হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠে মনটা
নিজেকে মনে হয় আগ্নেয় পাহাড়ের মতো।
যুগের জমানো বিস্ফোরণের ক্ষোভগুলো
আমার দিকে ভাঙা গালে বিদ্রূপের হাসি হেসে
বলছে ‘এখনো সহ্য করচ্ছিস’?
আমার চারপাশের উত্তপ্ত বায়ুরা প্রতিবাদ করে
বুকে আঁচড়ে পড়ছে ঘুমন্ত লাভাকে জাগাতে।
আমার মাঝে সুপ্ত ফুল্কিগুলো হালকা হয়ে উঠে,
কল্পনা থেকে বেড়িয়ে দেখি মিথ্যায় গড়া তোমাদের শহর,
রঙিন আতস-বাজিতে ঢেকে যায় নিজেদের অক্ষমতা।
সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠা ল্যাম্পপোস্ট গুলোকে ঘিরে আছে-
কিছু কুকুর, তারা নাকে শুকে শান্তির পানীয় ছেড়ে দিয়ে
বুঝিয়ে দেয় আমরা কেমন আলকাতরা মার্ক জীবন যাপন করছি।
এই সবকিছুই আমাকে বিদ্রূপের হাসি হেসে
বলছে ‘এখন সহ্য করচ্ছিস’?
সবুজ ঘন অরণ্যে অনাদরে পালিত শাবকের
টিকে থাকার লড়ায় আমাকে শক্তি দেয়,
গুহার নগরী আমায় নতুন সৃষ্টির পথে
তাড়িত করতে থাকে।
‘এখানে বলে রাখি তোমাদের
আমার মতো যার ভিতরে সুপ্ত ফুল্কিরা আছে
তারা মোচড় দিয়ে জেগে ওঠো’,
এক সাথেই জ্বালাব অরণ্যে ঢাকা নিজেদের জ্বালা।
যাদের আকাশে ফ্যাকাশে প্রেমের আলো-
আর অন্তরে বন্য আদর বাস করে,
সেসবকে রসহীন বালির মতো শক্তিহীন করে
এক পরিকল্পিত বিস্ফোরণের জন্য নিজেকে তৈরি করো।
১৮/১২/২০১৮
নুরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর
[বি. দ্র: নিবন্ধে ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া। আলোকচিত্রীর নাম: Demmarcos ]
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।