রাতের শেষ প্রহরের যোদ্ধা

(কমরেড এম. এ. মতিনকে)

ছোট্ট মানুষটি বহুদিন আগে থেকে অতি ধীরে ধীরে

নীলাকাশ ছাড়িয়ে উঠে গেছেন মহাশূন্যে

ঘুরে ঘুরে দেখছেন কালোমেঘ ঝড় আর কৃষকের সুখভোগ,

লাখো লাখো শিশুদের ভিড়ে

বলবান দশ হাতের আঙুলে আঙুল গুণে বুঝে নেন

মমতা মানুষ আর ফসলের ঘ্রাণ।

পোড়ামাটি নীতির কখনো মৃত্যু হয় না জেনে

রোগাটে শরীর নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে

নির্ভীক এক অদম্য সমরনায়ক,

ভুল পথে চলে যারা তাদের দেখিয়ে দেন 

ফুলগুলো ফোটে আর ভুলগুলো ঝরে যায়। 

কাঁটাতার পেরিয়ে কৃষকের কাস্তে হাতে

জড়িয়ে যান এক ফুল বালিকার সাথে,

আমরা তখন কজন ছোট ছোট ছেলেমেয়ে

মিছিলের ঘ্রাণ শুঁকে পেয়ে যাই পরশপাথর।

রাতের গভীরতা বাড়ে, স্বপ্ন ওড়ে সামুদ্রিক টর্নেডোয়,

অমর যোদ্ধা যেন, মানবিক বস্তির শেষ কিছু চারাগাছ বাঁচাতে

অস্ত্র হাতে নেমে পড়েন মুক্তির ময়দানে,

তারপর ছেয়ে যায় দশদিক শত্রুর কালো থাবায়;_

কে যায়, কে যায় বলে ধরলো অন্ধকারে কজন চোরা হামলাকারী

এরপর টিকে থাকা বুলেটের মাঝখানে শত নির্যাতনে।

ভোর দেখিনি আজো, লাল দিন দূরে বহু দূরে,

সূর্যের তেজোদীপ্ত তামাটে মানুষটি আজ আমাদের অনেক উপরে।

২ অক্টোবর, ২০১৩, ময়মনসিংহ। 

আরো পড়ুন:  একটি সাক্ষাত

Leave a Comment

error: Content is protected !!