ফাল্গুন অথবা চৈত্রে বাতাসেরা দিক্ বদলাবে।
কথােপকথনে মুগ্ধ হবে দুটি পার্শ্ববর্তী সিঁড়ি,—
“অবশ্যকর্তব্য নীড়।” (মড়াকাটা ঘর-স্থানাভাবে?)
নখাগ্রে নক্ষত্রপল্লী , ট্যাঁকে টুকরাে অর্ধদগ্ধ বিড়ি।
মাসের দুর্ভিক্ষ নইলে ঋষি মনে হতাে হাবভাবে।
বিকৃতমস্তিষ্ক চাঁদ উল্লাঙুল স্বপ্নে অশীরীরী।
বিকালে মসৃণ সূর্য মূর্ছা যাবে লেকে প্রত্যহ।
মন্দভাগ্য বার্সিলােনা রেস্তোরাতে মন্দ লাগবে না।
সাম্য অতি খাসা চিজ!—অনুচিত কিন্তু রাজদ্রোহ!
‘জীবন বিস্বাদ লাগে।’—ইত্যাদিতে ইতস্তত দেনা।
এবার আত্মাকে, বন্ধু, করা যাক প্রত্যাহার। ( অহো
সম্প্রতি মাঘের দ্বন্দ্বে ছত্রভঙ্গ দক্ষিণের সেনা।
সদলে বসন্ত তাও পদত্যাগ পত্র পাঠাবে না?)
সুভাষ মুখোপাধ্যায় (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ – ৮ জুলাই ২০০৩) ছিলেন বিশ শতকের উল্লেখযোগ্য বাঙালি বামপন্থী কবি ও গদ্যকার। তিনি কবি হিসেবে খ্যাতিমান হলেও ছড়া, প্রতিবেদন, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য ইত্যাদি রচনাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ এবং বহু দেশি-বিদেশি কবিতা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। “প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য় এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা” বা “ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত” প্রভৃতি তাঁর অমর পঙক্তি বাংলায় আজ প্রবাদতুল্য।