নিপীড়িত মানুষের সাথে ছিলেন কমরেড এম. এ. মতিন — শোকসভায় বক্তারা

কমরেড এম এ মতিন (২০ নভেম্বর, ১৯৬০ – ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩) সারা জীবন নিপীড়িত মানুষের সাথে ছিলেন। আজীবন বিপ্লবী, শ্রমিক ও কৃষক নেতা, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বুদ্ধিজীবি, কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, দরিদ্র নিপীড়িত মানুষের বন্ধু, কমরেড সিরাজ সিকদারের একনিষ্ঠ অনুসারী এম এ মতিনের স্মরণে শোকসভা গত শুক্রবার ৪ অক্টোবর, ২০১৩ বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের বামপন্থী এলাকা হিসেবে খ্যাত মালগুদামস্থ সিপিবি কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

কমরেড এম. এ. মতিন শোকসভা আয়োজন কমিটির ব্যানারে তপন সাহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত শোকসভায় কমরেড মতিনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন মার্কসবাদী রবীন্দ্র গবেষক, দেশের অন্যতম প্রধান মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বুদ্ধিজীবি সৈয়দ আবুল কালাম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের আহবায়ক মাসুদ খান, সিপিবির জেলা সম্পাদক এমদাদুল হক মিল্লাত, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার কেন্দ্রীয় সদস্য প্রফেসর মাহমুদুল আমীন খাঁন, গণমোর্চার জেলা আহবায়ক বিকাশ ভৌমিক, বাসদের জেলা সমন্বয়ক আ ন ম খায়রুল বাশার জাহাঙ্গীর, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির জেলা সমন্বয়ক শেখর রায়, বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ আবেদ আলী, শহীদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতিসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য বিজন সম্মানিত, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতা তোফাজ্জল হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আজহারুল ইসলাম, ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সভাপতি সুশান্ত দেবনাথ খোকন, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা রতন সম্মানিত, গণমোর্চার নেতা ফরিদুল ইসলাম ফিরোজ।

এছাড়াও আলোচনা করেন শোকসভা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব মাওপন্থী বুদ্ধিজীবি আধ্যাপক অনুপ সাদি, নাগরিক ঐক্যের জেলা আহবায়ক এডভোকেট নজরুল ইসলাম, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি কাজী সালাহ উদ্দিন মুকুল, সাবেক বাসদ নেতা শামসুল হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা এরশাদুজ্জামান,ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের আহবায়ক কবি খালেদ হোসেন, কালিবাড়ী চরের বস্তি বাসিন্দাদের পক্ষে মজিদা বেগম, কমরেড মতিনের বাল্য বন্ধু শিক্ষক আতাউর রহমান খোকা। শোকসভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়ক, গণমোর্চার নেতা আবুবকর সিদ্দিক রুমেল।

আরো পড়ুন:  আর আমাদের ভালবাসা? --- হাসন লাল

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তাগণ বলেন, কমরেড মতিন ব্যক্তিগত স্বার্থকে সমষ্টিগত স্বার্থের কাছে বিসর্জন দিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের স্বার্থে একাত্ব থাকার জন্য সচেতনভাবে বস্তি জীবন বেছে নিয়েছিলেন। অনাহার চিকিৎসাহীন আশ্রয়হীনভাবে থেকেও সুবিধাবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির সাথে আপোষ করেননি। বক্তারা শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ তথা সমাজতন্ত্র-কমিউনিজমের লক্ষে কমরেড মতিনের অনুসৃত বিপ্লবী পথে অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, কমরেড মতিন গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

Leave a Comment

error: Content is protected !!