চিরহরিৎ অরণ্য থেকে শুষ্ক পত্রঝরা অরণ্য, সচরাচর বনের প্রান্তে, উপদ্রত মৃত্তিকা, বালিকাময় নদীর তীর এবং সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ের চূড়ায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল এপ্রিল-জুলাই। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং শাখা কলমের সাহায্যে।আরো পড়ুন
গুল্ম
গুল্ম হচ্ছে আকারে ছোট আকারের স্থায়ী কান্ডবিশিষ্ট দীর্ঘজীবী উদ্ভিদ। তবে গুল্মের গোড়ায় থেকে শাখা-প্রশাখার বিস্তার শুরু হয়। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া বনে বা বসতি অঞ্চলের জমিতে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ভালোভাবে জন্মে। গুল্ম অধিকাংশই অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ও এরা সব ধরনের মাটিতে জন্মে।
গুল্ম সাধারণত ঝোপবিশিষ্ট্য হয়। বিভিন্ন প্রজাতির গুল্ম আছে। কিছু গুল্ম পার্ক, উদ্যান, বাগানেরর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগালো হয়। কিছু গুল্মের মধ্যে নানা ভেষজ উদ্ভিদের প্রজাতি আছে; যা নানা রোগ সারাতে ঘরোয়া প্রয়োগে ব্যবহার হয়। কিছু গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ শখের করে বাড়ির বেলকনিতে টবে লাগিয়ে থাকে।
আমাদের রোদ্দুরে সাইটে নানা গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে প্রবন্ধ দেওয়া আছে। এর মধ্যে আছে ভেষজ, শোভাবর্ধক, বুনো ইত্যাদি। এছাড়া গুল্মের কিছু প্রজাতির পরিবার ও গণের বর্ননা আছে। প্রজাতির মধ্যে আছে- লালপাতা, গোলাপ, বেলি, জুঁই, গন্ধরাজ, কাঁটা মুকুট ইত্যাদি।
রাখালচিতা উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মানো ভেষজ গুল্ম
রাখালচিতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Allophylus cobbe) পাহাড় ও বনাঞ্চলে জন্মানো গুল্ম। বাংলাদেশে এটি যেমন জ্বালানিতে ব্যবহৃত হয় তেমনি নানা রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ছোট আকৃতির এই প্রজাতিটির বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে।আরো পড়ুন
বনরিটা বা ধানরিটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভেষজ গুল্ম
বর্ষা অরণ্য, উপদ্রত অরণ্য, খালের পাড়, মাঠ, উন্মুক্ত তৃণভূমি এবং অন্যান্য উন্মুক্ত এলাকা। চুনাপাথরবিশিষ্ট এলাকা থেকেও বর্ণিত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০-১৫০০ মিটার উচ্চতায়। ফুল ও ফল ধারণ ফেব্রুয়ারী-মার্চ। বংশ বিস্তার হয় বীজের মাধ্যমে।আরো পড়ুন
লতাকস্তুরী গুল্মের ছয়টি ঔষধি ব্যবহার ও প্রযোগ পদ্ধতি
লতাকস্তুরী একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। তবে এ গাছের পরিপক্ব টাটকা বীজ হাতে নিয়ে একটু ঘষা দিলেই চমৎকার ঘ্রাণ ভেসে আসে। হয়তো সেজন্যই কস্তুরী নামকরণ হয়েছে। দেখতে ঢেঁড়সের চেয়ে অনেক শক্ত এবং ঋজু। তবে ছায়াচ্ছন্ন স্থানে জন্মালে এর এই ঋজু ভাবটা আমূল পাল্টে গিয়ে গাছটি প্রচুর শাখাবিশিষ্ট প্রায় লতানো হয়ে আসে।আরো পড়ুন
দাদমর্দন উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মানো ভেষজ গুল্ম
বাহারি গাছ রূপে উদ্যানে জন্মে, কখনও পতিত জমি, ডোবার পাশ্ববর্তী ভূখন্ড, ধান ক্ষেতের মধ্যবর্তী স্থান এবং অনাবাদী জমিতে জন্মিতে দেখা যায়। ফুল ও ফল ধারণ সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি। বংশ বিস্তার হয় বীজ ও শাখা কলমের মাধ্যমে।আরো পড়ুন
জাগমদন এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ গুণ সম্পন্ন গুল্ম
গাছের পাতার পেষ্ট ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। পাতা এবং কচি ডগা বিশেষ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য সংশ্লেষণকারী এবং ক্বাথ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী বাতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। পাতার নির্যাস আভ্যন্ত রীণভাবে মাথা ব্যথা, অসাড়তা এবং মুখমণ্ডলের প্যারালাইসিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।আরো পড়ুন
নীল ঝাঁটি বা বনমালী বাংলাদেশে জন্মানো ভেষজ গুল্ম
এই প্রজাতিটি বনভূমিতে দেখা যায়। মূলত বন্য পরিবেশে ভালো জন্মে। বাড়ির বাগানে লাগাতে চাইলে যত্ন নিতে হবে। ফুল ও ফল ধারণ নভেম্বর-মার্চ। বংশ বিস্তার হয় বীজ দ্বারা।আরো পড়ুন
স্বর্ণ ঝিন্টি বা কান্তা-জান্তি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের ভেষজ গুল্ম
গ্রামের চারপার্শ্বে এবং গুল্ম উদ্যানে, কখনও কখনও মাঠ, বাগান ইত্যাদির সীমানা নির্দেশক বেড়া হিসেবে লাগানো হয়। ফুল ও ফল ধারণ নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি। কাটিং এর মাধ্যমে সহজেই বংশ বিস্তার করা যায়। তাছাড়া বীজের মাধ্যমেও বংশ বিস্তার হয়।আরো পড়ুন
শিমুল আলু বা কাসাভা হচ্ছে শর্করা জাতীয় কন্দজ গুল্ম
সুনিষ্কাশিত জমিতে চাষাবাদকৃত। শিমুল আলু গাছে সেচ দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন নাই। শীতের শেষ হতেই লাগিয়ে দিলে ভালভাবে বৃদ্ধি পাবে। ফুল ও ফল ধারণ সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি। বংশ বিস্তার হয় বীজে বংশ বিস্তার।আরো পড়ুন
আফিং বা আফিম হচ্ছে ভেষজ গুণসম্পন্ন বর্ষজীবী গুল্ম
আফিং বা আফিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Papaver somniferum)হচ্ছে ভেষজ গুণসম্পন্ন বর্ষজীবী গুল্ম। ফল পাকলে তা থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়। এগুলোই দেখতে পোস্তদানা মতো। পোস্তদানা, ফল, আঠা, ফুল ও ফুলের পাপড়ি সবগুলোই ঔষধরূপে ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন