এই যে দাদা, এতদিনে বেরিয়েছে
নতুন ফর্মুলায় তৈরী
খলিফাচাঁদের আশ্চর্য কলম — ‘খাইখাই’
চোর, জোচ্চোর, লোচ্চা, লম্পট, খাজা, খোজা
পণ্ডিত, মূর্খ যে কেউ চোখ বুঁজে
রাতারাতি লেখক হতে পারে।
একলম হাতে থাকলে
বসা বা দাঁড়ানো, চিৎ বা উপুড়
যে কোন অবস্থায়
প্রকাশ্যে ঝোপ বুঝে কোপ দেওয়া যায়—
কোনরকম আগবাগ বা রাখঢাকের দরকার হয় না।
দিন কে রাত, সোজাকে কাৎ
হতাশাকে হাত করতে
এ কলমের জুড়ি নেই।
মনে রাখবেন নতুন ফর্মুলায় তৈরী
খলিফাচাঁদের আশ্চর্য কলম — ‘খাইখাই’।
রাঘববোয়াল থেকে চুনোপুঁটি
হরেক সাইজের পাওয়া যায়।
সঙ্গে বিনামূল্যে চুন এবং কালি
ও লাইনে
যদি কোন ভদ্রলোকের আবশ্যক হয়
বলবেন।।
চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি ইরানি কার্টুনিস্ট জাভেদ আলীজাদেহ-এর (জন্ম: ৯ জানুয়ারি ১৯৫৩) আঁকা তীব্র কলম শিরোনামের। শিল্পী এটি ২০১০ সালে আঁকেন। এখানে চিত্রটির পটভূমি বামে ডানে বাড়ালেও চিত্রটিকে হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ – ৮ জুলাই ২০০৩) ছিলেন বিশ শতকের উল্লেখযোগ্য বাঙালি বামপন্থী কবি ও গদ্যকার। তিনি কবি হিসেবে খ্যাতিমান হলেও ছড়া, প্রতিবেদন, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য ইত্যাদি রচনাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ এবং বহু দেশি-বিদেশি কবিতা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। “প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য় এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা” বা “ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত” প্রভৃতি তাঁর অমর পঙক্তি বাংলায় আজ প্রবাদতুল্য।