নাগরিক এ্যালবামে একটি প্রেমীদিনের প্রতিচ্ছবি
আমাদের কোনো অভিমানে ভরা চোখ ছিলো না সেদিন/ নিলাম্বর নাম ধরে ডাকতে চেয়েছিলো এশহর/ বাঁক ঘুরানো রাস্তাগুলোতে প্রেমময়রেখা এঁকে দিয়ে/ কোমল মুখ জোড়া উজ্জ্বল হয়েছিলো।আরো পড়ুন
সাহিত্য জগতের প্রধান শিল্পরূপ হচ্ছে কবিতা। মানুষ তার চেতনার উন্মেষকাল থেকেই কল্পনাশক্তি ও ভাষার সাহায্যে কবিতা রচনার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ কবিতায় রচিত। কালের ধারায় বাংলা কবিতা বিকশিত হয়েছে মানবমন, সমাজজীবন ও প্রকৃতির রূপরস অবলম্বন করে। প্রাচীন ও মধ্যযুগ অতিক্রম করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা কবিতা তার বিচিত্র ধারায় প্রসারিত। উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক জীবন-প্রতিবেশে সূচিত হয় পাশ্চাত্য সাহিত্যাদর্শের অনুপ্রেরণা-ঋদ্ধ একটি আধুনিক ধারা, তবে স্বদেশের জীবন ও নিসর্গই ছিল এই কবিতার ভাব ও রূপবৈচিত্র্যের মূল উপাদান।
কবিতা হচ্ছে কিছু শব্দ প্রয়োগ করে ছন্দ ও অর্থযুক্ত বাক্য বিন্যাস তৈরি করা। কবিতায় একজন ব্যক্তি বা কবির নিজের আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-উপলব্ধি, মতাদর্শ ইত্যাদি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়। সাহিত্যের আদিম শাখা হচ্ছে কবিতা। স্বরবিত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ছন্দে কবিতা লেখা হয়।
আমাদের কোনো অভিমানে ভরা চোখ ছিলো না সেদিন/ নিলাম্বর নাম ধরে ডাকতে চেয়েছিলো এশহর/ বাঁক ঘুরানো রাস্তাগুলোতে প্রেমময়রেখা এঁকে দিয়ে/ কোমল মুখ জোড়া উজ্জ্বল হয়েছিলো।আরো পড়ুন
কুমোরপাড়ায় চাঁদ ছিলো সেদিন/ মাটির পটগুলোতে নকশার আঁকিবুঁকি চলছিলো,/ আবহাওয়া মোহনীয় ছিলো
আঁধার ছিলো না কোনো গলিতে।/ ময়ূরাক্ষীর মতো কিশোর-কিশোরীদের চোখজোড়া/ খড়কুটো নিয়ে খেলছিলো,আরো পড়ুন
শহর জুড়ে আজ লোডশেডিং/ জানালার কাচ ঠেলে মোমের আলো উঁকি দেয়,/ তাই আমাদের ঘরে ফুলকি হয়ে খেলছে/ একটি মোমবাতি ও হেমাঙ্গের গানে। আরো পড়ুন
জানি মন খারাপ, তোমার আঙুল ছুঁয়ে দেওয়ার কেউ নেই পাশে/ নিজেই খেয়াল রাখো কালো কোঁকড়ানো চুলগুলোর/ আসলে কোথাও কোন অপ্রেমী শহর থাকা উচিৎ নয়/
এই কথা আমি বলে আসছি শত শত বছর ধরেই।আরো পড়ুন
বরুণের মতো প্রান্তরকে ছেয়ে দিব বলে/ আমার অপেক্ষা করেছি এক দশক,/ তাই আজ সীমানা পেড়িয়ে আসা হাওয়ারা-/ ডেকে এনেছে আবির মেশানো ভালোবাসা।আরো পড়ুন
এখন বসন্ত তোমার দুয়ারের কড়া নেড়েই চলে যায়-/ তুমি হকার ভেবে এক ধাপও এগিয়ে আসো না,/ খবরের কাগজে মুখ গুজে বিশ্বের খোঁজ নাও-
নেতারা আকৃষ্ট করেছে আলোর মতো, তার কাছে ছুটে গেছে অনেকেই, যেমন যায় ছোট পোকা আগুনের কাছে মৃত্যুর সাথে সখ্যতার জন্য, আপেক্ষিক জীবনের হিসেবে কতোটুকু ভুল হলে মৃত নক্ষত্রের আলো দেখা যায়, যে নেতা এখনো আছে আমাদের অনুভবে, যে বাড়েনি ভোরের আলোর মতো, যে মিশেছে জনতার সাথে যে চিহ্ন রেখে চলে গেছে নিজের গন্তব্যে সেই তাকে আমি দেখতে চাই আরো পড়ুন
রাষ্ট্রের কর্তা নই, আমরা আছি গৃহকর্তা, খবরদারি মাতব্বরি সব ঘরের মধ্যেই, ফেমেলি, পোলাপান, ঝগড়া, গালাগাল যে শিল্প তা আমাদের গ্রামে এলে দেখবেন; এখন নজর টাকার উপর, স্বপ্নে হলেও দেখি সদর দরজায় দারোয়ান, ব্যক্তিগত গাড়ির মধ্যে খেলনা পুতুল, ঘোরানো সিঁড়ি, আকাশে আলোকিত গ্রহ, আমাদের নগর, আরো পড়ুন
আমরা শ্রমিককে মজুরি দিয়ে বোঝাতে চাই ঘুম এলেও কবিতা লেখা যায়, এবং কবিতা জীবনের অধিক গুরুত্ব বহন করে, হারানো দিন ফুটিয়ে তোলে নিপীড়িতের অসংগতি, ক্ষমতাহীনের উপর অবিচার, নাটকে প্রদর্শিত রাষ্ট্রীয় নিষ্ঠুরতা, তের হাত লাঠি দিয়ে অভাবীকে নাচানো, গানের মাধ্যমে মানুষের মাঝখানে ফিরে যাওয়া শ্রমিক, আরো পড়ুন
আমাদের বাড়ির এক লেজহীন বানর জিগাইল ‘আমি জানতে চাই’ অথচ সক্রেতিসের কথার সাথে মোরগের কথা কোনোদিনই মিলবে না, কারণ ভাষাই পরম প্রেম ভাষাই প্রতীক তোমাকে ভেবেছে যারা সবাই লিখেছে ভাষা ভাষাই সবার বেড়ে রাজদুলালি ভাষাই সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব শক্তিশালি ভাষাই তোমাকে ডাকে অভিজ্ঞতার ঘরে ভাষাই তোমাকে নেয় রাতদুপুরে ভাষাই শোনায় রাজপথের গল্প সিটি বাজানো হকারের বিকল্প তাঁর যৌনানুভুতি আরো পড়ুন