রজমা লতা-এর পাঁচটি ভেষজ গুণাগুণ

কোথাও কোথাও রজমার (Phaseolus vulgaris) কচি পাতার স্যালাড খাওয়ার রেওয়াজ আছে। পাতায় যথেষ্ট পরিমাণে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিকোটিনিক এসিড, ফলিক এসিড বিদ্যমান। একাধারে আহার ও ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় আমাদের জীবনে রাজমার ভূমিকা বিশাল। কাঁচা ফল ও শুকনো বীজকে কিভাবে ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।আরো পড়ুন

রাজমা লতানো বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ

এর আদি বাসস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। কোনো কোনো উদ্ভিদ-বিজ্ঞানীর মতে উষ্ণ-প্রধান আমেরিকার অঞ্চলসমূহ, আবার কারো ধারণা দক্ষিণ মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা এটির আদি বাসভূমি। তবে আদি বাসস্থান যেখানেই হোক না কেন, বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর গ্রীষ্ম-প্রধান অঞ্চলে রাজমার চাষ হয়। অপেক্ষাকৃত গরম অথচ স্যাঁতসেঁতে জায়গায় এটি ভালভাবে জন্মে।আরো পড়ুন

মিষ্টি কুমড়া-এর ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

ভারতীয় মনীষীগণ মিঠে কুমড়োকে নিয়ে কম নাড়াচাড়া করেননি। গবেষণা করেছেন অনেক। কুমড়ো ও কুমড়োর বীজ নিয়ে তাঁদের সমীক্ষাটা এখানে জানাই। মিঠে কুমড়ো স্বাদে মধুর, স্বভাবে শীতল, রুচিকর, তৃপ্তিপ্রদ, গুরু, কফকর, কোষ্ঠপরিষ্কারক, শ্রম ও ভ্রমনাশক; তাছাড়া এটি ক্ষয়, দাহ, তৃষ্ণা, মূত্ররোধ, রক্তবিকার প্রভৃতি প্রশমিত করে। কাঁচা কুমড়ো (মাঝারি বয়সের) স্বাদে কম মধুর হলেও অধিক রুচিকর, বলকারক এবং বীর্যবর্ধক। আরো পড়ুন

ঢেঁকি শাক ভেষজ গুণে ভরা বিরুৎ

ঢেঁকি শাক ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ। এদের কান্ড ৩ থেকে ৬ ফুট লম্বা ও লতানো। অগ্রভাগ খাড়া হয়ে থাকে। ভারত, বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, পাহাড়ী অঞ্চল এবং সমভূতিতে এটিকে দেখতে পাওয়া যায়। ডগাটি গোল হয়ে বাঁকানো। নরম নরম ডগা প্রায় ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। শাক হিসেবে বাজারে বিক্রি হয়ে আসে।আরো পড়ুন

সয়াবিন বীজের দুধ বা দই খাওয়ার উপকারিতা

সয়াবিনের (বোটানিক্যাল নাম Glycine max (L.)) বীজ থেকে নানা প্রকার খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুত করা হয়। সয়াবীনের দুধ এবং তা থেকে দই, ছানা প্রস্তুত এখন সর্বজনবিদিত। এছাড়া এটির সাহায্যে রুটি, কেক, বিস্কুট, ওমলেট, পোলাও, পায়েস, নানা প্রকার মিষ্টান্ন দ্রব্য প্রভৃতি সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত হয়।

সয়াবিন উপকারী বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ

সয়াবিন বর্ষজীবী অর্ধলতানে উদ্ভিদ। কখনো কখনো কাণ্ড খাড়া। সমগ্র উদ্ভিদটি রোমশ। তিনটি উপপত্র নিয়ে একটি পাতা। সাদা অথবা হালকা লালচে রঙের ছোট ছোট ফুল হয়। এদের ফল দেড় থেকে ২ ইঞ্চি লম্বা, ফলে ৩-৪টি বীজ থাকে। বীজ লম্বাটে, সামান্য চ্যাপ্টা, হলদে, খয়েরী অথবা কালো রঙের। আরো পড়ুন

নারকাটা সপুষ্পক আরোহী লতা

নারকাটা একটি কাষ্ঠল আরোহী লতা। এর শাখাগুলি ঘন গ্রন্থিযুক্ত ও লোমযুক্ত এবং কাঁটাযুক্ত। লতার পাতা ২২ থেকে ৩৬ সেমি লম্বা হয় এবং দ্বিগুণ যৌগিক। পাতা পাশাপাশি থাকে, একটি শিরায় ১৩ থেকে ২৩ জোড়া থাকে, এটি প্রায় ৩.৫ সেমি লম্বা। ঝিরিঝিরি পাতাগুলো বিপরীতমুখী, ৭ থেকে ১৪ জোড়া, আয়তাকার, প্রায় ৯ × ৪ মিমি, সরল, ব্রাশের মতো দেখতে।আরো পড়ুন

ডোরা বট দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো উদ্ভিদ

মূলারোহী লতা, শাখা-প্রশাখাসমূহ রোমশ, মসৃণবৎ, শুষ্ক অবস্থায় বাদামী। পল্লব অণুকুর্চ আবৃত থেকে অণুকন্টক রোমাবৃত থেকে অণুরোমাবৃত বা মসৃণ। পাতা দ্বিসারি, অণুপর্ণী, উপপত্র ১.০-১.৫ সেমি লম্বা, ডিম্বাকার ভল্লাকার, রোমশ, আশুপাতী, ফলক বৃন্তক, বৃন্ত ১-৩ সেমি লম্বা, বিক্ষিপ্ত রোমশ, ফলক ডিম্বাকার থেকে ডিম্বাকার উপবৃত্তাকার, ৭-১৮ × ৫-১০ সেমি, চর্মবৎ,আরো পড়ুন

লতা ডুমুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্মানো লতা

বর্ষজীবী এবং অধিক শাখান্বিত একটি আরোহী লতা, কচি বিটপ রোমশ। পাতা সরল, একান্তর, বৃন্তক, ফলক ডিম্বাকার-দীর্ঘায়ত, ৪-১০ X ২.৫-৬.০ সেমি, চর্মবৎ, পাদদেশ হৃৎপিণ্ডাকার, কিনারা অখন্ড, শীর্ষ তীক্ষ থেকে উপতীক্ষ্ণ, উপরের পৃষ্ঠ মসৃণবৎ, নিম্নপৃষ্ঠ অতিরোমশ। হাইপ্যান্থোডিয়া সচরাচর আনুভূমিক শাখা থেকে জন্মায় না, আরো পড়ুন

বড় দুধিয়া এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ লতালো বিরুৎ

বড় দুধিয়া বর্ষজীবী আরোহী বীরুৎ। এটি সাধারণত বিশাল আকারের সরল, সোজা লতানো হয়। নরম লোমের মতো কাঁটা আছে। এই লোমশভাব দেখতে হলদেটে। এদের কান্ড প্রায় ৬৫ সেমি লম্বা হয়। মূলীয় অংশ থেকে সামান্য শাখা যুক্ত এবং শাখা লতানো, প্রায়শ চতুষ্কোণাকার, শীর্ষাংশ অশাখ, অতিরোমশ।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!