আধা-সামন্তবাদ বা আধা-সামন্ততন্ত্র (ইংরেজি: Quasi-feudalism) হচ্ছে পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদে উন্নীত হওয়ার পর তাদের দ্বারা নিপীড়িত কৃষিপ্রধান দেশগুলােতে মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদীরা সামন্তবাদ-আধা সামন্তবাদকে উচ্ছেদ না করে তাদের সাথে একত্রে জড়িয়ে থেকে যে শোষণ শাসন চালায়। বাদ ও আধা বা অর্ধেক শব্দ দুটি থেকেই বুঝা যায় পুরাে সামন্তবাদী নয়, এটি হচ্ছে আংশিক বা আরো পড়ুন
মার্কসবাদকোষ
ঊনবিংশ শতাব্দীর দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং বিপ্লবী কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক অনুশীলন ও সামাজিক তত্ত্বই হচ্ছে মার্কসবাদ। যা মালিক শ্রেণির তথা বুর্জোয়া শ্রেণির শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন তথা মজুরি-দাসত্ব থেকে প্রলেতারিয়েতের বা শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির মতবাদ। শ্রেণিসংগ্রাম, উদ্বৃত মূল্য, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জ্ঞান, গবেষণাকে একত্রিত রূপ হচ্ছে মার্কসবাদকোষ।
দাস সমাজ হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানা ও মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষণের প্রথম শ্রেণিসমাজ
দাস সমাজ বা দাসপ্রথাভিত্তিক গঠনরূপ (ইংরেজি: Slavery বা Slave society) হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানা ও মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষণের ভিত্তিতে গঠিত মানব জাতির ইতিহাসে প্রথম শ্রেণিগতভাবে বৈরি সামাজিক অর্থনৈতিক গঠনরূপ। এই দাসপ্রথাভিত্তিক গঠনরূপের আবির্ভাব হয়েছিল আদিম গোষ্ঠীভিত্তিক গঠনরূপের ভাঙনের ফলে। আরো পড়ুন
মানবতাবাদ মানব সমাজের শ্রেণিবিভক্তিকে না দেখে তাকে সমগ্র বা এককভাবে দেখে
মানবতাবাদ বা মানববাদ (ইংরেজি: Humanism) হচ্ছে সাধারণভাবে সমগ্র মানব-সমাজকে এককভাবে দেখা, তার শ্রেণি-বিভক্তিকে না দেখা এবং দুঃখী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অনটনে ব্যথিত হওয়া, দুঃখ প্রকাশ করা, সাহায্য-সহযােগিতা করা।[১] এটা এমন একটি দার্শনিক অবস্থান যা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভাবে এবং সম্মিলিতভাবে মানুষের মূল্য এবং প্রতিনিধিত্বের উপর জোর দেয়। ক্রমবর্ধমান মনীষাগত আন্দোলন যা এর সাথে চিহ্নিত
সংস্কারবাদ শ্রমিক শ্রেণির শ্রেণিসংগ্রাম, বিপ্লব ও ক্ষমতাকে অস্বীকার করে
সংস্কারবাদ (ইংরেজি: Reformism) হচ্ছে শ্রমিক আন্দোলনের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক ধারা, যা শ্রমিক শ্রেণির শ্রেণিসংগ্রাম, রাজনৈতিক বিপ্লব ও রাজনৈতিক ক্ষমতাকে অস্বীকার করে। সংস্কারবাদ হলো সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ও প্রলেতারিয় একনায়কত্বের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকারকারী একটি রাজনৈতিক ধারা। সংস্কারবাদ শ্রেণি সহযোগিতার সমার্থক আরো পড়ুন
ত্রি-বিশ্ব তত্ত্ব চীনা সংশোধনবাদী পার্টির পক্ষ থেকে প্রচারিত শ্রেণি সমন্বয়বাদী তত্ত্ব
ত্রি-বিশ্ব তত্ত্ব বা তিন বিশ্ব তত্ত্ব (ইংরেজি: Three Worlds Theory) হচ্ছে মাও সেতুংয়ের মৃত্যুর পর চীনা সংশােধনবাদী পার্টির পক্ষ থেকে প্রচারিত শ্রেণি সমন্বয়বাদী তত্ত্ব বিপ্লব বর্জনকারী তত্ত্ব। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ত্রি-বিশ্ব তত্ত্ব তিনটি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিশ্বের প্রস্তাব দেয়। আরো পড়ুন
গেভারাবাদ চে গেভারার সাথে যুক্ত গেরিলা যুদ্ধের একটি সামরিক কৌশল
গেভারাবাদ (ইংরেজি: Guevarism) কমিউনিস্ট বিপ্লবের একটি সংশোধনবাদী ক্ষুদে বুর্জোয়ার তত্ত্ব এবং কমিউনিস্ট বিপ্লবী আর্নেস্তো চে গেভারার সাথে যুক্ত গেরিলা যুদ্ধের একটি সামরিক কৌশল যা মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ধারণায় বিশ্বাসী এবং মার্কসবাদী-লেনিনবাদী কতিপয় নীতি গ্রহণ করেছিল।[১] আর্নেস্তো চে গেভারার নাম অনুসারে গেভারাবাদ কথাটি এসেছে। আরো পড়ুন
সমরবাদ এমন বিশ্বাস যাতে রাষ্ট্রের শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতা বজায় থাকে
সমরবাদ (ইংরেজি: Militarism) হচ্ছে সরকার বা জনগণের বিশ্বাস বা আকাঙ্ক্ষা যে একটি রাষ্ট্রের উচিত একটি শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতা বজায় রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ এবং/ বা মূল্যবোধকে প্রসারিত করার জন্য আক্রমণাত্মকভাবে এটি ব্যবহার করা। এটি সামরিক ও একটি পেশাদার সামরিক শ্রেণির আদর্শের মহিমা কীর্তন করে আরো পড়ুন
হোক্সাপন্থা হচ্ছে সংশোধনবাদ বিরোধী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের একটি ভিন্নধারা
হোক্সাপন্থা বা হোক্সাবাদ (ইংরেজি: Hoxhaite বা Hoxhaism) হচ্ছে সংশোধনবাদ বিরোধী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের একটি ভিন্নধারা। এনভার হোক্সার নাম অনুসারে হোক্স্বাপন্থা কথাটি চালু হয়েছে। স্তালিনবাদের অধীনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সংগঠন জোসেফ স্তালিনের উত্তরাধিকারের কঠোর প্রতিরক্ষার মাধ্যমে হোক্সাপন্থা নিজেকে সীমায়িত করে তোলে[১] এবং “সংশোধনবাদী” হিসাবে অন্যান্য সমস্ত কমিউনিস্ট দলকে সমালোচনা করেছিল। আরো পড়ুন
বুদ্ধিজীবী হচ্ছেন সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা নির্মাণে নিযুক্ত ব্যক্তিত্ব
বুদ্ধিজীবী বা মনীষা (ইংরেজি: Intellectual) হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যিনি সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং পড়া, গবেষণা এবং সমাজ সম্পর্কে মানুষের আত্ম-প্রতিবিম্ব নির্মাণে নিযুক্ত।[১] কোনো নীতিগত প্রস্তাবকে রক্ষা বা সমর্থন করার জন্য অথবা কোনো অন্যায়কে অবসানের জন্য বুদ্ধিজীবীরা সৃজনশীল স্রষ্টা বা মধ্যস্ততাকারী হিসেবে সংস্কৃতির জগৎ থেকে এসে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।[২] আরো পড়ুন
নয়া বাম আন্দোলন ছিলো পাশ্চাত্যের বিদ্যমান পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার মধ্যে প্রচ্ছন্ন প্রতিবাদ
নয়া বাম বা নব বাম (ইংরেজি: New Left) আন্দোলন হচ্ছে বিশ শতকের ষাটের দশকে পাশ্চাত্যের বিদ্যমান পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে, প্রচলিত জীবনধারা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং আদর্শের বিরুদ্ধে পাঁতি বুর্জোয়া ছাত্র ও বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে প্রতিবাদী রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি বিশেষ প্রকাশ। নয়া বাম আন্দোলন ভিত্তিগতভাবে শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী আন্দোলনের বিরোধী