মানবের সংগ্রামের ইতিহাসে এমন সময় আসে যাকে অবরুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তেমন অবরুদ্ধ সময়ে কবিতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের এক ভাষা। অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কবিরা সব সময়ই প্রতিবাদ করেন। এখনো দেশে একটি দুঃসময় চলছে বলে মনে করেন কবিরা। কবিতার মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত শুক্রবার ১৬ নভেম্বর ২০১৮ এই কবিতার আসর বসে। শিরােনাম ছিলো ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’। এতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কবিরা।
অনুষ্ঠানের আয়ােজকদের একজন জাবেদ ভূইয়া। তিনি অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা আন্দোলনের শ্রীমঙ্গলের মুখপাত্র। প্রথম আলােকে বললেন, ‘আমরা মনে করছি সব মানুষের জন্য দেশে এখন একটি দুঃসময় চলছে। যারা ক্ষমতায় আছে, তারাও অবরুদ্ধ হচ্ছে, যারা সাধারণ নাগরিক তারা অবরুদ্ধ, যারা রাজনীতি করছে তারাও অবরুদ্ধ। দেশে এখন একটি সংকটময় মুহূর্ত চলছে। আমরা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কালাে আইনের মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হচ্ছি; হারাচ্ছি বাকস্বাধীনতা। আমরা এই এই অবরুদ্ধ সময়ের কবিতার মাধ্যমে এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’ ময়মনসিংহ থেকে অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা নামে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় শ্রীমঙ্গলে এ আয়ােজন করা হলো। ক্রমান্বয়ে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিরাজনগর এলাকায় ওই অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তা চলে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা কবি হান্নান কল্লোল। পরে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কবিদের সাহসী উচ্চারণে দেশের বর্তমান অবস্থা, মানবতা, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের অসংগতি উঠে আসে। তাদের সাহসী পক্তি শুনে শিহরিত হন অংশগ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি সরকার আজিজ, চিনু কবির, আশিক আকবর, এহসান হাবীব, শামশাম তাজিল, হাসান জামিলসহ অর্ধশতাধিক কবি।