বংশগতি কাকে বলে?

জন্ম থেকে সন্তানে জীবনের চরিত্র বা বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতাকে বংশগতি বা বংশানুক্রমিকতা (ইংরেজি: Heredity) বলা হয়। জীববিদ্যায় বংশগতির মাধ্যমের প্রশ্ন একটি বিতর্কিত এবং বিশেষ আলোচিত প্রশ্ন। বিপরীত যৌনের সম্মেলনে জীবের উৎপাদন। কিন্তু জনকের গুণ সন্তানে কীভাবে প্রভাহিত হয় তার ধারণা পূর্বে স্পষ্ট ছিল না। কোষময় জীবের সৃষ্টি ধারায় পুরুষ ও নারীর ভূমিকার বৈশিষ্ট্য নির্ধারনের চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে সাধারণভাবে এই বলা যায় যে, বংশক্রম বা বংশগতির মূল হচ্ছে জীবের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক এবং উভয়ের পারস্পরিক প্রভাব।

যে-কোনো শ্রেণীর জীবের জন্য তার পরিবেশই প্রধান। পরিবেশ অনুযায়ী নিজেকে পরিবর্তিত করে কিংবা নিজের প্রয়োজনে পরিবেশকে পরিবর্তিত করে জীবমাত্র জীবন ধারণ করার প্রয়াস পায়। এই প্রক্রিয়ায় জীবের যে চরিত্র, বৈশিষ্ট্য বা দেহগত কাঠামো বাঁচার অনুকূল বলে প্রমাণিত হয় সেই চরিত্র বা কাঠামো স্বভাবগত নির্বাচনের মাধ্যমে জীব নিজের অস্তিত্বের ধারাবাহিক অংশ হিসাবে তৈরি করে নেয় এবং যে চরিত্র বা কাঠামো বাঁচার প্রতিকূল হয় তা বর্জিত হয়ে অস্তিত্ব থেকে ক্রমান্বয়ে বিচ্ছিন্ন এবং বিলুপ্ত হয়ে যায়। জীবের বিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে এই পরিবর্তন এবং স্বভাবগত নির্বাচনের জৈবিক ক্ষমতা।

তথ্যসূত্র:
১. সরদার ফজলুল করিম; দর্শনকোষ; প্যাপিরাস, ঢাকা; জুলাই, ২০০৬; পৃষ্ঠা ১৯৪।

Leave a Comment

error: Content is protected !!