প্রকৃতির গান, হেমন্তের দুপুরে

ঘুম হাতে নিয়ে বসে আছি

      শুনি দুপুরের বাতাসের ঘ্রাণ;

এখানে কালের ক্লান্তির জলছাপ

      আঁকা আছে উল্কি হয়ে পথের উপর,

             মাইক্রোফোনের সুরে টাকাপ্রেমীর নির্বাচনি রঙ,

                     সম্পদের কোকিলারা কবে ছিলো

                               কোকিলের সহগামি?

ঘুঘুর নরোম বুকে পাহাড়ী নদীর ঢেউ তুলে

       খুলে যায় মনের দরজা, কামনা কপাট,

কার্তিকের বাঁশঝাড়ে সারমেয় সারির ফোনালাপ

       সহযোগি প্রকৃতির সুর আর

              স্পন্দমান নীল ভোমরার পাখা।

দূরগামি মেঘের পাহাড়ে আঁকা

        কালো কালো বিভক্তির দেশে

উড়ে উড়ে মিশে যায় নীলিমায়

              কাজলা প্রেমের চিঠি

                  হলদে ঘামের চিঠি।

বৃহদাকার শিমুলের খাঁজে

          ডাক দিয়ে যায়

সময়ের সুবাস ঘিরে প্রাচীরের মতো

          গোলাপের কুঁড়ি হাতে

               পৃথিবীর সব নায়িকারা।

তালপাতার মতো গোল কল্পনার মুখে

        আশ্বিনি ঝড়ের ডাক

              আজো মিশে আছে;

আওয়াজে ভেসে যায় পথঘাট, পথের ধুলা

        পথিকার কন্ঠে বাজে

              আগুন ও চাবুকের গান।

সেপ্টেম্বর ২০০১; ঠাকুরগাঁও।

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি ফ্রান্সিসকো মিরালেস গালুপের (১৮৪৮-১৯০১) আঁকা চিত্র আবৃত্তি (The Recital)। শিল্পী চিত্রটি আঁকেন ১৯০১ সালের পূর্বে। এখানে চিত্রটিকে উপরে ও নিচের দিকে কিছুটা ছেঁটে ব্যবহার করা হয়েছে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!