কৃষ্ণাখালী নদী বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার একটি নদী

কৃষ্ণাখালী নদী (ইংরেজি: Krishnakhali River) বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২-১৩ কিলোমিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার।

কৃষ্ণাখালী নদী নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের নলঘুরিয়া বিল থেকে উৎপত্তি হয়েছে । নদীটি বিল পেরিয়ে পূর্ব উলৌয়াটি গ্রামের সড়ক অতিক্রম করেছে। পথে এটি দিগজান গ্রাম অতিক্রম করে কৃষ্ণপুর অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এটি তারপর আর ৩৭০ হাইওয়ে অতিক্রম করে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে কুড়িয়া বিল হতে আরো জল সংগ্রহ করে কোণাপাড়া অতিক্রম করে সিংহের বাংলা ইউনিয়নের সীমানায় আমতলা ইউনিয়নে ধুলিয়া নদীতে পতিত হয়েছে।

নদী এবং বিলের ভেতরে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবার ফলে এবং একটি স্লুইস গেট থাকার কারণে নদীটির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে এবং জীব বৈচিত্র্য বিলুপ্ত হয়েছে।

কৃষ্ণাখালী নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহ থাকে না, তবে বর্ষা মৌসুমে যথেষ্ট পানি প্রবাহিত হয়। নদীটি বন্যাপ্রবণ বা ভাঙনপ্রবণ নয় এবং শুকনো মৌসুমে নদীটি শুকিয়ে যায়।

কৃষ্ণাখালী নদীকে অতিক্রম করেছে গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেললাইন এবং আর ৩৭০ বা ময়মনসিংহ-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক। এই নদীর তীরে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই নদী অববাহিকায় কুড়িয়া বিলে একটি সেচ প্রকল্প রয়েছে। সেচ প্রকল্পটি স্লুইস গেট বা রেগুলেটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই নদীতে কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই।

আলোকচিত্রের ইতিহাস: কৃষ্ণপুর অঞ্চলের ময়মনসিংহ-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক থেকে এই নদীর আলোকচিত্রটি গ্রহণ করেছেন অনুপ সাদি ১৯ মার্চ ২০২২ তারিখে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!