ইছামতি নদী বা ইচ্ছামতি বা ইছামতি-কালিন্দি নদী (ইংরেজি: Ichamoti River) বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ৩৭০ মিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কর্তৃক ইছামতি নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৭।
প্রবাহ: ইছামতি-কালিন্দি নদীটি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি ইউনিয়নে প্রবহমান ভৈরব-কপোতাক্ষ নদ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর প্রবাহ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রবহমান রায়মঙ্গল নদীতে পতিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন হয়ে নদীটি ভারতে প্রবেশ করেছে এবং জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে সীমান্তের সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়েছে। এর পর প্রবাহপথে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নে নদীটি পুনর্বার ভারতে প্রবেশ করে সে দেশে কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে পুনরায় যশোর জেলার শার্শা উপজেলার পুটখালী ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বরাবর প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে সারাবছর পানি প্রবাহ থাকে। এ নদী জোয়ারভাটার প্রভাবে প্রভাবিত এবং বন্যাপ্রবণ। বর্ষায় এর অববাহিকা বন্যায় প্লাবিত হয়।
অন্যান্য তথ্য: ইছামতি-কালিন্দি নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীটি বন্যাপ্রবণ। নদীটির অববাহিকায় বাংলাদেশ অংশে কোনো প্রকল্প নেই, নদীটিতে কোনো ব্যারাজ বা রেগুলেটর নেই এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আছে ৭৫ কিলোমিটার। নদীটির তীরে দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা হাট, পদোম বাজার এবং দেবহাটা অবস্থিত।[১]
তথ্যসূত্র:
১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ২০-২১, ISBN 984-70120-0436-4.
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।