কিরামার বা ধূম্রপত্র-এ ভেষজ লতা

কিরামার বা ধূম্রপত্র-এর পরিচয়: সরু, লোমহীন, বহুবর্ষজীবী, ভূতলশায়ী উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা ঈশের মূলের পাতার চেয়ে আকারে কিঞ্চিৎ বড়, তবে বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। কোনটি বৃক্কাকার, কোনটি ডিম্বাকৃতি, অনেকটা পেঁপের আকৃতি বিশিষ্ট। পাতার কিনারা ঢেউ খেলানো, অগ্রভাগ সরু, বোঁটা প্রায় ইঞ্চিখানিক লম্বা। ফুল পাতার কোলে একত্রে অনেক জন্মে, তবে একটি একটি করে ফোটে, ১–২ ইঞ্চি … Read more

ক্ষুদি ওকড়া গুল্ম গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে জন্মে

ক্ষুদি ওকড়া বর্ষজীবী উদ্ভিদ। বীজ থেকে গাছ জন্মে। ভারতের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের রাস্তার ধারে, পতিত জমিতে, শস্যক্ষেত্রে যত্রতত্র এটিকে দেখতে পাওয়া যায়। মাত্র দেড়েক হাত উঁচু হয়। সামান্য শাখা-প্রশাখাযুক্ত ও রোমশ উদ্ভিদ। পাতা ২–৪ ইঞ্চি লম্বা, বেশ বড়, গোলাকার কিংবা ডিম্বাকৃতি, ফিকে সবুজ বর্ণের ও ত্ব্বক খসখসে। পাতায় তিনটি ভাগ বা খাঁজ আছে, বলা যেতে পারে … Read more

বাঘনখী নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল জন্মানো গুল্ম

বাঘনখী প্রায় সর্বত্র জন্মে। তবে অঞ্চলভেদে কোথাও পতিত জমিতে, কোথাও রাস্তার ধারে কিংবা আবর্জনাপূর্ণ স্থানে অথবা সুড়কির স্তূপে জন্মে। উদ্ভিদটি অযত্নসম্ভূত এবং বর্ষজীবী। সারা বিশ্বের প্রায় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি হয়ে থাকে। গাছটি সাধারণতঃ ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু হয়ে থাকে। পাতা বড় বড়, কোনটি ডিম্বাকৃতি, কোনটি-বা হৃৎপিণ্ডাকৃতি, কিনারা ঢেউ খেলানো। ফুল দেখতে অনেকটা তিলফুলের মতো, … Read more

বন ভেণ্ডী বা স্বর্ণ ভিণ্ডী ভেষজ গুল্ম

ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ, জঙ্গলে কিংবা রাস্তার ধারে, পরিত্যক্ত স্থান সমূহে আপনা-আপনি জন্মে। বীজ থেকে গাছ হয়। গাছ নানা আকৃতির হয়ে থাকে । তবে সাধারণতঃ ৬ বা ৭ ফুটের অধিক উঁচু হয় না। শাখাপ্রশাখা অধিক, সামান্য রোমশ। পাতা হৃৎপিণ্ডাকৃতি, ১-২ ইঞ্চি চওড়া ও ২-৩ ইঞ্চি লম্বা, সাধারণতঃ ৫-৭টি ভাগে বিভক্ত, প্রতিটি ভাগ প্রায় সূচাগ্র বিশিষ্ট … Read more

আসাম লতা বা জাপান লতা-এর ভেষজ গুণাগুণ

ঔষধার্থে পাতা ও নরম ডগা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাহ্য ব্যবহার ছাড়া আভ্যন্তরীণ ব্যবহার করা এখনও সম্ভব হয়নি । লতাটি যে এলার্জিকারক, তা পূর্বেই বলা হয়েছে, এজন্য বাহ্যিক ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই প্রয়োজন । তবে একদিন সামান্য ব্যবহারে যদি এলার্জি না হয়, তাহলে পরবর্তী স্তরে এলার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে না। আর কারও যদি … Read more

আসাম লতা বা জাপান লতা আগ্রাসী ও ভেষজ গুণসম্পন্ন প্রজাতি

সাধারণতঃ পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, দক্ষিণ ভারতের কোনো কোনো স্থানে এই লতাটিকে দেখতে পাওয়া যায়। এটি এক বা একাধিক বৎসর বাঁচে। বীজ থেকে গাছ বেরোয়। সাধারণতঃ কোন না কোন গাছকে আশ্রয় করে জড়িয়ে উঠে যায় এবং ছোট আকারের হলে তার সর্বনাশ ক’রে ছাড়ে। পরিচিতি এই গাছটির পাতা ও ডাঁটা (লতা) গবাদি পশুর প্রিয় খাদ্য। পাতা হৃৎপিণ্ডাকৃতি … Read more

বনওকড়া বিরুৎ-এর মূল, পাতা, ফুলের গুণাগুণ

বনওকড়া বিরুৎ (triumfetta rhomboidea)-এর ফলগুলি দেখতে অনেকটা ছোলার মত। অতি সহজেই কাপড়ে আটকে যায় । সাধারণতঃ অক্টোবর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে গাছে ফুল ও ফল হয় । বনওকড়া বিরুৎ-এর গুণপনা মূল— স্বাদে তিক্ত ও কটু, স্বভাবে শীতল, পিচ্ছিল, বলকর, রসায়ন, রক্তরোধক, স্তন্যবর্ধক, কামোদ্দীপক ও প্রস্রাবকারক এবং প্রবাহিকা ও রক্তাতিসারে ব্যবহার্য। এটি অন্ত্রজ ক্ষত সারায়, ব্রণে … Read more

বনওকড়া এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

মাটি আবহাওয়ার জন্য এই গাছ ৪/৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। গাছটিতে শাখা-প্রশাখা বিশেষ একটা হয় না। পাতা অনেকটা হৃৎপিণ্ডাকৃতি, তিনটি খাঁজ বিশিষ্ট (3 lobed) এবং সমগ্র পাতাটির কিনারা করাতের ন্যায় কাটা কাটা। বনওকড়া গাছের গোড়ার পাতার বোঁটা লম্বা, ডগার দিকের পাতা ছোট, আয়তাকার, অগ্রভাগ ক্রমশ সরু, কিনারা কাটাকাটা এবং পাতার কোলে হলুদ রঙের … Read more

মিশ্রিদানা বা চিনিপাতা-এর উপকারিতা

মিশ্রিদানা বা চিনিপাতা বোটানিক্যাল পরিচিতি হলো—এটি Scrophulariaceae পরিবারের Scoparia গণের একটি প্রজাতি, সেটির নাম Scoparia dulcis Linn. ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ : মূল সমেত সমগ্র গাছ। মিশ্রিদানা বা চিনিপাতা-এর গুণপনা পাতা ভিজানো জল / পাতার রস জ্বর, কাসি ও ফুসফুসনলিকা প্রদাহে উপকারী। পাতা গরম জলে ভিজিয়ে খেলে সরলে প্রস্রাব হয়। সমগ্র গাছের ক্বাথ খেলে মূত্রথলির ক্ষুদ্র … Read more

কার্ডানথেরা গণের দুটি প্রজাতি

কালা নামে প্রাপ্ত ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের দু’টি প্রজাতিকে নিয়ে এই প্রবন্ধে আলোকপাত করা হবে। কার্ডানথেরা নামে গণে দু’টি গাছ হলো— Cardanthera uliginosa ( Nees) Buch.-Ham. ex Benth. এবং Cardanthera triflora Buch.-Ham. ex Benth. গাছ দু’টির পৃথক পৃথক পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। কার্ডানথেরা গণের দুটি প্রজাতির পরিচিতি 1. Cardanthera uliginosa (Nees) Buch.-Ham. ex Benth:Cardanthera এই গণটির অর্থ … Read more

error: Content is protected !!