ঘোড়ামারা নদী (ইংরেজি: Ghoramara River) বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ২৩ কিলোমিটার, গড় প্রশস্ততা প্রায় ৬৫ মিটার এবং ঘোড়ামারা ঘাটে নদীর গভীরতা ৪ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ৬৫ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাপাউবো কর্তৃক তালমা নদীরপ্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৫১।[১][২]
ঘোড়ামারা নদীর পানিপ্রবাহ সারা বছরই থাকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে পানির প্রবাহ সবচেয়ে কমে যায়। তখন প্রবাহের পরিমাপ ২.৪৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। জুন-জুলাই মাসে পানিপ্রবাহ বেশি হয়। তখন এই প্রবাহ ৪৯৪ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। এই নদীতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব নেই। সাধারণত বন্যায় নদীর দুকুল প্লাবিত হয় না। নদীটির উপর ঘোড়ামারা সেতু আছে একটি।[২]
প্রবাহ: ঘোড়ামারা নদী ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা হতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং সেই জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীতে পতিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ১১১-১১২, ISBN 984-70120-0436-4.
২. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৯৫
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।