বিষ লতা দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ বিরুৎ

ভূমিকা: বিষ লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Hedyotis scandens) হচ্ছে রুবিয়াসি পরিবারের হেডিয়োটিস গণের এক প্রকারের বিরুত। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মায়। বিষ লতা-এর বর্ণনা : বিষ লতা বর্ষজীবী শাখান্বিত বীরুৎ। যা লম্বা কাষ্ঠল মৌল কাণ্ডযুক্ত, ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। দেখতে খাড়া, আরোহী, কাণ্ড কোণাকার বা বেলনাকার, খাঁজযুক্ত। পত্র উপপত্রযুক্ত এবং বৃত্তক, উপপত্র যমক, ২.০-২.৫ × … Read more

ভূঁই আদা পাহাড়িঞ্চলের জন্মানো বীরুৎ

ভূমিকা: ভূঁই আদা (বৈজ্ঞানিক নাম: Hedychium coccineum) হচ্ছে জিঞ্জিবেরেসিস পরিবারের হেডিকিয়াম গণের এক প্রকারের বিরুত। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মায়। ভূঁই আদা-এর বর্ণনা: ভূঁই আদা লম্বা রাইজোমসমৃদ্ধ বীরুৎ। পত্রল-কান্ড, ১.৫-২.০ মিটার লম্বা, গোড়া বেগুনী। পাতা অবৃন্তক, রেখ-ল্যান্সাকার, দীর্ঘাগ্র, ৩০-৫০ × ৪-৫ সেমি, গোড়ার দিকে গোলাকার, মধ্যশিরা ও আগার দিকে পিউবিসেন্ট। কচি অবস্থায় নিচে বেগুনী, লিগিউল … Read more

ভুইনোরা দক্ষিণ এশিয়ার বনজ বিরুৎ

ভূমিকা: ভুইনোরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Peristylus constrictus) হচ্ছে ওখেডেসিয়া পরিবারের পেরিস্টিলাস গণের এক প্রকারের গুল্ম। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মায়। ভুইনোরা-এর বর্ণনা: ভুইনোরা একপ্রকার স্থলজ বীরুৎ। এদের কান্ড দৃঢ়, লম্বা, পুষ্পমঞ্জরী ৭৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা। পাতা উপবৃত্তাকার, তীক্ষ্ণাগ্র বা দীর্ঘাগ্র, ১৫ × ১০ সেমি পর্যন্ত, পাদদেশ সরু বা প্রশস্ত বৃন্ত বিশিষ্ট। পুষ্পমঞ্জরী স্পাইক, ২৫ সেমি পর্যন্ত … Read more

বুনো ঝিঙা দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ গুণসম্পন্ন বিরুৎ

ভূমিকা: বুনো ঝিঙা (বৈজ্ঞানিক নাম: Gymnopetalum cochinchinense) হচ্ছে কুকুরবিটাসিয়া পরিবারের জিমনোপেটলুম গণের এক প্রকারের গুল্ম। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মায়। বুনো ঝিঙা-এর বর্ণনা : বুনো ঝিঙা  বহুবর্ষজীবী আরোহী বীরুৎ। এদের কান্ড ও শাখা সরু, কন্টকরোমী বা অতিরোমশ। আকর্ষ সূত্রাকার, সরল। পত্র ডিম্বাকার, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৪-৮ সেমি, অবিভক্ত বা খন্ডিত, অতিরোমশ-খররোমাবৃত, তরঙ্গিত, এবং সামান্য দন্তর, … Read more

জাতেরি লম্বামালা দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো বিরুৎ

ভূমিকা: জাতেরি লম্বামালা (বৈজ্ঞানিক নাম: Gomphostemma strobilinum) হচ্ছে  এক প্রকারের বর্ষজীবী বীরুৎ। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশে জন্মায়। জাতেরি লম্বামালা-এর বর্ণনা : জাতেরি লম্বামালা শক্ত বর্ষজীবী বীরুৎ। এটি উচ্চতায় ৪০-১৩০ সেমি পর্যন্ত হয়। এদের কাণ্ড গভীর খাঁজযুক্ত, ৪ কোণাকার-স্থূলাগ্র, খসখসে। পাতা প্রায় বৃন্তহীন, পত্রবৃন্ত ০.২-০.৫ সেমি লম্বা, ফলক ১৫-২৫ × ১০-১৬ সেমি, উপবৃত্তাকার-ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র, দপ্তর, … Read more

জাতেরি বড়মালা ভেষজ বিরুৎ

ভূমিকা: জাতেরি বড়মালা (বৈজ্ঞানিক নাম: Gomphostemma parviflorum) হচ্ছে  এক প্রকারের ভেষজ বিরুৎ। এই প্রজাতিটি পূর্ব এশিয়ার দেশে জন্মায়। জাতেরি বড়মালা-এর বর্ণনা: জাতেরি বড়মালা বৃহৎ ও দৃঢ় বীরুৎ। এই প্রজাতিটি ২৫-৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু। এদের কাণ্ড কাষ্ঠল, ঘন অতিরোমশ। পত্র সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত ২-৪ সেমি লম্বা, অতিরোমশ, ফলক ১৫-২৫ × ৮-১৮ সেমি, উপবৃত্তাকার- ডিম্বাকার, দপ্তর, তীক্ষ্ণাগ্র থেকে … Read more

লাল বিছুটি ভেষজ গুণসম্পন্ন বর্ষজীবী বিরুৎ

ভূমিকা: লাল বিছুটি (বৈজ্ঞানিক নাম: Laportea interrupta) এক প্রকারের ভেষজ বীরুৎ। সারা দুনিয়াতে জন্মায়। তবে ছায়াযুক্ত স্থানে এই প্রজাতি বেশী দেখা যায়। বর্তমানে বন জঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে প্রজাতিটি হুমকির সম্মুখীন তবে এখনো পাওয়া যায়। লাল বিছুটি-এর বর্ণনা : লাল বিছুটি মিশ্রবাসী, বর্ষজীবী বীরুৎ। এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়।  গোড়া কাষ্ঠল, শাখাপ্রশাখা খাঁজযুক্ত, শীর্ষের … Read more

যষ্টিমধু এশিয়ার ভেষজ গুণসম্পন্ন বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ

ভূমিকা: যষ্টিমধু (বৈজ্ঞানিক নাম: Glycyrrhiza glabra) হচ্ছে ফেবিসিয়া পরিবারের গ্লাইসাইররিজা  গণের একটি সপুষ্পক বিরুত। এটিকে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জন্মে। মূলত এর শেকড় ব্যবহার করা হয়। যষ্টিমধু-এর বিবরণ: যষ্টিমধু একটি বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। যা ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, প্রায় ৭-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা চূড়ায় পাতা থাকে এবং ৯-১৭ টি কচিপাতা সহ গুচ্ছ হয়। … Read more

বনওকড়া বিরুৎ-এর মূল, পাতা, ফুলের গুণাগুণ

বনওকড়া বিরুৎ (triumfetta rhomboidea)-এর ফলগুলি দেখতে অনেকটা ছোলার মত। অতি সহজেই কাপড়ে আটকে যায় । সাধারণতঃ অক্টোবর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে গাছে ফুল ও ফল হয় । বনওকড়া বিরুৎ-এর গুণপনা মূল— স্বাদে তিক্ত ও কটু, স্বভাবে শীতল, পিচ্ছিল, বলকর, রসায়ন, রক্তরোধক, স্তন্যবর্ধক, কামোদ্দীপক ও প্রস্রাবকারক এবং প্রবাহিকা ও রক্তাতিসারে ব্যবহার্য। এটি অন্ত্রজ ক্ষত সারায়, ব্রণে … Read more

বনওকড়া এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

মাটি আবহাওয়ার জন্য এই গাছ ৪/৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। গাছটিতে শাখা-প্রশাখা বিশেষ একটা হয় না। পাতা অনেকটা হৃৎপিণ্ডাকৃতি, তিনটি খাঁজ বিশিষ্ট (3 lobed) এবং সমগ্র পাতাটির কিনারা করাতের ন্যায় কাটা কাটা। বনওকড়া গাছের গোড়ার পাতার বোঁটা লম্বা, ডগার দিকের পাতা ছোট, আয়তাকার, অগ্রভাগ ক্রমশ সরু, কিনারা কাটাকাটা এবং পাতার কোলে হলুদ রঙের … Read more

error: Content is protected !!