আরব অঞ্চলের ধারাবাহিক স্থবিরতা সম্পর্কে মহামতি ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের টিকা

আরবের স্থবিরতা

ইসলামি সমাজের ধারাবাহিক স্থবিরতা (ইংরেজি: Continuous stagnation of Islamic society) সম্পর্কে মহামতি ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস (২৮ নভেম্বর, ১৮২০ – ৫ আগস্ট ১৮৯৫) অতি ক্ষুদ্র একটি মন্তব্য করেছেন। তাঁর সেই মন্তব্যটি আছে ‘গোড়ার খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস প্রসঙ্গে’ প্রবন্ধটিতে যা আমাদেরকে এক দার্শনিকসুলভ বিশ্লেষণ দেয়। এঙ্গেলস তার ‘গোড়ার খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস প্রসঙ্গে’ প্রবন্ধটি শুরু করেছেন সেই ধর্মের সংগে সমাজতন্ত্রের সাদৃশ্যের বা মিলের দিকটি উল্লেখ করে। আরো পড়ুন

দর্শন সম্পর্কে আলোচনা

শ্রেণিসংগ্রাম আছে, তাই দর্শন আছে

যেখানে শ্রেণিসংগ্রাম রয়েছে কেবল সেখানেই দর্শন থাকতে পারে। অনুশীলন বিচ্ছিন্নভাবে দর্শন চর্চা সময়ের অপচয়। যেসকল কমরেড দর্শন অধ্যয়ণ করেন তাদের গ্রামে যাওয়া উচিত। তাদেরকে এই শীতে অথবা সামনের বসন্তে যেতে হবে শ্রেণীসংগ্রামে অংশ নিতে। যাদের স্বাস্থ্য ভাল নয় তাদেরকেও যেতে হবে। আরো পড়ুন

পিতৃতন্ত্র বা পুরুষতন্ত্র হচ্ছে মানুষের সামাজিক বিকাশের একটি ঐতিহাসিক পর্যায়

পিতৃতন্ত্র

মানুষের সামাজিক বিকাশের একটি ঐতিহাসিক পর্যায় হচ্ছে পিতৃতন্ত্র বা পুরুষতন্ত্র (ইংরেজি: Patriarchy)। মানুষের আদিম সামাজিক সংগঠন ছিল সাম্যবাদী ও মাতৃতান্ত্রিক। পশু শিকারের পরবর্তী পর্যায়ে পশুপালন ও কৃষিকাজ যখন জীবিকার প্রধান উপায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে তখন মানুষের সামাজিক সংগঠনেও একটা পরিবর্তন সূচিত হয়। ইতিপূর্বে জীবিকার অধিকতর দুর্বল অবস্থার জন্য এবং পারিবারিক জীবনের অস্থিরতা এবং অসংবদ্ধতার কারণে সন্তানের জননী ছিল বংশের পরিচয় সূচক। এই পর্যায়কে বলা হয় মাতৃতন্ত্র। আরো পড়ুন

ন্যায় দর্শন প্রসঙ্গে

প্রাচীন ভারতীয় ভাববাদী দর্শনের একটি শাখার নাম ন্যায় দর্শন (ইংরেজি: Nyaya)। ন্যায় দর্শনের প্রধান জোর ছিল যুক্তি ও জ্ঞানতত্ত্বের উপর। প্রাচীন উপাখ্যানের ঋষি গৌতম ন্যায় দর্শনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে মনে করা হয়। যুক্তি ও তর্কের পদ্ধতি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রাচীন ন্যায় দর্শন। আরো পড়ুন

নউস হচ্ছে প্রাচীন গ্রিক দর্শনে সকল চিন্তা ও চেতনা কেন্দ্রীভূত সত্তা

প্রাচীন গ্রিক দর্শনে সকল চিন্তা ও চেতনা কেন্দ্রীভূত সত্তাকে ‘নউস’ (ইংরেজি: Nous) বলা হতো। নউস, কখনও কখনও বুদ্ধি বা প্রজ্ঞার সমতুল্য। শব্দটি ধ্রুপদী দর্শনের একটি শব্দ। শব্দটিকে সত্য বা বাস্তব কি বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মানব মনের বিভিন্ন এলাকার ক্ষেত্রেবিবেচনা করা হয়। আরো পড়ুন

ইহুদি ধর্ম বা ইহুদিবাদ হচ্ছে ইহুদি মানুষের জাতিগত ধর্ম

ইহুদি ধর্ম বা ইহুদিবাদ (ইংরেজি: Judaism বা Jewish religion) ইহুদি মানুষের জাতিগত ধর্ম। এটি একটি প্রাচীন, একেশ্বরবাদী, আব্রাহামিক ধর্ম। এই ধর্মের ভিত্তিগত পাঠ হচ্ছে তাওরাত বা তোরাহ গ্রন্থ। প্রাচীন ইহুদী গোত্রসমূহের বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তদশ শতাব্দীতে একেশ্বরবাদী ইহুদী ধর্মের উদ্ভব ঘটে। আরো পড়ুন

জাপানি দর্শন এশীয় বৌদ্ধধর্ম ও কনফুসিয়ানবাদ এবং শিন্টোর সমন্বিত রূপ

জাপানি দর্শন (ইংরেজি: Japanese philosophy) ঐতিহাসিকভাবে এশীয় বৌদ্ধধর্ম ও কনফুসিয়ানবাদ এবং স্বদেশীয় শিন্টো এই উভয় ধর্মগুলির সমন্বিত রূপ। জাপানে দার্শনিক চিন্তাধারার উদ্ভব ঘটে সামন্ততান্ত্রিক যুগে। জাপানি দর্শনের প্রথম উৎস ছিল প্রাচীন চীনের প্রধান দার্শনিক ধারাসমূহ, বিশেষ করে কনফুসিয়, বৌদ্ধ এবং পরবর্তীকালের নব কনফুসিয়বাদের চিন্তাধারা। আরো পড়ুন

জৈন মতবাদ ধর্মীয় ও তত্ত্বগতভাবে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মতবাদ

জৈন (ইংরেজি: Jainism) মতবাদের দুটি দিক। একটি ধর্মীয়, অপরটি তত্ত্বগত। ধর্ম হিসাবে জৈন ধর্মের উদ্ভব ও প্রসার ঘটে বৌদ্ধধর্মের উদ্ভবের সমসাময়িক কালে। বৌদ্ধ ধর্মের ন্যায় জৈন ধর্মেও প্রচলিত ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রকাশ ঘটে। মহাবীরকে জৈনধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়। আরো পড়ুন

ইসলাম ধর্ম হচ্ছে বিশ্বধর্মসমূহের অন্যতম যা প্রাচ্যদেশসমূহে প্রভাবশালী

বিশ্বধর্মসমূহের অন্যতম হচ্ছে ইসলাম বা ইসলামবাদ (ইংরেজি: Islam বা Islamism)। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মের মধ্যে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের নাম উল্লেখযোগ্য। ইসলামের অনুসরণ দেখা যায় প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং এশিয়া ভূখন্ডসমূহে। ইসলামের উদ্ভবকাল ৭ম শতাব্দী। আরো পড়ুন

আয়োনীয় দর্শন হচ্ছে প্রাক-সক্রেটিস দর্শনশাস্ত্রের পরিচিত রূপ

প্রাক-সক্রেটিস দর্শনশাস্ত্রের আয়োনীয় ত্তন্ত্রজ্ঞান ৬ষ্ঠ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আইয়োনিয়ার মাইলেটাসে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। প্রাচীন গ্রীসের পশ্চিম উপকূলবর্তী দ্বীপগুলি আয়োনীয় দ্বীপপুঞ্জ হিসাবে পরিচিত ছিল। এর মধ্যে সিফালোনিয়া, করফু, ইথাকা প্রভৃতি দ্বীপের নাম প্রসিদ্ধ। এই দ্বীপাঞ্চলেই প্রথম গ্রীক দর্শন ও বিজ্ঞানের উৎপত্তি ঘটে। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!