পাগলা নদী (ইংরেজি: Pagla River) বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর মালদহ জেলার একটি নদী। নদীটির বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৭০ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কর্তৃক পাগলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৬৯।[১] নদীটির গভীরতা ৪.৫ মিটার যা কানসাট এলাকায় পরিমাপকৃত।[২]
প্রবাহ: পাগলা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে উৎপত্তি লাভ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে মহানন্দা লোয়ার নদীতে পতিত হয়েছে। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে বর্ষার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রবাহিত হলেও শুষ্ক সময়ে নদীর বিস্তীর্ণ অংশ শুকিয়ে যায়। এই সময় কোথাও কোথাও নদীর কোলজুড়ে ব্যাপক পরিসরে চাষাবাদ করা হয়। পলির প্রভাবে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এর গভীরতা ও প্রশস্ততা যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনি প্রবাহের মাত্রা আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে।
অন্যান্য তথ্য: পাগলা নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি মৌসুমি এবং নদীটি বন্যাপ্রবণ। নদীটির অববাহিকায় টকের ধরনা উপপ্রকল্প রয়েছে তবে নদীটিতে কোনো ব্যারাজ বা রেগুলেটর নেই, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও নেই।
তথ্যসূত্র:
১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ১৫৯-১৬০, ISBN 984-70120-0436-4.
২. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২৫০।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।