কার্ডানথেরা গণের দুটি প্রজাতি

কালা নামে প্রাপ্ত ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের দু’টি প্রজাতিকে নিয়ে এই প্রবন্ধে আলোকপাত করা হবে। কার্ডানথেরা নামে গণে দু’টি গাছ হলো— Cardanthera uliginosa ( Nees) Buch.-Ham. ex Benth. এবং Cardanthera triflora Buch.-Ham. ex Benth. গাছ দু’টির পৃথক পৃথক পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। কার্ডানথেরা গণের দুটি প্রজাতির পরিচিতি 1. Cardanthera uliginosa (Nees) Buch.-Ham. ex Benth:Cardanthera এই গণটির অর্থ … Read more

আলগা মুথা বহুবর্ষজীবী ভেষজ তৃণ

বহুবর্ষজীবী বীরুৎ, মোটামুটি গুচ্ছবদ্ধ, গ্রন্থিকন্দ গুঁড়িকন্দবৎ, গাঢ় বাদামী বর্ণের শঙ্কে আবৃত, মূল দৃঢ়, তৃণকান্ড গুচ্ছাকার, ৩০-৮০ সেমি × ২-৫ মিমি, ত্রিকোণাকৃতি, মসৃণ। পত্রফলক রৈখিক, ৮-৮৫ সেমি x ৩-২০ মিমি সম্পুর্ণ সূক্ষ্মাগ্র, মূলীয় অংশ খাঁজ যুক্ত, অপর অংশ চ্যাপটা, ৩ শিরাল, প্রান্ত ও শিরার উপরের অংশ অমসৃণ, নিচের অংশ হালকা সবুজ, উপর তৃণ-সবুজ, পত্রাবরণ ৪-১০ সেমি, ফিকে সবুজ থেকে মরিচা বা লালাভ-বাদামী, আরো পড়ুন

করাঙ্কুশ ঘাস-এর নানাবিধ ভেষজ প্রয়োগ

সৌরভযুক্ত, উদ্দীপক, রক্ত পরিষ্কারক, পিত্তনিঃসারক, ঘর্মকারক, সংকোচক, তিক্ত, শীতল, অগ্নিদ্দীপক; জ্বর, সর্দি, কাসি, পুরাতন বাত, কলেরা, গেঁটে বাত, মূত্রকৃচ্ছ্র, ধাতুদৌর্বল্য, আধ্মান নাশক। বাতরোগে বিরেচক। আমাশয়ের পক্ষে হিতকর। বাতে এই ঘাসের প্রলেপ উপকারী। এছাড়া এটি দাহ, তৃষ্ণা, বমি ও মোহনাশক।আরো পড়ুন

রুসা ঘাস-এর নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণের প্রয়োগ

উদ্দীপক, সুগন্ধযুক্ত, কটু, তিক্ত, সংকোচক ; জ্বর, বেদনা, কুষ্ঠ, হৃদরোগ, মুখরোগ, মৃগী (শিশুদের) ও ফুসফুস নলিকা প্রদাহে ব্যবহার্য। মূল ও কাণ্ড বেটে লাগালে বৃশ্চিকের হুল ফোটানো যন্ত্রণার লাঘব হয়। আরো পড়ুন

গন্ধবেণা বা গন্ধ তৃণ-এর ছয়টি ভেষজ গুণাগুণ

জ্বরঘ্ন, ঘর্মকারক, উদ্দীপক, মুখগহ্বর ও মাথার শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর প্রদাহের প্রতিষেধক, ম্যালেরিয়া রোগগ্রস্থ শোথরোগীর ক্ষেত্রে ফলপ্রদ ঔষধ। কৃমিনাশক, ক্ষুধাবর্ধক, বিরেচক, শিশুদের কাসিতে লাভদায়ক, আন্ত্রিক রোগে ব্যবহার্য, কামেচ্ছা নষ্ট করে। এই ঘাসসিদ্ধ জলে দুধ ও চিনি মিশিয়ে চায়ের মতো খাওয়া যায়। জাভাতে ঘাসের রস দিয়ে মসলাদার সুস্বাদু সরবত তৈরী হয়।আরো পড়ুন

কাউন-এর নানাবিধি ভেষজ প্রয়োগের বিবরণ

সমগ্র বিশ্বে এই গণের ৩০টি প্রজাতি পাওয়া যায়। এটিকে হিন্দীতে কংগুনী, টংগুনী, কাংগনী, বাংলায় কংগু, কংগুনি, কাকনি দানা, কাংনী, কাউন প্রভৃতি বলে। মেদিনীপুরের কোন কোন জায়গায় এটিকে সুজির গাছও বলে। এর বোটানিক্যাল নাম Setaria italica Beauv.পূর্বে এটির নাম ছিল Panicum italicum Linn, ফ্যামিলী -Gramineae. ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ: ধান্য (চাল)।আরো পড়ুন

মালাঙ্গাকুরি বা চাপরা ঘাস বাংলাদেশের ভেষজ তৃণ

মালাঙ্গাকুরি বা চাপরা ঘাস (বৈজ্ঞানিক নাম: Eleusine indica) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে সর্বত্রে জন্মে। সাধারণত উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত, উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলেও জন্মে। বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মিতে দেখা যায়। আরো পড়ুন

ঢোলপাতা বা কানশিরে তৃণের সাতটি ভেষজ উপকারিতা

ক্ষুপ জাতীয় এই প্রজাতির পাতার গোড়ার দিকটায় একটু, চওড়া বেষ্টনী আছে যেটা লতাটাকে জড়িয়ে ধরে রাখে এবং এর গায়ে কোমল রোম আছে। পুষ্পধি দেখতে অনেকটা ছেড়া কানের মত, তার মধ্য থেকেই ছোট ছোট নীল ফুল হয়। তাই এর প্রচলিত নাম কানছিড়ে। বীজকোষ ঝিল্লীযুক্ত। আরো পড়ুন

মুথা ঘাস বাংলাদেশের সর্বত্রে জন্মানো ভেষজ প্রজাতি

মুথা

উন্মুক্ত বা ছায়াযুক্ত ভূখন্ড, লন, পথপার্শ্ব, পতিত জমি, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত স্থানে জন্মিতে পারে। ফুল ও ফল ধারণ মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস। বীজ থেকে বংশ বিস্তার হয়। বিস্তৃতি: বিশ্বের উষ্ণ মন্ডলে বিস্তৃত। বাংলাদেশের সর্বত্র সহজলভ্য।আরো পড়ুন

গন্ধবেণা, গন্ধ তৃণ বা লেমন ঘাস বাংলাদেশে জন্মানো ভেষজ তৃণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায় হাঁপানি রোগ, ফুসকুড়ি, শ্বাসনালীর প্রদাহ, সর্দি-জ্বর, কাশি, যকৃতের সমস্যা, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ও পাকস্থলীর পীড়ায় এই গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে থাকে (Uddin, 2006)।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!