চীনের ইতিহাস হচ্ছে প্রাচীন থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত মুক্তির লড়াইয়ের ইতিহাস

চীনের ইতিহাস (ইংরেজি: History of China) হচ্ছে লিখিত পদ্ধতি উদ্ভবের পরে থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের জাতি ও জনগণের মুক্তির লড়াইয়ের ইতিহাস। সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিচারে চীন শুধু প্রাচীন নয়, বড়ও বটে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে চীন ছিল সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য। বর্তমান চীনের চাইতেও বেশি এলাকা তখন চীনের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তার কর্তৃত্ব বিস্তৃত ছিল আমুর অঞ্চলের সাইবেরিয়া বনভূমি থেকে উস্থরী পর্যন্ত। তিব্বত, বহির্মঙ্গেলিয়া, অন্তর্মঙ্গোলিয়া তখন চীনের অন্তর্গত। চারপাশের কোরিয়া, অ্যানাম, ব্রহ্মদেশ, নেপাল ও মধ্য এশিয়ার শেখশাসিত অঞ্চল তখন চীনের সম্রাটকে নজরানা পাঠাত। বর্তমান লেখায় এই বিশাল দেশটির সংস্কৃতি ও সভ্যতার একটি প্রাথমিক রূপরেখা দেওয়া হবে।

প্রাচীন চীনের ইতিহাস

চীনের ইতিহাস, নামকরণ ও জাতিবৈচিত্র্য

‘চীন’ নামটি এসেছে চৌ বংশের (খ্রিস্টপূর্ব ১১২২-২৪৯) একটি করদ রাজ্য ‘চিন’ থেকে। চীনের উত্তর-পশ্চিমে কান-সু এবং শেন-সি জেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই ‘চিন’ রাজ্য। “চিন-কুয়ো’’ নামে পরিচিত এই রাজ্য আশপাশের রাজ্যগুলোকে জয় করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলে। এই সময়ে ‘চিন’ রাজ্যের সঙ্গে বাইরের যে সব দেশের যোগাযোগ ছিল, তারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ বড় রাষ্ট্রটিকেও ‘চীন’ বলে ভাবতে শুরু করে। এইভাবে গোটা পৃথিবীতেই ‘চীন’ নামটাই স্বীকৃতি পেয়ে যায়।

চীন সাম্রাজ্য বহু জাতির বাস। আসলে মিশ্র চীনা জাতির উৎপত্তি হয়েছে মোঙ্গলীয়, তাতার, তিব্বতি, বর্মী, সান, মাঞ্চু প্রভৃতি জাতি-উপজাতির সংমিশ্রণে। তাই চীনা জাতির অনেক শাখা। সাধারণভাবে চীনের অধিবাসীদের ছ’টি ‘ৎ সু’ বা জাতি-শ্রেণীতে ভাগ করা যায় : (১) হান- ৎ সু (২) মিয়াও-ৎসু ; (৩) মাৎসু বা মাঞ্চু; (৪) মং-ৎসু অথবা মঙ্গোল ; (৫) হুই-ৎসু অর্থাৎ মুসলমান এবং (৬) ৎসাং-ৎসু বা তিব্বতীয়। এদের মধ্যে জাতি হিসেবে হানরাই প্রাচীনতম এবং প্রধান। চীনের ইতিহাস বা সভ্যতা বলতে এদেরই ইতিহাস বা সভ্যতাকে বোঝায়, এরাই চীনের প্রকৃত প্রতিনিধি। তবে সব জাতি বা শাখাই সাধারণভাবে নিজেদের চীনা বলে ভাবে এবং সেটা তাদের জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি। মান্দারিন হলো তাদের সর্বজনীন ভাষা।

চীনের ভাষা নিয়ে সাধারণভাবে একটা ভুল ধারণা চালু আছে। অনেকে মনে করেন, চীনের ভাষা বর্ণভিত্তিক নয়, চিত্রভিত্তিক। কিন্তু কথাটা ঠিক নয়। চীনা ভাষার রচনা ও ব্যবহারের ছয়টা ভাগ আছে। এর একটা মাত্র ভাগ চিত্রধর্মী। বাকি ভাগগুলো বর্ণধর্মী। তবে সমগ্র চীনেই লেখার ও বলার ভাষা এক। এই একভাষিকতাও চীনের জাতীয় ঐক্যের পক্ষে সহায়ক হয়েছে।[১]

চীনে ঐতিহ্যবাদের প্রভাব

চীন একটি গোঁড়া ঐতিহ্যবাদী দেশ (traditionalist)। তার সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি বিশেষ ধরন ছিল। মার্কোপোলোর মতো মধ্যযুগীয় পর্যটক, আর ভলতেয়ার—দিদেরোর মতো অষ্টাদশ শতকের দার্শনিক সকলেই একথা স্বীকার করেছেন। নিজেদের কৃষ্টি বিষয়ে চীনারা খুবই অভিমানী ছিলেন। স্বদেশকে তারা বলতেন ঝংগুয়ো বা আসল দেশ; নিজেদের সভ্যতাকে বলতেন ঝংঘুরা বা সব সভ্যতার মূল। চীনাদের দাবি, খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দ থেকেই তারা ছ’প্রকার কলাবিদ্যায় পারদর্শী। এগুলো হলো: ‘লি’ বা শিষ্টাচার, ‘য়ো’ বা সংগীত, ‘শে’ বা ধুনর্বিদ্যা, ‘য়ু’ বা সারথ্য, ‘শু’ বা রচনা এবং ‘সু’ বা অঙ্কশাস্ত্র।

চীনের স্বাভাবিক জীবনদর্শন সৃষ্টিবাদ (Creationism) বা অদ্বৈতবাদ (Monism) কোনোটিকেই গ্রহণ করেনি। কোনো অলৌকিক প্রক্রিয়ায় তাদের জগৎ তৈরি হয়েছে, একথা যেমন তারা বিশ্বাস করেনি, তেমনি অতীন্দ্রিয় পরমপিতা আর তাদের জাগতিক জীবন অভিন্ন সূত্রে বাঁধা—একথাও তারা বলতে চায়নি। তাদের ধারণায়, জীবপ্রক্রিয়ার দুটো বিপরীতমুখী শক্তি কাজ করে। একটি হলো ‘ইন’ এবং অন্যটি হল ‘ইয়াং’—যেমন সক্রিয়-নিষ্ক্রিয়, সাকার-নিরাকার, গুণ-নির্গুণ, চন্দ্র-সূর্য, রাত্রি-দিন, নারীপুরুষ ইত্যাদি। এই দুই-এর টানাপোড়েনেই সভ্যতা তৈরি হতে থাকে। অনেকে বলেন, টানাপোড়েন বা দ্বন্দ্বের ধারণা চীন সংস্কৃতির স্বাভাবিক সৃষ্টি। তাই মাও সেতুং সহজেই তাদের দ্বন্দ্বতত্ত্ব বোঝাতে পেরেছিলেন।

এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে চীনা ঐতিহ্য গড়ে উঠেছিল, তাকে চীনারা মনে করত পবিত্রতম বা সভ্যতম। তাদের মতে, চীন সভ্যতার প্রধান গুণ চারটি।
(ক) চীন সভ্যতা মৌলিক এবং সৃজনক্ষম। চীনা সভ্যতা কাউকে অনুকরণ করেনি, চীনারা তাই কারো কাছে ঋণী নয়।
(খ) স্থায়িত্ব এই সভ্যতার বড় গুণ। মিশর, ব্যাবিলন ও সিন্ধুর সভ্যতা লুপ্ত হয়েছে, কিন্তু চীনের সভ্যতা শুধুই টিকে যায়নি, প্রসার লাভও করেছে।
(গ) এই সভ্যতা বহুব্যাপ্ত। আয়তনে চীন বিরাট। এই বিশাল দেশে এক ভাষা, এক বর্ণমালা।
(ঘ) চীন সভ্যতার চতুর্থ গুণটি হলো এর মানবিকতা ও বিশ্বপ্রেমিকতা।

ঐতিহ্যবাদের প্রভাবে চীনারা এই গুণগুলোকে বাইরের স্পর্শদোষ থেকে বাঁচিয়ে রাখবার জন্য সচেষ্ট ছিল। তাই অষ্টাদশ শতকের পশ্চিমী সভ্যতাকে (Herodianism) তারা বর্বর মনে করেছিল এবং জাপানি প্রয়োগবাদকে দূরে রেখে পশ্চিমের দিকে সম্পূর্ণ মুখ ফিরিয়ে ছিল। সমাজ রক্ষা করতে হলে প্রাচীন শিক্ষার ভিত্তি অটুট রাখা দরকার, কনফুসীয় এই শিক্ষা চীনারা কখনো ভোলেনি। পশ্চিমী পণ্য সভ্যতার স্পর্শে সেই ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে, এই ভয়ে তারা দীর্ঘদিন পশ্চিমকে অস্পৃশ্য করে রেখেছিল। এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিয়েন-লুং রাজত্বের সময়ে ব্রিটিশ প্রতিনিধি লর্ড ম্যাকার্টনি ব্রিটেন-রাজের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে চীনে আসেন। কিন্তু জবাবে চিয়েন-লুং ব্রিটেন-রাজকে একটা চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি লেখেন—

“আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য তদারক করবার জন্য লোক পাঠাবার যে প্রস্তাব আপনি করেছেন তা অনুমোদন করা সম্ভব নয়, কেননা সেটা আমাদের স্বর্গীয় সাম্রাজ্যের আইন বিরুদ্ধ। আমার প্রধান কাজ প্রজাপালন। দুষ্প্রাপ্য এবং মূল্যবান জিনিস আমার কাছে অপ্রয়োজনীয়।
বস্তুত, আমার এই স্বর্গীয় সাম্রাজ্যে কোনো জিনিসের অভাব নেই। সবই প্রচুর পরিমাণে এখানে উৎপন্ন হয়। সুতরাং বহির্জগতের বর্বরদের তৈরি কোনো জিনিস আমদানি করবার আমার দরকার নেই।”

চীনের আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজের ইতিহাস

চীনের আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজের ইতিহাস হচ্ছে আনুমানিক নব্য প্রস্তর যুগের আরম্ভ থেকে বা প্রায় ১০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে লৌহ যুগের শুরু পর্যন্ত। উল্লেখ করা হয়, বস্তুনির্ভর সংস্কৃতিকে অনেক উঁচুস্তরে নিয়ে যাওয়া প্রাথমিক জাতিগুলোর মধ্যে তারা অন্যতম। অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে চীনের জনগণ লোহার ব্যবহার দেরিতে শুরু করে।[২]

মূল নিবন্ধ: চীনের আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজের ইতিহাস ও রাষ্ট্র

বহুজাতিক চীন ছিল মিশ্র সংস্কৃতির পীঠস্থান। ধরে নেওয়া হয় যে, বহুদিন ধরে আটটি কৌণিক সংস্কৃতির ধারা এসে তৈরি করেছিল চীনা সংস্কৃতি। ওলফার্ম এবারহার্ড-এর (Wolfram Eberhard) মতে, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক পর্যন্ত এই আটটি ধারাকে পৃথক পৃথকভাবে চেনা যেত। কিন্তু এর এক শতকের মধ্যেই পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই সংস্কৃতিগুলো একে অপরের সঙ্গে মিশে যায় এবং শেষ পর্যন্ত দুটো প্রধান চৈনিক সংস্কৃতি-চেতনা গড়ে ওঠে। পূর্বে লুং শান (Lung Shan) ও পশ্চিমে ইয়াং-শাও (Yang Shao)। লুং শান সংস্কৃতির মানুষরা কৃষিকাজে উন্নত ছিল, আর ইয়াং-শাও গ্রামগুলো তুলনায় ছিল অস্থায়ী। প্রথম সংগঠিত রাষ্ট্র ব্যবস্থাও এই ইয়াং-শাও-এর হেনান অঞ্চলেই গড়ে ওঠে বলে মনে করা হয়। সম্ভবত ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে ব্রোঞ্জ ধাতুর ব্যবহার শুরু হয় এবং ১৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে তা বিস্তৃত অঞ্চলে ২২০৫ অব্দে ই-উ (Yii) এখানে সিয়া (Hsia) রাষ্ট্রের পত্তন করেন। এই বংশের শাসন স্থায়ী হয় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৭২৫ মতান্তরে ১৭৬৬ অব্দ পর্যন্ত। এই পর্বের চীনে সামন্ততন্ত্র ছিল না। গোষ্ঠীকেন্দ্রিক সমাজের ভিত্তি ছিল পিতৃতান্ত্রিক পরিবার।

চীনের দাস সমাজের ইতিহাস

চীনের দাস সমাজ হচ্ছে চীনের ইতিহাসে অষ্টাদশ থেকে একাদশ খ্রিস্টপূর্বাব্দ কাল পর্যন্ত বিরাজমান দাস যুগ। দাসপ্রথা চীনে শ্যাং রাজবংশের (১৮ তম-১২ খ্রিস্টপূর্ব শতাব্দী) রাজত্ব অবধি অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়।

মূল নিবন্ধ: চীনের দাস সমাজের ইতিহাস

শাং রাজত্বের আমলের আরম্ভকে চীনের আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজের ইতিহাস শেষ হয়েছে ধরা হয়। কারণ, সে সময় থেকেই যুদ্ধবন্দিদের দাস হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। এই দাসত্ববাদী শাসন শেষ হয়ে আদি সামন্তবাদ শুরু হয় একাদশ শতাব্দীতে। অর্থাৎ চীনে দাস সমাজের স্থিতি ছিল খুব স্বল্প সময়।

চীনের সামন্তবাদী সমাজের ইতিহাস

চীনের সামন্তবাদী সমাজ (ইংরেজি: Chinese Feudal Society) হচ্ছে চীনের ইতিহাসে একাদশ খ্রিস্টপূর্বাব্দ শতাব্দী থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক আফিম যুদ্ধের (১৮৩৯) আগে পর্যন্ত চীনে বিরাজমান সামন্তবাদী সমাজের যুগ। অর্থাৎ চীনে সামন্তবাদ শ্যাং রাজবংশের (১১ খ্রিস্টপূর্ব শতাব্দী – ১৭ শতাব্দী) অবধি অস্তিত্ব ছিল বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।

মূল নিবন্ধ: চীনের সামন্তবাদী সমাজ

নব্য ইতিহাসবিদেরা যেমন ফেয়ারব্যাঙ্ক, ভিষাক, ইম্যানুয়েল সু প্রভৃতি ঐতিহাসিক আফিম যুদ্ধের (১৮৩৯) আগে পর্যন্ত চীনে আধুনিক যুগের সূত্রপাত হয়নি বলে মনে করেন। কারণ এই যুদ্ধের পরই (১৮৩৯-৪২) চীনের বিচ্ছিন্নতার প্রকৃত অবসান ঘটে। জঁ শ্যেনো, ইস্রায়েল এপস্টেইন, জিয়ান বোজান, মারিয়ানে বাস্তিদ প্রভৃতি ঐতিহাসিকরাও আফিম যুদ্ধকেই মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের বিভাজক-রেখা হিসেবে গণ্য করেছেন। কেননা, এর পরেই সামন্তবাদী চীন আধা-সামন্তবাদী আধা-ঔপনিবেশিক চীনে পরিণত হয়।

আধা-সামন্তবাদী আধা-ঔপনিবেশিক চীন

আপাত-সামন্তবাদী বা আধা-সামন্তবাদী আধা-ঔপনিবেশিক চীন (ইংরেজি: Semi-feudal semi-colonial China) হচ্ছে আফিম যুদ্ধ থেকে নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৮৪০ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের চীনের ইতিহাস। ঐতিহাসিকগণ আফিম যুদ্ধকেই চীনের সামন্তবাদী যুগ ও আধুনিক যুগের বিভাজক-রেখা হিসেবে গণ্য করেছেন। কেননা, এর পরেই সামন্তবাদী চীন আধা-সামন্তবাদী আধা-ঔপনিবেশিক চীনে পরিণত হয়।

মূল নিবন্ধ: আধা-সামন্তবাদী আধা-ঔপনিবেশিক চীনের ইতিহাস

আধা-সামন্তবাদী আধা-ঔপনিবেশিক চীন বদলে যেতে থাকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ধারাবাহিক কার্যক্রমে। ১৯৪৯ সালের নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব এবং শ্রমিক ও কৃষকের যৌথ একনায়কত্ব চীনকে পৌঁছে দেয় বিশ্ব ইতিহাসের নির্ধারক শক্তিতে। ১৯৫৬ সালে সমাজতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে চীনের পুঁজিবাদী যুগের সাময়িক অবসান ঘটায়।

তথ্যসূত্র

১. অলোক কুমার ঘোষ, “চীনের ইতিহাস”, নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ষষ্ঠ মুদ্রণ মে ২০১০, পৃষ্ঠা ১-৪।
২. ইজরাইল এপস্টাইন, আফিম যুদ্ধ থেকে মুক্তি, মাহফুজ উল্লাহ অনূদিত, বিদেশী ভাষা প্রকাশনালয়, পেইচিং, প্রথম সংস্করণ ১৯৮৫, পৃষ্ঠা ১-২।

Leave a Comment

error: Content is protected !!