নেতারা আকৃষ্ট করেছে আলোর মতো, তার কাছে ছুটে গেছে অনেকেই, যেমন যায় ছোট পোকা আগুনের কাছে মৃত্যুর সাথে সখ্যতার জন্য, আপেক্ষিক জীবনের হিসেবে কতোটুকু ভুল হলে মৃত নক্ষত্রের আলো দেখা যায়, যে নেতা এখনো আছে আমাদের অনুভবে, যে বাড়েনি ভোরের আলোর মতো, যে মিশেছে জনতার সাথে যে চিহ্ন রেখে চলে গেছে নিজের গন্তব্যে সেই তাকে আমি দেখতে চাই আরো পড়ুন
কবিতা
সাহিত্য জগতের প্রধান শিল্পরূপ হচ্ছে কবিতা। মানুষ তার চেতনার উন্মেষকাল থেকেই কল্পনাশক্তি ও ভাষার সাহায্যে কবিতা রচনার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ কবিতায় রচিত। কালের ধারায় বাংলা কবিতা বিকশিত হয়েছে মানবমন, সমাজজীবন ও প্রকৃতির রূপরস অবলম্বন করে। প্রাচীন ও মধ্যযুগ অতিক্রম করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা কবিতা তার বিচিত্র ধারায় প্রসারিত। উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক জীবন-প্রতিবেশে সূচিত হয় পাশ্চাত্য সাহিত্যাদর্শের অনুপ্রেরণা-ঋদ্ধ একটি আধুনিক ধারা, তবে স্বদেশের জীবন ও নিসর্গই ছিল এই কবিতার ভাব ও রূপবৈচিত্র্যের মূল উপাদান।
কবিতা হচ্ছে কিছু শব্দ প্রয়োগ করে ছন্দ ও অর্থযুক্ত বাক্য বিন্যাস তৈরি করা। কবিতায় একজন ব্যক্তি বা কবির নিজের আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-উপলব্ধি, মতাদর্শ ইত্যাদি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়। সাহিত্যের আদিম শাখা হচ্ছে কবিতা। স্বরবিত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ছন্দে কবিতা লেখা হয়।
শ্রমিকের বেদনা গীত
রাষ্ট্রের কর্তা নই, আমরা আছি গৃহকর্তা, খবরদারি মাতব্বরি সব ঘরের মধ্যেই, ফেমেলি, পোলাপান, ঝগড়া, গালাগাল যে শিল্প তা আমাদের গ্রামে এলে দেখবেন; এখন নজর টাকার উপর, স্বপ্নে হলেও দেখি সদর দরজায় দারোয়ান, ব্যক্তিগত গাড়ির মধ্যে খেলনা পুতুল, ঘোরানো সিঁড়ি, আকাশে আলোকিত গ্রহ, আমাদের নগর, আরো পড়ুন
কিছু রক্ত এখনো বিদ্রোহী
আমরা শ্রমিককে মজুরি দিয়ে বোঝাতে চাই ঘুম এলেও কবিতা লেখা যায়, এবং কবিতা জীবনের অধিক গুরুত্ব বহন করে, হারানো দিন ফুটিয়ে তোলে নিপীড়িতের অসংগতি, ক্ষমতাহীনের উপর অবিচার, নাটকে প্রদর্শিত রাষ্ট্রীয় নিষ্ঠুরতা, তের হাত লাঠি দিয়ে অভাবীকে নাচানো, গানের মাধ্যমে মানুষের মাঝখানে ফিরে যাওয়া শ্রমিক, আরো পড়ুন
গেরুয়া গরুর দাসত্ব
আমাদের বাড়ির এক লেজহীন বানর জিগাইল ‘আমি জানতে চাই’ অথচ সক্রেতিসের কথার সাথে মোরগের কথা কোনোদিনই মিলবে না, কারণ ভাষাই পরম প্রেম ভাষাই প্রতীক তোমাকে ভেবেছে যারা সবাই লিখেছে ভাষা ভাষাই সবার বেড়ে রাজদুলালি ভাষাই সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ব শক্তিশালি ভাষাই তোমাকে ডাকে অভিজ্ঞতার ঘরে ভাষাই তোমাকে নেয় রাতদুপুরে ভাষাই শোনায় রাজপথের গল্প সিটি বাজানো হকারের বিকল্প তাঁর যৌনানুভুতি আরো পড়ুন
গর্ততত্ত্ব ও সংগ্রাম
বাঙলার বিচিত্র মানুষের কষ্টকর দিনগুলো আর অট্টহাসির রাতগুলো উচ্ছল আনন্দে কাটছিল; কিশোর বয়সে প্রথম নাটকে অভিনয়; বাঙলা ভাগ, মাকে দ্বিখন্ডিত করা, যৌবনে অভিনয় বাঙলা ভাগ, সম্পত্তিকে খন্ডিত করা, হরিলুট আর এলো ভোট;—যুক্তফ্রন্ট অর্থহীন নিঃস্ব মানুষ একটি গাছ পেল যা দাসযুগের ধর্মীয় বাতাসে লাফাতে লাফাতে সামন্তযুগ অতিক্রম করে ফ্যাসিযুগের সংগে আরো পড়ুন
মৃত্যুকূপের মাঝে বাঁচার ধূর্ততা
বাঙলাদেশের গ্রামে এলো আঠারো বছরের কিশোর, জগতের দুঃসহ বোঝা কাঁধে নেবে। আর সুবিধাবাদীরা হ্যাচারি খুলছে অনেক, প্রতিবাদ ও বামপন্থার হ্যাচারি, প্রতিবাদে আয় প্রচুর, বৈঠকখানায় চর্চা করে ধান্দামুলক বস্তুবাদ, কতো টাকা আয় হলো গোপনে ডলার ব্যবসা করে, কতো টাকা আয় হলো শেয়ারে সফল লগ্নি করে। আরো পড়ুন
পরমাণু ও সাম্প্রদায়িক বোমা
নিজের ধর্মকে ফকফকা ভেবে মারো লাফ,
আহা হা, কী লাফায় দেশের মানুষ, ভরতমাতা জিন্দাবাদ, ফাঁকিস্তা জিন্দাবাদ, বাঁচতে হলে অস্ত্র চাই, ঘাস খেয়েও অস্ত্র চাই, হিন্দুস্তা ফাঁকিস্তার পরমাণু বোম চাই, মারহাবা মারহাবা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, পরমাণু বোম জিন্দাবাদ, গান্ধিবোমা জিন্দাবাদ। আরো পড়ুন
বেদখল হয়েছে স্বদেশ কিংবা আঁখিও সে গোল্লি মারে নাচ
চালক
একটি হাসপাতাল খুলছে মানুষ নয়, লোহা লক্কড়ের, তার যন্ত্রাংশ মূল্য দিয়েই কিনতে হয়, সে কিছু যাত্রীকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়, ভাড়া নেয়, কথা বলে, দুএকজন যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে নিজেকে একটু-আধটু বিলিয়ে দেয়, যাত্রীরা গন্তব্যে যায়; — কিন্তু চালকেরা পৌঁছে না সঠিক ঠিকানায়; অভিজ্ঞ জনচালকেরা মিলিয়ে যায় সর্বংসহা পৃথিবীর কোলে আদর ও আদরস্য ভঙ্গিমায় পৃথিবী বুকে টেনে নেয় সেই সব যাত্রীবাহী মানুষ, আরো পড়ুন
মাওবাদ ও জনগণের আমরা
মাও, তোমার দেশে গিয়ে ব্যাঙ খাওয়া হয়নি আমাদের, আমরা মারা গেছি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে, একদিন যারা আমাদেরকে চিনে গিয়ে ব্যাঙ খাওয়ার শ্লোগান দিতো, সেই সব মহাভণ্ডেরা এখন তোমার দেশবাসির গুও সানন্দে ভক্ষণ করে, নিয়মিত বেইজিং সাঙহাইয়ে শপিঙ সারে; আমরা ১৫ বা ২৫ বা ৩৫ কোটি মানুষকে একত্রিত করতে পারিনি, তুমি ৬০ কোটির জন্য একই বৃন্তে শত ফুল ফুটিয়েছিলে, তোমার অজস্র কাজ ছিলো, জনসভা, পথসভা, দলীয় সভা, আরো পড়ুন
আমরা কী?
আমরা কী অপরাধী, আমরা কী অ্যাডাম আর ইভের মতো পতিত, আমরা কী ইউরো আমিরিকানদের মতো পতিত, আমরা কী মধ্যপ্রাচ্যীয়দের মতো পতিত, আমরা কী পচাগলা রক্তাক্ত ইতিহাসের মতো পতিত, আমরা কী পাশবিকতার কাছে পরাজিত ও পতিত, আমরা কী সগোত্রের মাংস পছন্দ করি, আমরা কী আঞ্চলিকতাবাদি, আমরা কী দাস না দাসমালিক, আমরা কী শ্রমিক না শ্রমিক শোষক, আমরা শ্রেণিহীন মানুষ না শ্রেণি, বৈষম্যভিত্তিক প্রেমিক, আমরা কী ব্যাঙের ছাতা না কলুর বলদ না কলম না সিজোফ্রেনিয়া রোগি আরো পড়ুন