কিরামার বা ধূম্রপত্র-এ ভেষজ লতা

কিরামার বা ধূম্রপত্র-এর পরিচয়: সরু, লোমহীন, বহুবর্ষজীবী, ভূতলশায়ী উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা ঈশের মূলের পাতার চেয়ে আকারে কিঞ্চিৎ বড়, তবে বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। কোনটি বৃক্কাকার, কোনটি ডিম্বাকৃতি, অনেকটা পেঁপের আকৃতি বিশিষ্ট। পাতার কিনারা ঢেউ খেলানো, অগ্রভাগ সরু, বোঁটা প্রায় ইঞ্চিখানিক লম্বা। ফুল পাতার কোলে একত্রে অনেক জন্মে, তবে একটি একটি করে ফোটে, ১–২ ইঞ্চি … Read more

আসাম লতা বা জাপান লতা-এর ভেষজ গুণাগুণ

ঔষধার্থে পাতা ও নরম ডগা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাহ্য ব্যবহার ছাড়া আভ্যন্তরীণ ব্যবহার করা এখনও সম্ভব হয়নি । লতাটি যে এলার্জিকারক, তা পূর্বেই বলা হয়েছে, এজন্য বাহ্যিক ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই প্রয়োজন । তবে একদিন সামান্য ব্যবহারে যদি এলার্জি না হয়, তাহলে পরবর্তী স্তরে এলার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে না। আর কারও যদি … Read more

আসাম লতা বা জাপান লতা আগ্রাসী ও ভেষজ গুণসম্পন্ন প্রজাতি

সাধারণতঃ পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, দক্ষিণ ভারতের কোনো কোনো স্থানে এই লতাটিকে দেখতে পাওয়া যায়। এটি এক বা একাধিক বৎসর বাঁচে। বীজ থেকে গাছ বেরোয়। সাধারণতঃ কোন না কোন গাছকে আশ্রয় করে জড়িয়ে উঠে যায় এবং ছোট আকারের হলে তার সর্বনাশ ক’রে ছাড়ে। পরিচিতি এই গাছটির পাতা ও ডাঁটা (লতা) গবাদি পশুর প্রিয় খাদ্য। পাতা হৃৎপিণ্ডাকৃতি … Read more

নীলকলমী দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ লতা

নীলকলমী ভারতের অধিকাংশ স্থানে কালাদানা নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে I. nil-এর বীজ কালাদানা হলেও বহু ক্ষেত্রে I. muricata, Crotalaria juncea, Acacia arabica, Peganum harmala, Ocimum basilicum ও Clitoria ternatea প্রভৃতির বীজও কখনো আসলের সঙ্গে ভেজাল হিসেবে, কখনও কালাদানা নামে বাজারে আসে। অতএব চেনার সামান্য গোলমাল হলেই বিপদ। নীলকলমী-এর পরিচিতি Convolvulaceae পরিবারের Ipomoea গণভুক্ত প্রায় ৫০টি প্রজাতি … Read more

কেলেলতা দক্ষিণ এশিয়ার ভেষজ প্রজাতি

Menispermaceae পরিবারের অন্তর্গত Tiliacora গণের প্রজাতিগুলি চিরহরিৎ, কাষ্ঠাল লতা অথবা লতানে উদ্ভিদ। এই গণভুক্ত তিনটি প্রজাতি ভারতে জন্মে। তন্মধ্যে একটি প্রজাতি কেলেলতা বা তিলিয়াকরা, যার বোটানিক্যাল নাম Tiliacora acuminata Miers. কেলেলতা-এর পরিচিতি চিরহরিৎ পত্রাচ্ছাদিত কাষ্ঠাল কাণ্ডযুক্ত বহুবিস্তৃত লতানে উদ্ভিদ। শাখা-প্রশাখা কোমল ও হালকা রোমশ। ভারতের প্রায় সর্বত্র সাধারণতঃ বেড়ার উপর লতাতে কিংবা জঙ্গলে বড় গাছকে … Read more

তিতাকুঞ্জ লতা গ্রীষ্মাঞ্চলে জন্মানো ভেষজ উদ্ভিদ

হিন্দী ভাষাভাষী অঞ্চলে এই ছাগলবেঁটে গাছটির নাম নাচিকনী, বাংলায় কোথাও তিকুঙ্গী, কোথাও-বা নাকচিকনী নামে পরিচিত। আর একটি বাংলা-সংস্কৃত ঘেঁষা নাম হলো মধুমালতী। লতানো বৃক্ষারোহী লতা। ফুলের বাহারের জন্য কোথাও কোথাও লাগানো হয়। ফুলের আকৃতিকে কেন্দ্র করে নাচিকনী নামকরণ বলেই ধারণা। ফুল ও ফল তেতো বলে তিৎকুঙ্গী নাম। নাকচিকনী নামে আর একটি ক্ষুপজাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ পাওয়া … Read more

রজমা লতা-এর পাঁচটি ভেষজ গুণাগুণ

কোথাও কোথাও রজমার (Phaseolus vulgaris) কচি পাতার স্যালাড খাওয়ার রেওয়াজ আছে। পাতায় যথেষ্ট পরিমাণে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিকোটিনিক এসিড, ফলিক এসিড বিদ্যমান। একাধারে আহার ও ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় আমাদের জীবনে রাজমার ভূমিকা বিশাল। কাঁচা ফল ও শুকনো বীজকে কিভাবে ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।আরো পড়ুন

রাজমা লতানো বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ

এর আদি বাসস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। কোনো কোনো উদ্ভিদ-বিজ্ঞানীর মতে উষ্ণ-প্রধান আমেরিকার অঞ্চলসমূহ, আবার কারো ধারণা দক্ষিণ মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা এটির আদি বাসভূমি। তবে আদি বাসস্থান যেখানেই হোক না কেন, বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর গ্রীষ্ম-প্রধান অঞ্চলে রাজমার চাষ হয়। অপেক্ষাকৃত গরম অথচ স্যাঁতসেঁতে জায়গায় এটি ভালভাবে জন্মে।আরো পড়ুন

মিষ্টি কুমড়া-এর ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

ভারতীয় মনীষীগণ মিঠে কুমড়োকে নিয়ে কম নাড়াচাড়া করেননি। গবেষণা করেছেন অনেক। কুমড়ো ও কুমড়োর বীজ নিয়ে তাঁদের সমীক্ষাটা এখানে জানাই। মিঠে কুমড়ো স্বাদে মধুর, স্বভাবে শীতল, রুচিকর, তৃপ্তিপ্রদ, গুরু, কফকর, কোষ্ঠপরিষ্কারক, শ্রম ও ভ্রমনাশক; তাছাড়া এটি ক্ষয়, দাহ, তৃষ্ণা, মূত্ররোধ, রক্তবিকার প্রভৃতি প্রশমিত করে। কাঁচা কুমড়ো (মাঝারি বয়সের) স্বাদে কম মধুর হলেও অধিক রুচিকর, বলকারক এবং বীর্যবর্ধক। আরো পড়ুন

ঢেঁকি শাক ভেষজ গুণে ভরা বিরুৎ

ঢেঁকি শাক ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ। এদের কান্ড ৩ থেকে ৬ ফুট লম্বা ও লতানো। অগ্রভাগ খাড়া হয়ে থাকে। ভারত, বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, পাহাড়ী অঞ্চল এবং সমভূতিতে এটিকে দেখতে পাওয়া যায়। ডগাটি গোল হয়ে বাঁকানো। নরম নরম ডগা প্রায় ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। শাক হিসেবে বাজারে বিক্রি হয়ে আসে।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!