেঁধেছে,আরো পড়ুন
আমাদের দৃষ্টিতে বাস্তববাদী ধারা
সর্বজনগ্রাহ্য কতকগুলো কথা প্রচলিত আছে আমাদের মধ্যে– যেমন চিত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বাস্তবমুখী শিল্প; সবচেয়ে শক্তিশালী বাস্তবতার মাধ্যম; বস্তুমুখী জীবনকে তার সর্ববৈচিত্র্য সমেত ধরতে পারে একমাত্র চলচ্চিত্রই,– ইত্যাদি ইত্যাদি। কথাগুলো তলিয়ে দেখা বিশেষ হয় নি এতদিন, অবকাশও তার বিশেষ ছিল না। গণনাট্যের নতুন জোয়ারের মধ্যে ছবিটা কোনো সময়ই এসে পড়ে নি। আরো পড়ুন
শিল্পকলা হচ্ছে তত্ত্ব, অনুশীলন এবং সৃজনশীলতার শারীরিক অভিব্যক্তি
শিল্পকলা বা চারুকারুকলা বা আর্ট (ইংরেজি: The Arts) শিল্পকলা বলতে বস্তু, পরিবেশ এবং অভিজ্ঞতার উৎপাদন করার জন্য দক্ষতা এবং কল্পনার মাধ্যমে মানব সংস্কৃতি ও সমাজে তত্ত্ব, মানব প্রয়োগ এবং সৃজনশীলতার শারীরিক অভিব্যক্তিকে বোঝায়। অর্থাৎ শিল্পকলা হচ্ছে শিল্পীর আন্তরিক যত্ন, স্নেহ, প্রেম দিয়ে তৈরি মানবের সাংস্কৃতিক ক্রিয়ার প্রকাশিত বাহ্যিক রূপ। আরো পড়ুন
যুক্তি তক্কো আর গপ্পো চলচ্চিত্রে সমাজের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক ফুটে উঠেছে
ঋত্বিক ঘটক ছিলেন সত্য, সুন্দর, বাস্তববাদী শিল্পী। তাই মনে করতেন জনগণের কাছে থেকে যেমন শিখতে হবে তেমনি জনগণের চিন্তার মানকেও উন্নত করা আমাদেরই দায়িত্ব। এটা না করতে পারলে দেখা যাবে নিজেদের অজ্ঞতায় নিজেরা যেমন মরছে তেমনি অন্যকেও মারছে। ব্যক্তি প্রতি মুহুর্তে রাজনীতি, অর্থনীতি সম্পর্কে সচেতন হলেই সমাজের সংকটগুলো বুঝতে পারবে। আরো পড়ুন
অযান্ত্রিক চলচ্চিত্র মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যকার দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের প্রকাশ
চলচ্চিত্র জগৎতে ঋত্বিক ঘটক মানেই গতানুগতিক চিন্তাধারার উর্ধ্বের ব্যক্তিত্ব। তিনি বলতেন শিল্প হতে হবে সত্য, সুন্দর, বস্তুনিষ্ঠ। নাগরিক ছিলো তার প্রথম চলচ্চিত্র। যা মুক্তি পেয়েছে মৃত্যুর দেড় বছর পড়ে। বিষয়টা খুবই পীড়াদায়ক ছিলো তার জন্য। সমাজের এমন কিছু বাস্তবতাকে সেলুলয়েডে বন্দি করতে চেয়েছে ও করেছে যা সমসাময়িক শাসকদের জন্য হুমকির ছিলো। সেই কারণে নানা বাঁধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আরো পড়ুন
কোমল গান্ধার চলচ্চিত্রে দুই বাংলার সাংকৃতিক মেলবন্ধনের আকুতি
আজকের সমস্ত অর্থনীতিটা যে চুরমার হয়ে গেছে তার বেসিক ফ্যাক্টর ছিল ঐ বাংলাভাগ। বাংলাভাগটাকে আমি কিছুতেই গ্রহণ করতে পারিনি। আজও পারি না। আর ঐ তিনটে ছবিতে আমি ওকথাই বলতে চেয়েছি। ইচ্ছেনা-থাকা সত্ত্বেও হয়ে গেল একটা ট্রিলজি :‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’ আর সুবর্ণরেখা। আরো পড়ুন