পৃথিবীর কামরায়

আমি চারাগাছ; তুমি তোমাতে রোপন করো

একাগ্র অপ্রতিহত অঝোর ধারায়

ওইতিহাসিক প্রক্রিয়ার মতো দুহাত উজাড় করে,

উপচিয়ে পড়ো পেশল প্রত্যাশার বুকে টানটান দড়ি

ছিঁড়ে পড়ার মতো খুব জোরে;

তোমাকে তৃপ্তি দেই আমি সর্বস্ব উজাড় করে

আহা উহু শব্দবন্ধে কোমল মখমলের মতো,

বাদামি চুলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পিঙ্গল আভায়

ঝলমল করে চারদিক,

তরুণ তরতাজা উল্কাপিন্ড

জ্বলে জ্বলজ্বলে নিশার বারুদে।

পৃথিবীর কামরায় তুমি শুয়ে দেখ

দেদীপ্যমান পাতাবাহারের সহজাত

পর্ণমোচি রূপ, আর আমি পইথানে আঁকছি শুয়ে

শিথানের স্বাভাবিক শিহরণ;

কল্পনাশহরে বাজে সুদুর শিল্পজাগরণি,

দেখি অকালজাত পৃথিবীর কচি কিশোর প্রাণেরও রোমাঞ্চ জাগে;

শুনি সারারাত নৃত্যের তালে তালে বাজা অনন্য বাঁশুরিয়ার বাঁশি,

 

মলিন আকাশে জাগে সিঁদুরে সকাল।

 

চিত্রের ইতিহাস: কবিতায় ব্যবহৃত অংকিত চিত্রটি কাসপার ডেভিড ফ্রেডরিখের (১৭৭৪-১৮৪০) আঁকা চিত্র। চিত্রটির নাম হচ্ছে গ্রীষ্ম, ভূদৃশ্যে প্রেমিক প্রেমিকা (The summer, Landscape with lovers) এখানে চিত্রটিকে উপরে সামান্য ছেঁটে ব্যবহার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:  অনন্যা

Leave a Comment

error: Content is protected !!