অ্যান্টার্কটিকা (ইংরেজি: Antarctica) বা কুমেরু হচ্ছে পৃথিবীর দক্ষিণতম মহাদেশ। এখানে ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধের অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত এবং অ্যান্টার্কটিক চক্রের প্রায় পুরো দক্ষিণে অবস্থিত। এই মহাদেশ দক্ষিণ মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকার আকার ১৪,২০০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ৫,৫০০,০০০ বর্গমাইল এবং এটি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দ্বিগুণ আকারের। এই মহাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ০.০০০০৮ জন মানুষ বাস করে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ মহাদেশ। অ্যান্টার্কটিকাই একমাত্র মহাদেশ যেখানে স্থায়ী জনসংখ্যা নেই।
অ্যান্টার্কটিকার প্রায় ৯৮% বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে এবং এই বরফের গড় দৈর্ঘ্য ১.৯ কিমি (বা ১.২ মাইল; ৬,২০০ ফুট) প্রস্থে রয়েছে যা অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তরতম প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে প্রসারিত। ফান্দেই বেলিঙসহাউজেন ও মিখাইল লাজারেভের নেতৃত্বে একদল রুশ কুমেরু অভিযাত্রী এই ‘তুষারাচ্ছন্ন মহাদেশটি’ ১৮১৯-১৮২০ সালের কুমেরু-গ্রীষ্মে আবিষ্কার করেন।
আজ অ্যান্টার্কটিকার মানচিত্র বহুদেশের অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক স্টেশনে চিহ্নিত। ১৯৫৯ সালে সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ১২টি দেশ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে অ্যান্টার্কটিকা ব্যবহারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
এই তুষারাচ্ছন্ন মহাদেশ পর্যবেক্ষণে সােভিয়েত বিজ্ঞানীদের ভূমিকা খুবই গুরত্বপূর্ণ। তাঁরা জটিল কুমেরু অভিযানের শরিক হচ্ছেন। বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ অ্যান্টার্কটিকা সম্পর্কিত তথ্যাদির প্রায়ােগিক গুরত্ব অপরিসীম।
তথ্যসূত্র:
১. কনস্তানতিন স্পিদচেঙ্কো, অনুবাদ: দ্বিজেন শর্মা: বিশ্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভূগোল, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, বাংলা অনুবাদ ১৯৮২, পৃ: ২৪।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।