মাও সেতুঙের শেষ জীবনের উদ্ধৃতি
*** প্রথমে এবং সর্বপ্রধানভাবে জনমত সৃষ্টি কর ও ক্ষমতা দখল কর। তারপর মালিকানা সমস্যার সমাধান কর। তারপর উৎপাদন শক্তিকে বিপুলভাবে বিকশিত কর। সাধারণভাবে এটাই হচ্ছে নিয়ম। যদিও এই প্রশ্নে সর্বহারা বিপ্লব ও বুর্জোয়া বিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য আছে [সর্বহারা বিপ্লবের আগে সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না, কিন্তু সামন্ত সমাজে বুর্জোয়া উৎপাদন সম্পর্ক প্রাথমিকভাবে গড়ে উঠেছে], তবুও তারা মৌলিকভাবে একই। সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতির উপর নোট, (১৯৬১-৬২)
*** একটি রাজনৈতিক ক্ষমতাকে উৎখাত করতে হলে সর্বপ্রথমে দরকার হচ্ছে জনমত সৃষ্টি করা, মতাদর্শগত ক্ষেত্রে কাজ করা। এটা বিপ্লবী শ্রেণি ও প্রতিবিপ্লবী শ্রেণি উভয়ের জন্যই সত্য। ৮ম কেন্দ্রিয় কমিটির ১০ম প্লেনারি অধিবেশনে, নবম পার্টি কংগ্রেসের দলিলে উদ্ধৃত (১৯৬২)
*** অগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বকারী নির্ভুল চিন্তাকে জনগণ একবার আয়ত্ব করে নিতে পারলেই তা বস্তুগত শক্তিতে পরিণত হয়, যা সমাজকে পরিবর্তিত করে ও দুনিয়াকে রূপান্তরিত করে। “মানুষের নির্ভুল চিন্তাধারা কোথা থেকে আসে?” (মে ১৯৬৩)
*** যদিও বুর্জোয়া শ্রেণিকে উৎখাত করা হয়েছে, তবু সে এখনো শোষক শ্রেণিগুলোর পুরনো ধারনা, সংস্কৃতি, রীতি ও অভ্যাসকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে জনগণকে কলুষিত করার জন্য, তাদের চিন্তাধারাকে আচ্ছন্ন করার জন্য এবং সে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য প্রবল চেষ্টা করছে। সর্বহারা শ্রেণিকে অবশ্যই ঠিক তার বিপরীতটা করতে হবেঃ তাকে মতাদর্শগত ক্ষেত্রে বুর্জোয়া শ্রেণির প্রতিটা চ্যালেঞ্জকে অবশ্যই মুখোমুখি মোকাবেলা করতে হবে এবং সমগ্র সমাজের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সর্বহারা শ্রেণির নতুন ধারনা, সংস্কৃতি, রীতি ও অভ্যাসকে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কর্তৃস্থানীয় পুঁজিবাদের পথগামী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ও তাদেরকে উৎখাত করা, প্রতিক্রিয়াশীল বুর্জোয়া প্রাতিষ্ঠানিক “কর্তৃপক্ষ”কে এবং বুর্জোয়া ও অন্য সকল শোষক শ্রেণির মতাদর্শকে সমালোচনা ও বর্জন করা এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ভিত্তির সাথে যেগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ এমন সব শিক্ষা, সাহিত্য ও শিল্পকলা এবং উপরিকাঠামোর অন্য সকল অংশে রূপান্তর গঠন করা যাতে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুসংবদ্ধকরণ ও বিকাশসাধনকে সহজতর করা যায়। ৮ আগস্ট, ১৯৬৬; মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব সম্পর্কে সিপিসি’র কেন্দ্রিয় কমিটির সিদ্ধান্তসমূহ।
*** আজকের পৃথিবীতে সকল সংস্কৃতি, সকল সাহিত্য ও শিল্পকলা কোনো না কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির এবং নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লাইনের অধিকারে রয়েছে। বাস্তবে, শিল্পের জন্য শিল্প, শ্রেণির ঊর্ধ্বে শিল্প বা রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন বা স্বাধীন কোনো শিল্প বলতে কিছু নেই। ১৯৪২, সাহিত্য ও শিল্পকলার উপরে ইয়েনান ফোরামে ভাষণ।
*** লিউ শাও চী’র নিয়ন্ত্রণাধীন সাহিত্য ও শিল্পকলা বিভাগগুলোকে মাও সমালোচনা করেছেন ‘এখনো ‘মৃত’দের প্রাধান্যাধীন” বলে, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়কে সমালোচনা করেছেন এই বলে যে, “যদি এটা রূপান্তরিত হতে অস্বীকার করে, তাহলে এর নতুন নামকরণ করা উচিত রাজা-বাদশা, জেনারেল ও মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়, প্রতিভা ও সৌন্দর্যের মন্ত্রণালয়, অথবা বিদেশি মমির মন্ত্রণালয়” এবং বলেছেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নামকরণ করা উচিত “শহুরে বড়লোকদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়”। ৯ম পার্টি কংগ্রেসের দলিলাদি থেকে
*** পরীক্ষা চালানোর আমাদের বর্তমান পদ্ধতি হচ্ছে শত্রুর সাথে আচরণের জন্য পদ্ধতি, জনগনের সাথে আচরণের জন্য পদ্ধতি এটা নয়। এটা হচ্ছে আকস্মিক আক্রমণের পদ্ধতি,…..তীর্যক ও অদ্ভুত সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পদ্ধতি। এখনো এটা পুরোনো অষ্ট-পদী রচনার মতোই একটা পদ্ধতি, এটা আমি সমর্থন করি না। একে সম্পুর্ণভাবে বদলে ফেলা উচিত। আমার মতে প্রশ্নগুলো আগেই প্রকাশ করা উচিত এবং ছাত্রদেরকে তা অধ্যয়ন করতে দেয়া উচিত ও বইয়ের সাহায্য নিয়ে উত্তর দিতে দেয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ “লাল কুঠুরির স্বপ্ন”র উপর যদি কেউ বিশটি প্রশ্ন ঠিক করে এবং কিছু ছাত্র এর অর্ধেকগুলোর উত্তর দেয় ও উত্তরগুলো ভালো হয় এবং যদি উত্তরগুলোর কিছুকিছু খুব ভালো হয় ও সৃজনশীলতাকে ধারণ করে, তাহলে তাকে সে শতকরা ১০০ নম্বর দিতে পারে। যদি অন্য কিছু ছাত্র বিশটির সবগুলো প্রশ্নেরই উত্তর দেয় এবং সঠিকভাবে দেয় কিন্ত যদি তা হয় শুধুমাত্র তাদের বই ও বক্তৃতা থেকে উদ্ধৃত করে, কোনো সৃজনশীল ধারনাবর্জিত, তাহলে তাদেরকে শতকরা ৫০ বা ৬০ নম্বর দেয়া উচিত। পরীক্ষার সময় একে অন্যের কানে কানে কথা বলা এবং অন্যের জায়গায় বসাকে অনুমোদন করা উচিত। যদি তোমার উত্তর ভালো হয় এবং আমি তা নকল করি তাহলে আমারটাও ভালো বলে গণ্য করা উচিত। অন্যের কানে কানে কথা বলা এবং অন্যের নামে পরীক্ষা দেয়া গোপনভাবে চলছিলো। একে এখন প্রকাশ্যভাবে করতে দেয়া হোক। যদি আমি কিছু করতে না পারি এবং তুমি উত্তর লিখে ফেলো, যা পড়ে আমি নকল করেছি, এটা হলে ভালোই। এভাবে একটা পরীক্ষা করে দেখা যাক। আমাদেরকে অবশ্যই জীবন্তভাবে কাজ করতে হবে, নির্জীব ঢং-এ নয়। কিছু শিক্ষক আছেন যারা যখন বক্তৃতা দেন তখন শুধু এলোমেলো আলোচনা করতে থাকেন; তাদের উচিত তাদের ছাত্রদেরকে ঝিমোতে দেয়া। যদি তোমার বক্তৃতা ভালো না হয়, তাহলে কেন অন্যদেরকে তা শোনানোর জন্য জিদ কর? চোখ খোলা রেখে বিরক্তিকর বক্তৃতা শোনার চেয়ে বরং নব শক্তিসঞ্চারক একটা ঘুম দেয়া ভালো। আজেবাজে জিনিস শোনার প্রয়োজন নেই। বরং তুমি তোমার মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে পার। বসন্ত উত্সবে মন্তব্য, ১৯৬৪
*** চিনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু ডাক্তাররা যা বলেন তা আমি পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারি না। আমি আমার ডাক্তারের সাথে ভদ্রলোকের মতো একটা চুক্তি করেছিঃ যখন আমার জ্বর হবে তখন আমি আপনাকে ডাকবো, আর যখন আমার তা হবে না তখন আমি আপনাকে বিরক্ত করবো না, আপনিও আমাকে করবেন না। আমি বললাম যে যদি আমাকে সারা বছরে তার সাথে দেখা করতে না হয় তাহলে তা তার বিরাট গুণের প্রমাণ হবে। আমরা যদি প্রতিমাসেই তাকে বিরক্ত করি তাহলে প্রমাণ হবে যে, তিনি তার কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। ডাক্তার যা বলেন আমি তার মাত্র অর্ধেক অনুসরণ করি এবং আশা করি যে, বাকি অর্ধেকে তিনি আমাকে অনুসরণ করবেন। ডাক্তার যা বলেন সবই যদি আমরা মেনে চলি তাহলে অসুস্থতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে এবং জীবন অসম্ভব হয়ে উঠবে। আমি আগে কখনো এতবেশি পরিমাণে উচ্চরক্তচাপ ও যকৃতের প্রদাহের কথা শুনিনি। একজন ব্যক্তি যদি ব্যায়াম না করেন, আর শুধু ভাল খান, ভাল পরেন, আরামে জীবনযাপন করেন এবং সর্বত্রই গাড়ি চড়ে যান, তাহলে তিনি প্রচুর পরিমাণে অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও যাতায়াতের উপায় সম্বন্ধে অত্যধিক মনোযোগ হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের কেডারদের মধ্যে অসুস্থতার চারটি মূল কারণ। আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সোভিয়েত ইউনিয়নকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সাধারণ চিকিৎসকদের থেকে এটা বিশেষজ্ঞ তৈরি করছে। তাদেরকে অবশ্যই সকল ধরনের অসুস্থতাকে দেখতে হবে এবং নিজেদেরকে উন্নত করতে হবে। ১৯৬৪, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর আলচনা।
*** বিখ্যাত ব্যক্তি ও পণ্ডিতদের দ্বারা ভীত প্রভাবিত হবেন না। আমাদেরকে চিন্তায়, কথা বলায় ও কাজে অবশ্যই সাহসী হতে হবে। চিন্তা করতে, কথা বলতে ও কাজ করতে আমাদের ভীত হলে চলবে না। আমাদের হাত ও পা বাঁধা পড়ার পরিস্থিতি থেকে আমাদেরকে অবশ্যই নিজেদেরকে মুক্ত করতে হবে। শ্রমজীবী জনগণের উদ্যোগ ও সৃজনশীলতা সর্বদাই প্রচুর। অতীতে, পুরনো ব্যবস্থার অধীনে তাদেরকে দমিত করে রাখা হয়েছিল। এখন তারা মুক্ত হয়েছে এবং ফল দেখাতে শুরু করেছে। আমাদের পদ্ধতি হচ্ছে ঢাকনাটা খুলে দেয়া, কুসংস্কার ভেঙে দেয়া এবং শ্রমজীবী জনগণের উদ্যোগ ও সৃজনশীলতাকে বিস্ফোরিত হতে দেয়া। ১৯৫৮; ৮ম পার্টি কংগ্রেসের ২য় অধিবেশনে ১ম ভাষণ।
*** মানুষের রয়েছে শিরা ও ধমনী, যার মধ্য দিয়ে হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালিত করে। এবং কার্বনডাই অক্সাইড ত্যাগ করে ও তাজা অক্সিজেন গ্রহণ করে। অর্থাৎ বাসীটা বর্জন করে ও টাটকাটা গ্রহণ করে সে তার ফুসফুস দিয়ে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস চালায়। একটি সর্বহারার পার্টিকেও অবশ্যই বাসীটা বর্জন করতে হবে ও টাটকাটা গ্রহণ করতে হবে, তাহলেই সে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর থাকবে। আবর্জনাগুলো পরিত্যাগ ও টাটকাটা গ্রহণ না করলে পার্টির কোনো প্রাণশক্তি থাকে না। ১৯৬৯; ৯ম পার্টি কংগ্রেসের দলিলে উদ্ধৃত।
*** ইতিহাসের সাধারণ বিকাশে যখন আমরা স্বীকার করি যে, বস্তুগত ব্যাপার নির্ধারণ করে মানসিকতাকে এবং সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ করে সামাজিক চেতনার, তখন আমরা বস্তুগত জিনিসের উপর মানসিকতার, সামাজিক বাস্তবতার উপর সামাজিক চেতনার এবং অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর উপরিকাঠামোর প্রতিক্রিয়াকেও স্বীকার করি—এবং তা অবশ্যই করতেও হবে। এটা বস্তুবাদের বিপরীতে যায় না, বরং বিপরীতভাবে এটা যান্ত্রিক বস্তুবাদকে পরিহার করে, এবং দৃঢ়ভাবে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে তুলে ধরে। ১৯৩৯; দ্বন্দ্ব সম্পর্কে।
*** মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক লাইনের সঠিকতা-বেঠিকতাই সবকিছু নির্ধারণ করে।পার্টির লাইন সঠিক হলে, সবকিছুই ঠিকমত চলবে। যদি তার কোনো অনুগামি না থাকে তাহলে অনুগামি হবে, যদি বন্দুক না থাকে তাহলে বন্দুক অর্জিত হবে, রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকলে তা অর্জিত হবে। আর লাইন যদি ভুল হয়, তাহলে অর্জিত ফলও খোয়া যায়। লাইন হচ্ছে জালের রশির মতো। যখন একে ধরে টান দেয়া হয়, তখন সমস্ত জালটাই খুলে যায়। লিনপিয়াও-এর ঘটনার উপর আলোচনা। (১৯৭১)
*** একটিমাত্র শব্দ একটি দেশকে পুনরুজ্জীবন দিতে পারে, আবার একটিমাত্র শব্দ দেশের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। এটা হচ্ছে চেতনা-যে বস্তুকে পরিবর্তন করে তার ঘটনা। মার্কস হচ্ছে একটিমাত্র শব্দ যা বলে যে, সর্বহারা বিপ্লব ও সর্বহারা একনায়কত্ব অবশ্যই থাকতে হবে। এটা কি একটিমাত্র শব্দের দ্বারা পুনরুজ্জীবনের ঘটনা নয়? ক্রুশ্চেভও হচ্ছে আর একটি শব্দ, যা শ্রেণিসংগ্রাম ও বিপ্লব চায় না। এটা কি একটি শব্দেরই দৃষ্টান্ত নয় যা ধ্বংস ডেকে আনে? হ্যাংচৌ সম্মেলনে ভাষণ (১৯৬৩)
মাও সেতুং বা মাও সে তুং বা মাও জেদং (ইংরেজি: Mao Tse-Tung; ২৬ ডিসেম্বর ১৮৯৩ – ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ খ্রি.) মার্কসবাদী বিপ্লবী তাত্ত্বিক, সাম্যবাদী রাজনৈতিক নেতা, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং চীন ভূখন্ডের প্রায় শতাব্দীকালের সামাজিক রাজনীতিক মুক্তি ও বিপ্লবের নায়ক। জাপানি দখলদার শক্তি এবং বিদেশী সাম্রাজ্যবাদের তাঁবেদার কুওমিনটাং নেতা চিয়াং কাইশেকের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতা এবং সামাজিক বিপ্লবের জন্য চীনের অগণিত এবং অনুন্নত কৃষকদের সংঘবদ্ধ করার কৌশলী হিসেবে মাও সেতুং এক সময় সমগ্র পৃথিবীতে সংগ্রামী মানুষের অনুপ্রেরণাদায়ক উপকথায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনি অনেক জটিল কথাকে জনগণের সামনে অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করতেন। জনগণের সেবায় মানবেতিহাসের সমস্ত জ্ঞানকে তিনি কাজে লাগিয়েছিলেন।