বাংলাদেশে স্বাদু পানির মৎস্য প্রজাতিসমূহের বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হয় ১৮২২ সালে। ২০০৫ সালে এ. কে. আতাউর রহমান বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছকে ৫৫টি পরিবারের অধীনে ১৫৪ গণের ২৬৫টি প্রজাতিকে তালিকাভুক্ত করেছিলেন যার ভেতরে কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছও ছিলো।আরো পড়ুন
মাছ
পানিতে বাস করা মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ একটি। এরা শীতল রক্ত বিশিষ্ট। মাছের শ্বাস প্রশ্বাস কার্য চালোনা করে ফুলকারার সাহায্যে। পানিতে সাঁতরে চলার জন্য যুগ্ন অথবা অযুগ্ন পাখনা আছে। মাছের দেহে সাধারণত আইশ থাকে। তব্বে অনেক মাছের আইশ নেই।
মাছ লোনা পানি এবং স্বাদু পানি উভয় পানিতে থাকে। সচরাচর খাল, বিল, হাওর, বাওর, নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবাতে মাছকে চাষ করা যায়; বা প্রাকৃতিকভাবেও বাস করে। পানির যেকোনো স্তরে মাছ বাস করতে পারে। পৃথিবীর সব দেশেই মাছ সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার। এখন পর্যন্ত আমাদের বাংলাদেশে ৪৭৫ প্রজাতির লোনাপানির মাছ এবং ২৬০ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ পাওয়া যায়।
ঝিল শিংঘি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুলভ মাছ
সমগ্র বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং লাউসে স্থির পানির জলাশয়ে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, তবে ইষৎ লবণাক্ত পানিতে বিরল। আরো পড়ুন
আফ্রিকান মাগুর বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এবং বাংলাদেশে আগ্রাসি মাছ
আফ্রিকান মাগুরের দেহ লম্বা, চোঙাকৃতির এবং দীর্ঘ পৃষ্ঠ ও পায়ুপাখনা যুক্ত। বক্ষপাখনায় শক্তিশালী কাঁটা থাকে যার বহিঃস্থ পার্শ্ব করাতের ন্যায় ধারালো (Teugels, 1986)। দেহ ত্বক আইশবিহীন ও পিচ্ছিল, পৃষ্ঠ এবং পার্শ্বদেশ কালো বর্ণের। আরো পড়ুন
দেশি পাঙ্গাশ বাংলাদেশের মহাবিপন্ন প্রজাতি মাছ
মাথাটি মুখের কোণের পিছনে তার দৈর্ঘ্যের সমান বিস্তৃত। তুন্ড প্রায় গোলাকার। চোখ সরু চর্বি গঠিত পাতাযুক্ত এবং আংশিকভাবে মুখের কোণের নিচের স্তরে অবস্থিত। আরো পড়ুন
থাই পাঙ্গাশ বাংলাদেশে আগ্রাসি প্রজাতির মাছ
দেহ চাপা এবং লম্বা। পৃষ্ঠপাখনার পশ্চাতের পৃষ্ঠদেশ প্রায় সোজা। মাথা নরম ত্বক দ্বারা আবৃত। প্রায় প্রান্তীয় মুখ বিদ্যমান। সম্মুখ নাসারন্ধ্র সুস্পষ্টভাবে তুন্ডশীর্ষে অবস্থান করে। পশ্চাৎ নাসারন্ধ্র একটা সরু প্রান্তযুক্ত। আরো পড়ুন
রুই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার জনপ্রিয় মাছ
রুই মাছের দেহ মধ্যম লম্বা। পৃষ্ঠদেশ অংকীয় দেশের তুলনায় অধিক উত্তল । তুন্ড ভোতা ,মুখের সামনে বর্ধিত এবং পার্শ্ব লোববিহীন । চোখ দুইটি ছোট যা মাথার নিচ থেকে দেখা যায়। তুন্ড ছিদ্রযুক্ত নয় । আরো পড়ুন
সিলভার কার্প এশিয়ার অধিক উৎপাদনশীল মাছ
দেহ শক্তিশালী এবং চাপা; উদর গভীরভাবে চাপা; গলা থেকে পায়ু পর্যন্ত তীক্ষ্ণ খাঁজযুক্ত। মাথা তুলনামূলক ছোট, পশ্চাৎ কানকো বিক্ষিপ্ত সূতাযুক্ত; তুন্ড ভোতা, সম্মুখে স্থলভাবে গোলাকার। আরো পড়ুন
কালিবাউশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিপন্ন মাছ
কালিবাউশ বা কালবাউশের পৃষ্ঠদেশ উদরীয় অংশের তুলনায় অধিক উত্তল। তুন্ড ভোতা তবে কোনো পার্শ্বলাব থাকে না। অক্ষিকোটরের মধ্যবর্তী স্থান উত্তল । আরো পড়ুন
থাই সরপুটি এশিয়ার দেশসমূহের বাণিজ্যিক মাছ
দেহ দৃঢ়ভাবে চাপা; পৃষ্ঠদেশ উঁচু এবং বাঁকা, মাঝে মাঝে পশ্চাৎ কপাল অবতল থাকে। মাথা ছোট; তৃভ সূচালো ও মুখ প্রান্তীয়। স্পর্শী খুব ক্ষুদ্র বা লুপ্তপ্রায়, বিশেষ করে উপরেরটি মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ অদৃশ্য থাকে। আরো পড়ুন
তিলা শোল ভারত এবং বাংলাদেশের বিরল মিঠাপানির মাছ
এই প্রজাতি অন্যান্য সর্পমাথা মাছের ন্যায় আগ্রাসী ধরনের। পরিণত মাছ মাংসাশী, শিকারী, অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্য হিসেবে অন্যান্য মাছ পছন্দ করে। এবং কিছু কিছু মাছের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আরো পড়ুন